ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসির হল অব ফেমে রাহুল দ্রাবিড়

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩ নভেম্বর ২০১৮

আইসিসির হল অব ফেমে রাহুল দ্রাবিড়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) হল অব ফেমে জায়গা করে নিলেন কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড়। আইসিরি’র পক্ষ থেকে গত ২ জুলাই ডাবলিনে এক অনুষ্ঠানে রাহুল ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান তারকা রিকি পন্টিংকে হল অফ ফেম দেয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো বৃহস্পতিবার তিরুবনন্তপুরমে গ্রীনফিল্ড স্টেডিয়ামে রাহুলের হাতে তুলে দেয়া হলো সেই সম্মান। ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের শেষ ওয়ানডে শুরুর ঠিক আগে আইসিসির গৌরবময় এই স্মারক তুলে দেন আরেক সাবেক গ্রেট সুনীল গাভাস্কার। বিষেণ সিং বেদী, কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার ও অনীল কুম্বলের পর পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে রাহুল এই সম্মান পেলেন, আর ২৫তম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে পন্টিং। পুরস্কারের অনুভূতি জানিয়ে ৪৫ বছর বয়সী রাহুল বলেন, ‘আইসিসির ক্রিকেট হল অফ ফেম পাওয়াটা আমার কাছে গর্বের। যখন কেউ ক্রিকেট ক্যারিয়ার তৈরি করছে তখন এই স্বপ্নটাও কাজ করে, একদিন সর্বকালের সেরাদের তালিকায় নিজের নামও থাকবে। এই সম্মান যে কোন ক্রিকেটারের কাছে অসামান্য।’ আইসিসি চীফ এক্সিকিউটিভ ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘আইসিসি ক্রিকেট হল অফ ফেম হলো গ্রেট ক্রিকেটারদের সম্মানিত করার একটা রাস্তা। শুধু সেরা ক্রিকেটারই এই জায়গায় পৌঁছাতে পারে। আমি রাহুল দ্রাবিড় ও রিকি পন্টিংকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি যারা হল অফ ফেমের তালিকায় বিশেষ সংযোজন।’ রাহুল ১৬৪টি টেস্ট খেলে করেছেন মোট ১৩ হাজার ২৮৮ রান। সঙ্গে রয়েছে ৩৬টি সেঞ্চুরি এবং ওয়ানডে’তে ৩৪৪টি ম্যাচ খেলে রান ১০ হাজার ৮৮৯। সেঞ্চুরি ১২টি। ২০০৪-এ আইসিসি’র ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার হয়েছিলেন দ্রাবিড়। সঙ্গে আইসিসির টেস্ট প্লেয়ার অফ দি ইয়ারেরও সম্মান পেয়েছিলেন তিনি। তার ক্রিকেট জীবনে তিনি একটিই মাত্র টি২০ ম্যাচ খেলেছিলেন। রাহুল স্লিপে থাকা মানে একটা ভরসা ছিল সেই সময়ে ভারতীয় দলে। দারুণ স্লিপ ফিল্ডার বলে খ্যাত ছিলেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ২০১২ সালে যখন তিনি তার টেস্ট কেরিয়ার শেষ করেন তখন তার নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ২১০টি ক্যাচ। প্রথা অনুযায়ী ‘হল অব ফেমে’র জন্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। কিন্তু ভারত ‘এ’ দলের কোচের দায়িত্বে থাকায় সম্মেলনে যেতে পারেননি রাহুল। তাই ভারতে এসে আইসিসির চীফ এক্সিকিউটিভ এই সম্মাননা তার হাতে তুলে দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার কিছুদিন পরই ভারত জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ক্রিকেটে ভদ্রলোকের প্রতিমূর্ত রাহুল। কিন্তু কোচিংয়ে নিজেকের পরিণত করে তুলতে বিনয়ের সঙ্গে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে একাডেমি, অনুর্ধ-১৯ ও ‘এ’ দলের দায়িত্ব নেন। তার অধীনেই ভারত অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে।
×