ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ৩ নভেম্বর ২০১৮

 ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঋণ খেলাপী এবং ব্যক্তিগত সহায় সম্পত্তির মিথ্যা তথ্যদাতা হিসেবে মির্জা ফয়সল আমিনকে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা উচিত। কারণ এ ধরনের একজন ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হওয়ার অযোগ্য। দীর্ঘ তিন বছর পর বিএনপি থেকে নির্বাচিত ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়রের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ২০১৫ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়া ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও ঠাকুরগাঁও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ তাহমিনা মোল্লা এমন অভিযোগ করেছেন। তার দাবি, ২০১৫ সালে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে নানা ষড়যন্ত্র, কালো টাকার দৌরাত্ম্য ও স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় তাকে হারিয়ে দেয়া হয়। নির্বাচনকালীন বিএনপি প্রার্থী মির্জা ফয়সল আমিন ঋণ খেলাপী বলে জানা যায়। তবে তার সপক্ষে কোন প্রমাণ ছিল না। নির্বাচনী হলফনামাও তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তাও পরে মিথ্যা বলে তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করার কথা থাকলেও আজও মামলাটি ঝুলে আছে। এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মির্জা ফয়সল আমিন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে চলমান মামলার স্থগিত চেয়ে দুই দুই বার আপীল করেন। দুইবারই তিনি হেরে যান। অধ্যক্ষ তাহমিনা মোল্লার দাবি, মির্জা ফয়সল আমিনের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান নিশ্চিন্তপুর এগ্রো লিমিটেডের শেয়ারের পরিমাণ ৪০ হাজার। আর ঋণের পরিমাণ সুদে-আসলে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে ঋণ খেলাপী ঘোষণা করলে হাইকোর্ট বিভাগে ১০৮৩৫ নম্বর রিট পিটিশন দাখিল করেছেন। মির্জা ফয়সল নির্বাচনী হলফ নামায় তা কোথাও উল্লেখ করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংক সিআইবি রিপোর্টেও ঋণ খেলাপী দেখায় মির্জা ফয়সল আমিনকে। সেইসঙ্গে আরও একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। যার নম্বর-৪৭৪২/২০১৭ইং। যা বর্তমানে চলমান আছে। এছাড়া দি মির্জাস প্রাইভেট লিমিটেড (রেজিঃ নং ৯০২২, তাং-২৩-০৫-১৯৮১), বলাকা সিনেমাসহ প্রায় সহস্রাধিক শেয়ারের মালিক হয়েও হলফনামা কিংবা মনোয়নপত্রের কোথাও তিনি তা উল্লেখ করেননি। হলফনামায় তিনি তার বিরুদ্ধে থাকা কোন মামলার কথা উল্লেখ করেননি।
×