ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

গানে গানে অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি ‘শিকড়ের সন্ধানে’

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৩ নভেম্বর ২০১৮

 গানে গানে অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি ‘শিকড়ের সন্ধানে’

মনোয়ার হোসেন ॥ সুরে সুরে সমৃদ্ধির উদযাপনের অনন্য আয়োজন। সেই সুবাদে দেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠে সঙ্গীতানুষ্ঠানটি। গানের অন্তরায় প্রাণিত হয় শ্রোতার অন্তর। বিশাল প্রান্তরজুড়ে বয়ে যায় আনন্দের হিল্লোল। উদ্দীপ্ত সুররসিকে মুখরিত হয় শেকড়ের সন্ধানে শীর্ষক মেগা কনসার্ট। সুরের খেলার ফাঁকে ফাঁকে জায়ান্ট স্ক্রিনে উপস্থাপিত হয়েছে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের ভিডিও। সবশেষে স্মরণ করা হয় দেশের কিংবদন্তি রকস্টার আইয়ুব বাচ্চুকে। শুক্রবার বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উন্মুক্ত সঙ্গীতাসরটির আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ছয় বিভাগীয় শহর পরিভ্রমণ শেষে সপ্তম সঙ্গীতায়োজনটি অনুষ্ঠিত হলো শহর ঢাকায়। বাদল দিনের সেই সঙ্গীতসন্ধ্যায় উপভোগ করেছে অগণন শ্রোতা-দর্শক। বিকেলের বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্বে শুরু হয় কনসার্ট। শুরুতেই গাওয়া হওয়া হয় শেকড়ের সঙ্গীত। মঞ্চে আসে কুষ্টিয়ার লালন একাডেমির শিল্পীরা। একতারা, দোতারা আর খঞ্জনির সুরেলা শব্দধ্বনির সঙ্গে বেজে ওঠে ঢুলির ঢোল। নেচে নেচে দলের তিন নারী বাউল গেয়ে শোনায় ‘ধন্য ধন্য বলি তারে’ এবং ‘মিলন হবে কতদিনে/আমার মনের মানুষের সনে।’ ফকির লালনের বাণী থামতেই ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের মাধ্যমে শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন। এই গান শেষে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয় বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। এরপর সম্মেলক কণ্ঠে গীত হয় ‘আমি মায়ের কাছে যাবো।’ ‘ও আলোর পথযাত্রী’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে ঈগল ড্যান্স গ্রুপের নৃত্যশিল্পীরা। নাচ শেষে প্রদর্শিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘শেখ হাসিনা : দ্য লিডার।’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনীর পর ‘তীর হারা এ ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবো রে’ গানের তালে নাচ করে বাফার নৃত্যশিল্পীরা। এরপর ‘অভিনন্দন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরা হয় বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার তথ্যচিত্র। এ প্রদর্শনীর পর ‘দে তালি’ গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন করে ঈগল ড্যান্স গ্রুপের শিল্পীরা। দ্বিতীয় পর্ব শেষ হয় ‘শেখ হাসিনা : দ্য ভিশনারি লিডার’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে। রাতের আকাশ আলোকিত করা আতশবাজির ঝলকানিতে সূচনা হয় তৃতীয় পর্বের আয়োজন। গোটা অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল দেশী-বিদেশী শিল্পীদের যুগলবন্দী পরিবেশনা। দেশের শিল্পীরা গেয়েছে আর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছে বিদেশী শিল্পীরা। এতে অংশ নেন সঙ্গীতনির্ভর টিভি চ্যানেল গান বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান উইন্ড অব চেঞ্জের শিল্পীরা। অনবদ্য সে সঙ্গীতায়োজনে যোগ দেন ভারতের শিবমনি, আরশাদ খান ও রিদম শা, রাশিয়ার এনটন ও আনা রাকিতা, লাটভিয়ার নেলী ও আনা ভাইভ এবং তুরস্কের সিনান। সব শেষে আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতিকে সঙ্গী করে মঞ্চে তার গড়া ব্যান্ডদল এলআরবি। গুলশান ক্লাবে মেহরীনের সঙ্গীতসন্ধ্যা ॥ একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের গান ‘আমরা নারী আমরা পারি।’ জিঙ্গেলটির সঙ্গীতায়োজনটি করেছিলেন প্রয়াত ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। তাকে স্মরণ করে গানটি পরিবেশন করলেন পপতারকা মেহরীন। এছাড়াও বাংলা, হিন্দী, ইংরেজী ভাষায় ঘণ্টাব্যাপী সঙ্গীত পরিবেশন করলেন তিনি। যা দিয়ে সাজানো ছিল এই শিল্পীর একক সঙ্গীতসন্ধ্যা। শুক্রবার রাজধানীর গুলশান ক্লাবের কলোসিয়াম মিলনায়তনে মেহরীনের একক সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র (আইজিসিসি)। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও গুলশান ক্লাবের প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ। শিল্পী মেহরীনকে পরিচয় করিয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক নীপা চৌধুরী।
×