ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৭:৩৬, ২ নভেম্বর ২০১৮

উবাচ

ফ্রি মাইন্ড স্টাফ রিপোর্টার ॥ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক এক বছর পর বিএনপি-জামায়াত দেশে যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাতে বহু লোকের প্রাণ গেছে। আগুন সন্ত্রাসের পর মানুষ বিএনপি-জামায়াত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এতে দলটি বুঝতে পেরেছে জনগণের জীবন ধ্বংস করে আর যাই হোক দেশে রাজনীতি করা সম্ভব নয়। স্থায়ীভাবে যে উপকার হয়েছে তা হচ্ছে হরতাল অবরোধ থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। এখন দলীয় প্রধানের মুক্তির দাবিতে বিএনপি অনশন করছে। ফিলটার পানি খেয়ে অনশন ভেঙ্গে ফেলছে। দেশের বিরোধী দলের মধ্যে আন্দোলন সংগ্রামের এই নবধারা অব্যাহত থাকে তাহলে দেশের মানুষ একটু শান্তিতে থাকতে পারে। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ সেই শান্তির আভাসই দিয়েছেন। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান যাতে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে করতে পারে তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার দশম সংসদের শেষ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করব। সেই ইচ্ছাই পোষণ করছি। ক্ষমতার রদবদল না, এর সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়। আমরা যাতে সেই ভিত্তি স্থাপন করতে পারি, সেজন্য একসঙ্গে মিলেমিশে নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে যেন ফ্রি মাইন্ডে নির্বাচন করতে দেয়া হয়। ভাগাভাগি যেন না হয় স্টাফ রিপোর্টার ॥ সংলাপ যেন দুপক্ষের মধ্যে শুধু ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য না হয় সে বিষয়ে সংশ্নিষ্টদের সতর্ক করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সংলাপে বসার চিঠি দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাতে সাড়া দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতেই বুঝি সন্দেহ জেগেছে সিপিবি সভাপতির মনে। কারণ বারবার রাজনীতিবিদরা সংলাপে বসে আলোচনা করে ক্ষমতায় বসেপড়ে আর সিপিবি পিছিয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে সিপিবি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। স্মারকলিপির বিষয়টি জানান দিতে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেন তারা। তবে অনেকেই বলেন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেও জনগণ ভোট না দিলে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কাকে ক্ষমতায় বসাতে সিপিবি সভাপতি বলছেন, দুদিনের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে সংসদের অধিবেশন ডাকেন। নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়ে সংশোধনী নিয়ে আসুন। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। নিরপেক্ষ সরকার হলেই কি সিপিবির পক্ষে ক্ষমতায় আসা সম্ভব! তাহলে কে ভাগাভাগি করল আর কে করল না তাতে আগ্রহ কেন। উপায় জানি! স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাহমুদুর রহমান মান্না এক জটিল চরিত্র শুরু করেছে বামপন্থা দিয়ে শুরু করে আওয়ামী লীগ এরপর তিনি ডানপন্থীদের হয়েও কথা বলেছেন। এমনকি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভীষণ ভাল বলে টিভির পর্দা কাঁপাচ্ছেন। তিনি সম্প্রতি বলেছেন কিভাবে ক্ষমতা থেকে নামাতে হয় সেই উপায় তার খুব ভাল জানা আছে। মাহমুদুর রহমান মান্নার এই উক্তির পর অনেকেই বলছেন তাতে লাভটা কী? শুধু ক্ষমতা থেকে নামানোর উপায় জানলে কি হবে ক্ষমতার চেয়ারে বসার উপায়ওতো জানতে হবে। মান্না বলেছেন, সরকার হটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করাই তাদের লক্ষ্য। বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সবার প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী তিনি, তিনি হাঁটতে পারেন না। দোতলা সিঁড়ি বেয়ে তিনি উঠতে পারেন না। সেই নেত্রীকে এই সরকার অন্যায়ভাবে কারাগারের অন্ধকারে জরাজীর্ণ একটি কক্ষে বন্দী করে রেখেছে। মান্না বলেন, বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে রেখেছে এই সরকার। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার কত রকম বাধা দিয়েছে আপনারা দেখেছেন। মান্নার কি কেউ কোন দিন আপন হবে না।
×