ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে ১ জনের ফাঁসি ॥ ৬ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২ নভেম্বর ২০১৮

কিশোরগঞ্জে ১ জনের ফাঁসি ॥ ৬ জনের যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১ নবেম্বর ॥ জেলার তাড়াইলে কৃষক রিয়াজ উদ্দিন হত্যা মামলায় জিল্লু মিয়া নামে একজনকে ফাঁসি ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর ৮ আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- তৌহিদ মিয়া, বাদল মিয়া, ইসহাক মিয়া, চাঁন মিয়া, হাদিস মিয়া ও আলী আকবর। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৬ জুন ভোরে জেলার তাড়াইল উপজেলার ধলা ভেইয়ার (কাঁঠালিয়া কান্দা) গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিনকে একই এলাকার মামলার আসামিরা গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই শরীফ উদ্দিন খোকন বাদী হয়ে ওইদিনই ১৬ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় মামলা করেন। ২০১২ সালের ১২ আগস্ট জেলা সিআইডির পরিদর্শক মোল্লা মোঃ শাহজাহান আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করলে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত বৃহস্পতিবার উপরোক্ত রায় দেয়। এ সময় ১৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর বিচার চলাকালীন আব্দুল ওয়াহাব নামে এক আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর এবং আসামিপক্ষে এ্যাডভোকেট অশোক সরকার ও এ্যাডভোকেট আয়েদুল হক চৌধুরী মামলাটি পরিচালনা করেন। যশোর স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, ঝিকরগাছার হরিদ্রাপোতা গ্রামের আবদুল আলিমকে হত্যার দায়ে দুইজনক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও অর্থদ- দিয়েছে একটি আদালত। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার জনকে খালাস দিয়েছে আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো হরিদ্রাপোতা গ্রামের জামাল উদ্দিন সরদারের ছেলে আবদুল আজিজ লাল্টু ও ছবেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার এক রায়ে স্পেশাল জজ ( জেলা জজ) আদালতের বিচারক শেখ ফারুক হোসেন এ সাজা দিয়েছেন। সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি সিরাজুল ইসলাম ও বিশেষ পিপি এসএম বদরুজ্জামান পলাশ। জানা গেছে, হরিদ্রাপোতা গ্রামের তোফাজ্জেল সরদারের সঙ্গে শরিকদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর সকালে তোফাজ্জেল সরদারের ভাগের জমির একটি তালগাছ কাটতে যায় আসামিরা। এ সংবাদ পেয়ে তোফাজ্জেল সরদার ও তার তিন ছেলে আবদুল আলিম, সরোয়ার, ডালিম, হায়দার মেয়ে ফহিমা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাধা দেয়। তখন আসামিরা আবদুল আলিমকে ধরে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় অন্যরাও গুরুতর আহত হয়। এ বিষয়ে ওইদিন তোফাজ্জেল হোসেন বাদী হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
×