ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংলাপের ফল যাই হোক, সঠিক সময়ে নির্বাচন ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৬:০১, ২ নভেম্বর ২০১৮

সংলাপের ফল যাই হোক, সঠিক সময়ে নির্বাচন ॥ তোফায়েল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সংলাপের ফল যাই হোক, সংবিধান অনুযায়ী সঠিক সময়ে দেশে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যত সুনির্দিষ্ট। একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা আমাদের সবার লক্ষ্য। এ কাজটি করে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করে। সুতরাং আলোচনা যাই হোক, এই সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন ভারতের ফুড এ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশনের সেক্রেটারি শ্রী রভিকান্ত। ভারতের পক্ষ থেকে ওই সময় শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশে চিনি রফতানির সুযোগ চাওয়া হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী ভারতের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি এবং ভারতের এসটিসির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার আহ্বান জানান। সুবিধাজনক যেকোন সময়ে চুক্তিটি করা হতে পারে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল হোসেন চিঠি দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের চিঠিতে সাত দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন। আমরা জানিয়েছি, সংবিধান অনুযায়ী আলোচনা হবে। সুতরাং সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হবে সংবিধান অনুযায়ী। খালেদা জিয়াসহ সকলকে রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দীদের মুক্তির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ’৭৫ সালের পর আমরা অনেকেই বন্দী ছিলাম, আমাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধু বন্দী ছিলেন, যেটা মানুষ গণঅভ্যুত্থান করে তাকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াসহ অন্য যারা আছেন তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বন্দী আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকে তারা তো রাজবন্দী নয়। এদিকে, ৪০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে ভারত থেকে চিনি আমদানি করতে হয়। এ জটিলতা দূর করতে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করতে আগ্রহী। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার কথা ভেবে বাংলাদেশ এটা নিয়ে চিন্তা করছে। তিনি বলেন, ‘সাফটা’র আওতায় ‘এলডিসি’ভুক্ত দেশ হিসেবে ভারতে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকি। ভারত এখন আমাদের কাছে চিনি রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চিনি আমদানি পণ্য হিসেবে নেগেটিভ লিস্টে আছে এবং এজন্য আমদানিকারককে ৪০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। তারা চিনিকে পজেটিভ লিস্টে আনার জন্যও অনুরোধ করেছে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, ভারতে ভোজ্যতেল রফতানিতে বর্তমানে বাংলাদেশ ভাল করছে। এরই মধ্যে সিটি গ্রুপ, বসুন্ধরা, মেঘনা গ্রুপ, টিকে ও সেনাকল্যাণকে ভোজ্যতেল রফতানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ভারত বলছে, ভোজ্যতেল রফতানিতে আমদানির পর যেন আরও ৩০ ভাগ মূল্য সংযোজন করা হয়। বর্তমানে এ খাতে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে।
×