ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফি

কাসাতকিনাকে বিদায় করলেন কেইস

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১ নভেম্বর ২০১৮

কাসাতকিনাকে বিদায় করলেন কেইস

জিএম মোস্তফা ॥ ডব্লিউটিএ এলিট ট্রফিতে জয় দিয়েই মিশন শুরু করলেন মেডিসন কেইস। বুধবার নিজের প্রথম ম্যাচে তিনি খুব সহজেই পরাজিত করেন দারিয়া কাসাতকিনাকে। গ্রুপপর্বের ম্যাচে আমেরিকান তারকা এদিন ৬-২ এবং ৬-৪ গেমে পরাজিত করেন টুর্নামেন্টের শীর্ষ বাছাই দারিয়া কাসাতকিনাকে। আরেক ম্যাচ জিতলেই টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করবেন তিনি। যেখানে তার সামনে বড় বাধা এখন চীনের ওয়াং কিয়াং। রাশিয়ান টেনিসের প্রতিভাবান খেলোয়াড় দারিয়া কাসাতকিনা। টেনিস কোর্টে এই মুহূর্তে বেশ ভালই পারফর্ম করছেন তিনি। কিন্তু আমেরিকান তারকা মেডিসন কেইসের বিপক্ষে অবশ্য নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি কখনও। এর আগেও তিনবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সবসময়ই পরাজয়ের লজ্জা উপহার দেন কেইস। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। বুধবার মাত্র এক ঘণ্টা ৯ মিনিট লড়াই করেই কাসাতকিনাকে পরাজিত করেন তিনি। সেই সঙ্গে রাশিয়ান তারকার বিপক্ষে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান মেডিসন কেইস। গত বছরেই প্রথম আলোচনায় উঠে এসেছিলেন মেডিসন কেইস। প্রথমবারের মতো ইউএস ওপেনের ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। স্বদেশী স্লোয়ানে স্টিফেন্সের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় কেইসের। ২০১৮ সালে তার সেরা ফলাফল ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনাল। এবারও তার বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান স্টিফেন্স। যে কারণে শেষ চারে হেরেই ফরাসী ওপেন থেকে বিদায় নিতে হয় ২৩ বছরের এই খেলোয়াড়ের। তবে স্টিফেন্সও পারেননি। শেষ পর্যন্ত মৌসুমের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেন সিমোনা হ্যালেপ। রোমানিয়ান তারকা ছাড়াও এ বছরে টেনিস কোর্টে আলো ছড়িয়েছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, এ্যাঞ্জেলিক কারবার এবং জাপানের প্রতিভাবান খেলোয়াড় নাওমি ওসাকা। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিএ ফাইনালসে অবশ্য নজর কুড়িয়েছেন এলিনা সিতলিনা। গত রবিবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইউক্রেনের এই টেনিস তারকা আমেরিকার স্লোয়ানে স্টিফেন্সকে পরাজিত করেই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শিরোপা জয়ের স্বাদ পান। গত মৌসুমে ইউক্রেনের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ডব্লিউটিএ ফাইনালস আসরে খেলেছিলেন এলিনা সিতলিনা। সেবার বিশ্বসেরা রোমানিয়ান তারকা সিমোনা হ্যালেপকে হারিয়ে চমকেও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেমিতে উঠতে পারেননি তিনি। তখন না পারলেও এবার পেরেছেন ঠিকই। দ্বিতীয়বার অংশ নিয়েই বাজিমাত করেছেন সিতলিনা। সেই সঙ্গে গড়লেন নতুন এক ইতিহাস। প্রথম ইউক্রেনিয়ান হিসেবে মৌসুম শেষের এই মর্যাদার আসরের শিরোপা জিতেছেন তিনি। সিতলিনার মতো স্টিফেন্সও অপরাজিত থেকেই উঠে এসেছিলেন ফাইনালে। সেমিতে আমেরিকান টেনিসের এই প্রতিভাবান খেলোয়াড় ক্যারোলিনা পিসকোভাকে হারান। আর গ্রুপপর্বে জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবার, হল্যান্ডের কিকি বার্টেন্স ও জাপানের নাওমি ওসাকাকে হারিয়েছিলেন। ফাইনালেও দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন ইউএস ওপেনের সাবেক এই চ্যাম্পিয়ন। প্রথম সেট জিতে নেন দুর্দান্ত প্রতাপে। কিন্তু বাকি দুই সেটে বিপর্যস্ত হন সিতলিনার কাছে। স্টিফেন্সকে পরাজিত করে পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অপরাজিত থেকে ডব্লিউটিএ ট্যুর ফাইনালসের চ্যাম্পিয়ন হন এলিনা সিতলিনা। এর আগে এই কীর্তি ছিল আমেরিকান টেনিসের জীবন্ত কিংবদন্তি সেরেনা উইলিয়ামসের। ২০১৩ সালে এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন কোন ম্যাচেই না হেরে। সেরেনার পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে দারুণ রোমাঞ্চিত সিতলিনা। ম্যাচের শেষে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জন্য এটা দারুণ একটা স্বীকৃতি। তবে স্টিফেন্সের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচের তৃতীয় সেটটা আসলেই প্রমাণ করেছে যে মানসিকভাবে আমি খুব শক্তিশালী। আমি মনে করি এরপর আমার আর কিছুই প্রমাণের নেই।’ ২৪ বছর বয়সী সিতলিনা এ সময় আরও বলেন, ‘এটাই আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় শিরোপা। বিশ্বের শীর্ষ সারির খেলোয়াড়দের বিপক্ষে খেলেছি আমি। শুধু তাই নয়, তাদের বিপক্ষে আমার পারফর্মেন্সও ছিল দুর্দান্ত। এটা সত্যিই প্রমাণ করে যে কোর্টে আমি অসাধারণ। এটা নিশ্চিত আমার আত্মবিশ্বাসকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।’
×