ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পিটার্সবার্গে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১ নভেম্বর ২০১৮

পিটার্সবার্গে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিটার্সবার্গের ইহুদী উপাসনালয়ে হামলায় নিহতদের স্মরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ এ ঘটনা ঘটে। বিবিসি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প, মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প, জামাতা জারেড কুশনার ও বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভেন মনুচিন। তার সফরের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। সিনাগগের বাইরে রাস্তায় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ দেখাতে জড়ো হয়। তারা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাম্প তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ’ট্রি অব লাইফ’ সিনাগগে পৌঁছালে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাবাই জেফরি মেয়ার তাদের শুভেচ্ছা জানান। এরপর প্রেসিডেন্ট নিহতদের স্মৃতিস্তম্ভে¢ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। একইসঙ্গে তিনি প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, স্মৃতিস্তম্ভগুলোতে ছোট ছোট পাথর রাখেন। ট্রাম্প সিনাগগের রাবাই জেফরি মেয়ার ও যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত রন ডার্মারের সঙ্গে করমর্দন করেন। ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার ও তার কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প ইহুদীদের বিশেষ টুপি পরে সেখানে যান। বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, প্রেসিডেন্টের এই সফর যথার্থ নয়। পিটার্সবার্গে ট্রাম্প, নিহতদের স্বজনদের কাছে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং গুলির ঘটনায় ত্বরিত গতিতে পদক্ষেপ নেয়ায় পুলিশকে ধন্যবাদ দেন। তবে রাজনীতিকরা বলছেন, শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী মনোভাব ত্যাগ না করা পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের উচিত হবে এসব থেকে দূরে থাকা। পিটার্সবার্গে ইহুদীদের একটি সক্রিয় সংগঠন বেন্ড দ্য আর্ক প্রেসিডেন্টের নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে। তারা ট্রাম্পকে সফর বাতিল করতে বলেছে। পিটার্সবার্গের ডেমোক্র্যাট মেয়র উইলিয়াম পেডুটো বলেন, নিহতদের পরিবার যখন শেষকৃত্য করছে তখন ট্রাম্পের আসা উচিত নয়। এক খোলা চিঠিতে সাত হাজারেরও বেশি লোক স্বাক্ষর করেছে। এর ভিত্তিতে সেখানকার ইহুদী নেতারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বাগত জানানো হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদীদের পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান না করবেন। শনিবার পিটার্সবার্গের এক সিনাগগে দেশটির ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ হামলায় ১১ জন নিহত হন। আহত হন ৬ জন। হামলার পরপরই বন্দুকধারীকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। রবার্ট বোয়ার্স নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৯টি অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
×