ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১ নভেম্বর ২০১৮

মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নে বৃহৎ প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের মাধ্যমে দেশে যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট (এসইডিপি) নামে একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের ব্যয় ১৭ হাজার ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। যা টাকার অঙ্কে এক লাখ ৩৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়ন ১৬ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার। বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রকল্পে সহায়তাকারী বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, এ প্রকল্পে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই দুই স্তরের শিক্ষাকে সম্প্রসারণে নানামুখী কর্মসূচী রয়েছে। এ দুই স্তরের শিক্ষাকে বাস্তব ও যুগোপযোগী করতেই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে শিক্ষার উন্নয়ন জরুরী। সেটি হতে হবে গুণগত-মানসম্মত ও যুগোপযোগী শিক্ষা। তবেই আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের দরবারে নিজের যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন পারকাশ এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ মাহামুদ-উল-হক প্রোগ্রাম সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এবং সারা বিশ্বে মানসম্মত শিক্ষা সবচেয়ে অগ্রাধিকার ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। মানসম্মত শিক্ষা জীবনের বাস্তবতা মোকাবেলায় একাডেমিক শিক্ষার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে। এসইডিপি শিক্ষার মান উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এসইডিপি প্রোগ্রামের আওতায় শিখন- শেখানো পদ্ধতির উন্নয়ন, শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, কারিকুলাম উন্নয়ন, ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মাধ্যমিক স্তরে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, নিয়োগ ও তত্ত্বাবধান, বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কারিকুলামের সামঞ্জস্য বিধান, শিক্ষকতার পেশাগত মান উন্নয়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মাধ্যমিক স্তরের সব প্রকল্প এ কর্মসূচীর (প্রোগ্রাম) অধীনে বাস্তবায়িত হবে। ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম সমন্বয় সহজ ও অধিকতর কার্যকর হবে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই দুই স্তরের শিক্ষাকে সম্প্রসারণে নানামুখী কর্মসূচী রয়েছে। এ দুই স্তরের শিক্ষাকে বাস্তব ও যুগোপযোগী করতেই এ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। ২০২১ সালের মধ্যে সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি অটোমেশনের আওতায় আনা একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসইডিপির এর আওতায় ডিজিটাল শ্রেণীকক্ষ, ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি, ডিজিটাল ল্যাব ও লাইব্রেরি তৈরি হবে। বিদ্যালয়সমূহের প্রতিদিনের কার্যক্রম অনলাইন মনিটরিং ব্যবস্থা চালু হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫ বছর মেয়াদী এ প্রোগ্রামটি ২০১৮ থেকে ২০২২ অর্থবছর মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। এ কর্মসূচীর প্রাক্কলিত ব্যয় ১৭ হাজার ২০০ মিলিয়ন ইউএস ডলার।
×