ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সচিব রৌনক জাহান

সব রিক্রুটিং এজেন্সিই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১ নভেম্বর ২০১৮

সব রিক্রুটিং এজেন্সিই মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আর সিন্ডিকেট নয়, এখন থেকে মালয়েশিয়ায় সব রিক্রুটিং এজেন্সিই কর্মী পাঠাতে পারবে। নতুন করে কোন সিন্ডিকেট মালয়েশিয়া শ্রমবাজারে কর্মী পাঠাতে পারবে না। মালয়েশিয়া কর্মী পাঠানোর বিষয়টি সব এজেন্সির আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এ কারণে এই বাজারে আর কোন সিন্ডিকেট হবে না। বুধবার প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ভবনে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান এ কথা বলেন। সচিব সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, মালয়েশিয়ায় এখন থেকে সব রিক্রুটিং এজেন্সিই কর্মী পাঠাতে পারবে। এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। আগের মতো সিন্ডিকেট হয়ে কর্মী যাবে কিনাÑ প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘সেটা থেকে বের হওয়ার জন্যই আমরা আলোচনা করেছি। সবার জন্য এটা ওপেন করে দেয়া হবে। সবাই কর্মী পাঠাতে পারবে।’ অভিযোগ উঠেছে নতুন করে সিন্ডিকেট হচ্ছেÑ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ রকম কিছুই হচ্ছে না। আপনারা যেটা শুনেছেন সেটা ঠিক না। তবে আমরা চেষ্টা করছি একটা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় যেন যেতে পারি। বাংলাদেশের জন্য এটা খুব একটা প্রয়োজনীয় বিষয় নয়। একটা হচ্ছে কষ্ট হ্রাস, আরেকটি হচ্ছে ইউনিফায়েড সিস্টেম- এই দুটি বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’ এবার মালয়েশিয়া থেকে সিন্ডিকেটের কোন চাপ আছে কি না জানতে চাইলে জবাবে প্রবাসীকল্যাণ সচিব বলেন, ‘এ রকম কোন চাপ নেই। বরং মালয়েশিয়ায় সরকার পরিবর্তন হওয়ায় তারা একটি স্বচ্ছ সিস্টেম চাচ্ছে, আমরাও সেটা চাচ্ছি। এটাই হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা একটা বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য দুপক্ষই কাজ করছি। সচিব বলেন, এটা আমাদের দ্বিতীয় ওয়ার্কিং কমিটির সভা। গত মাসে এটি হয়েছে। আরেকটি দ্রুত হলো। উদ্দেশ্যটাই হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি কর্মী সেখানে (মালয়েশিয়া) পাঠানো। এ বিষয়ে খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আপনারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত এটা শেষ করে আমরা কর্মী পাঠাতে পারব। সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, কবে থেকে কর্মী যাবে সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। আমাদের এখন তাড়াহুড়োর কিছু নেই। কারণ মালয়েশিয়াই তাদের তাগিদে কর্মী নিয়োগ করবে। তাদেরও প্রয়োজন, আমাদেরও প্রয়োজন। সেজন্যই এটা। আপনারা দেখেছেন এত তাড়াতাড়ি এত মিটিং হয় না, যেটা আমরা করেছি। কোন কোন পয়েন্টে আপনারা ঐকমত হয়েছেনÑ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সুখবর হচ্ছে কষ্ট হ্রাসের বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কত সেটা আমরা এখন বলব না, পরে বলব। বুধবার আরও একটি এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। ভিসা সত্যায়ন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের আইনী বাধ্যবাধকতা আছে। সেজন্য ভিসা সত্যায়ন করতে হবে। তারা সেটা মেনে নিয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে আজ ঢাকায় বসছে ‘ওয়ার্কিং কমিটির’ দ্বিতীয় বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের জটিলতা অবসান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। দুই দেশের কর্মকর্তারা গত ২৫ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় প্রথম বৈঠকের পর্যালোচনাও করা হয়েছে। একদিনের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে নতুন করে কোন প্রক্রিয়া মালয়েশিয়া কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে মালয়েশিয়ার পক্ষে ৫ সদস্য প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি (পলিসি ডিবিশন) এমডিএম বেট্রি হাসান। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান। সকাল দশটায় রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল ৪টায়। দীর্ঘ সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ইতিবাচক এই বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার বাজারটি আবার খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
×