স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার ডাকলে সংলাপে যাবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। যদিও দলের প্রধান কাদের সিদ্দিকী কিছুটা কৌশল করে বলেছেন, সরকার সংলাপের আহ্বান জানালে বিষয়টি তারা বিবেচনা করে দেখবেন।
বুধবার মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কাদের সিদ্দিকী।
দলটির এই নেতা বলেন, ‘এই সংলাপের উদ্যোগ ঐতিহাসিক সাফল্য। সংলাপের মতো ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত ও সাহসী পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেই নিতে পেরেছেন।’
কাদের সিদ্দিকী বলেন, আগামী ৩ নবেম্বর জেল হত্যা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানেই পরিষ্কার করা হবে যে আসন্ন নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ কী পদক্ষেপ নেবে বা কোন জোটে যাবে। রাজনীতিতে শেষ কথা বলতে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে চাড়াল-মুচি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হয়। যাদের কাছ থেকে আজকে পোড়াগন্ধ আসছে তার সঙ্গে আলোচনা করতে হয় এবং শেখ হাসিনা সেই কাজটিই করছেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, দেশে একটি সম্মানজনক রাজনৈতিক সমাজ চাই, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই। আজকে শ্রমিকের মুখে কালি মাখা হলো। এই কালি শ্রমিকের মুখে মাখেনি এটা আসলে দেশ ও জাতির মুখে মেখেছে। তিনি বলেন, প্রতি মুহূর্তে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হচ্ছে। সংলাপ ডাকার আগে দেশে অস্থিরতা ছিল। এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। এই উদ্যোগ এবং পদক্ষেপ মাইলফলক হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে লেখা থাকবে।
‘সংলাপের জন্য আমি ফুটপাথে ৬৪ দিন কাটিয়েছি এবং ৩০৮ দিন আমি ঘরের বাইরে ছিলাম। ফুটপাথে যখন ছিলাম তখন এই সরকারেরই সন্ত্রাসীরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য আমার বদনাটাও চুরি করে নিয়েছে’, যোগ করেন বঙ্গবীর।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম তারেক প্রমুখ। বৃহস্পতিবার রাতে কাদের সিদ্দিকীর বাসায় নৈশভোজে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। এর আগে কামাল হোসেনের আমন্ত্রণে কাদের সিদ্দিকী ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।