স্টাফ রিপোর্টার ॥ সকল ধর্মের মিলিত সংস্কৃতিই বাঙালী সংস্কৃতি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তাই সুদীর্ঘকালের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির সুমহান এ ঐতিহ্য সকলকে ধারণ করার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বিজয়া পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বিজয়া পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের আহŸায়ক এ্যাডভোকেট ষষ্টী সরকার। সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি বিজয়া পুনর্মিলনী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট মিন্টু কুমার মÐলের সঞ্চালনায় এবং আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাস, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী এবং আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, আবহমান কাল থেকে বাংলার প্রকৃতি বিভিন্ন রঙে রঙিন হয়েছে। কালের আবর্তনে প্রতিবছর শরৎকালে শারদীয় দুর্গাপূজা এ দেশে উদযাপিত হয়ে আসছে। শরতের কাশফুলের শুভ্রতা ও ঢাকের আওয়াজ বাঙালীর সার্বজনীন উৎসবকে মহিমান্বিত করে তোলে। মহিষাসুর বধের জন্য দুর্গাদেবী আবির্ভূত হয়ে তাকে দমন করে এবং শান্তি ও ধর্মের পুনঃস্থাপন করে। ভালো এবং মন্দের সংগ্রাম চিরকালই থাকবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, দুর্গাপূজা মূলত বাঙালী হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব কেবল ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না, সামাজিক সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এর তাৎপর্য অপরিসীম। এটি এখন শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় স¤প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলে আনন্দ-উৎসবে শামিল হওয়ার মাধ্যমে এটি সার্বজনীনতা লাভ করেছে। এটি হয়েছে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সব স¤প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য-স¤প্রীতির সেতুবন্ধনকে সুদৃঢ় করার এক অনন্য সামাজিক উৎসব।
