ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিঙ্গারের ব্যবসায় ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

সিঙ্গারের ব্যবসায় ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ-উল আজহায় রেকর্ড বিক্রির সুবাদে হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) সিঙ্গার বাংলাদেশের বিক্রি ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। গ্রস মার্জিন কিছুটা বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যয় নিয়ন্ত্রণেও সফল হয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিটি। পরিচালন মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ। সব ধরনের খরচ মেটানোর পর বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানির নিট মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ছিল ২৩ শতাংশ। তিন প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ টাকা ৮৯ পয়সা। প্রান্তিক ফলাফলের ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে সিঙ্গার বাংলাদেশের পর্ষদ চেয়ারম্যান গ্যাভিন ওয়াকার বলেন, এ বছর গ্রীষ্মে দেশের বিভিন্ন স্থানে অপ্রত্যাশিত অতিবৃষ্টি ছিল, যা কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউশন বাধাগ্রস্ত করেছে। তবে ঈদ-উল আজহায় রেকর্ড বিক্রির কারণে সিঙ্গার উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়। নয় মাসে কোম্পানির বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ১৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্যবসায়িক পরিবেশ, নতুন পণ্য ও নতুন নতুন বিপণন উদ্যোগ এ সাফল্যে ভূমিকা রেখেছে। সোমবার পর্ষদ সভা শেষে সিঙ্গার কর্তৃপক্ষ জানায়, বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে সিঙ্গারের গ্রস মুনাফার মার্জিন ২৬ দশমিক ৫ থেকে ২৬ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পরিচালন ব্যয় মোট বিক্রির ১৬ দশমিক ৫ থেকে ১৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফায় প্রবৃদ্ধি ছিল ৪১.৩ শতাংশ। করসহ সব ধরনের ব্যয় বাদ দিয়ে কোম্পানির নিট মুনাফা হয়েছে ৮৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৩ শতাংশ বেশি। কর্তৃপক্ষ জানায়, সিঙ্গারের আউটলেটগুলো থেকে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন, বিকাশ, গ্রামীণ এয়ারটাইম রিলোড এবং ইউটিলিটি বিল প্রদানের মতো আর্থিক সেবাগুলোর টার্নওভার বেড়েছে ৩৩ শতাংশ। বিক্রয়কেন্দ্রগুলোয় প্রায় সাত লাখ মানুষের পদচারণা ছিল। সেখানে কম্পিউটার বিক্রিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯২ দশমিক ২ শতাংশ, প্যানেল টিভি ৩৫ শতাংশ, কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স ২৩ শতাংশ, রেফ্রিজারেটর ২০ শতাংশ এবং আসবাবপত্রের বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৪ শতাংশ বেড়েছে।
×