ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুরিয়ারে ফের ধরা পড়ল সোনার চালান

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৩১ অক্টোবর ২০১৮

কুরিয়ারে ফের ধরা পড়ল সোনার চালান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুরিয়ার সার্ভিসে আবারও সোনার চালান ধরা পড়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি সোনার চালান জব্দ করে ঢাকা কাস্টমস হাউস। শীর্ষস্থানীয় ডিএইচএল কুরিয়ারের মাধ্যমে চালানটি আসে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে ওই চালান জব্দ করা হয়। এ বিষয়ে ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, সোমবার রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের দুটি প্যাকেটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে সোনার এ চালান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে তল্লাশি করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। তারা কুরিয়ার গেটের সামনেই দুটো প্যাকেট দেখতে পান। ডিএইচএল কুরিয়ার সার্ভিসের দুটি বড় আকারের প্যাকেট তাৎক্ষণিক খোলা হয়। এ সময় এমপি থ্রি মিউজিক প্লেয়ারের পার্টসের এ দুটি প্যাকেটে পাঁচটি করে মোট ১০টি সোনার বার জব্দ করা হয়। প্রতিটি বারের ওজন এক কেজি করে। দাম প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। অথেলো চৌধুরী বলেন, প্যাকেটের ওপর প্রাপকের নাম লেখা ছিল কামরুল ইসলাম। শুল্ক গোয়েন্দারা যাচাই-বাছাই করে দেখেন ঠিকানাটি ভুয়া। চালানটি সিঙ্গাপুর থেকে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাঠানো হয়েছিল। তবে এ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এদিকে ডিএইচএল-এর মতো শীর্ষস্থানীয় কুরিয়ার সার্ভিসের নামে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে কোন পার্সেল আসা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন একাধিক সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট। তারা জানিয়েছেন, এর আগেও একই কায়দায় সোনার চালান আনা হয়। তখনও ডিএইচএল তা অস্বীকার করে। পরে গোয়েন্দা তদন্তে বিষয়টি চিহ্নিত হয়। সিঙ্গাপুর থেকে ওই চালানের প্রেরকের ঠিকানা সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কুরিয়ার সার্ভিস কিভাবে তা বুকিং দিয়েছে, তা রহস্যজনক। কুরিয়ার সার্ভিসের যোগসাজশ ছাড়া কিছুতেই এ ধরনের চালান আনা সম্ভব নয়। ঢাকা কাস্টমস হাউস সূত্র জানা গেছে, কামরুল ইসলামের নামে আসা ওই চালানটিতে যে ঠিকানা লেখা ছিল সে সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা ফাঁদ পাতলে ধরা সম্ভব হতো। কুরিয়ার গেটের সামনেই ঘোরাফিরা করতে দেখা গেছে কজন সন্দিগ্ধকে। একটু সতর্ক ও কৌশলি হলেই ওই চালানের হোতাদের আটক করা যেত। ওথেলো চৌধুরী বলেন, আমরা সোমবার রাত থেকেই নানা কৌশলে মূল হোতাকে ধরার চেষ্টা করেছি। এখনও চলছে নজরদারি।
×