ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও নৌকায় ভোট দিন, দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

আবারও নৌকায় ভোট দিন, দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা দেশবাসীর কাছে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার উদাত্ত আহŸান জানিয়ে বলেছেন, দেশের অদম্য অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে। সারাদেশে যে উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশ পেয়েছে, তাতে আমি বিশ্বাস করিÑ বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চয় আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। জনগণের কাছে আমার আবেদন, আমরা যে মেগা প্রজেক্ট (প্রকল্প) গ্রহণ করেছি, তা সমাপ্ত করার জন্য আমাদের আরও কিছু সময় প্রয়োজন। আর সেই সুযোগটি দিতে পারে একমাত্র দেশের জনগণ। আমি বিশ্বাস করি দেশের মানুষ নিশ্চয়ই সেই সুযোগ আমাদের করে দেবেন। বাংলাদেশের মানুষ সেই সুযোগটি যদি দেয়, ’২১ সালের মধ্যে দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত করার যে কাজে আমরা হাত দিয়েছি, সেটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে পারব। দেশবাসীর প্রতি আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আরেকবার নৌকায় ভোট দিন, আরেক দেশ সেবার সুযোগ দিনÑ ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে, এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের মানুষকে আর কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। দেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেছি। দেশের জনগণ আমাদের আবারও দেশ সেবার সুযোগ দিলে অবশ্যই দেশকে আমরা ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলব। যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, ততক্ষণ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাব। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদের সমাপনী বক্তব্যে অংশ নিয়ে তিনি এ আহŸান জানান। সমাপনী অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিল। সমাপনী অধিবেশনে বিরোধী দলের নেতাও সমাপনী বক্তব্যে রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কাজ আমরা হাতে নিয়েছি, ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করা। সেই কাজ আমরা করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই উন্নয়ন-অগ্রগতি ও বিশ্ব স্বীকৃতি ধরে রাখতে দরকার সরকারের ধারাবাহিকতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনে কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার বেঁচে থাকাটাই একটা দুর্ঘটনা। আমার ওপর বারবার আঘাত এসেছে। গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা হয়েছি। আমি জানি যে কোন সময় আমি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারি। এটা জেনেই আমি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। যতক্ষণ দেশে প্রাণ আছে, ততক্ষণ দেশের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাব। মানুষকে সুন্দর জীবন দেব, সেজন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। দিনরাত এত পরিশ্রম কার স্বার্থে, কার জন্য? আমার নিজের কোন স্বার্থ নেই, জনগণের স্বার্থে-কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। তাই দেশবাসীর প্রতি আমার আবেদন, আবার নৌকায় ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ দিন, বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবেই। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বে বাংলাদেশে যে সম্মান বইয়ে এনেছে, তা ধরে রাখতে হবে। লাখো শহীদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোন যুদ্ধ-বিগ্রহ না হয়, এটাই হচ্ছে সংসদের শেষ অধিবেশন। বঙ্গবন্ধু দেশকে স্বাধীন করেছিলেন একটি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে নিয়ে। তা হচ্ছে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন, উন্নত জীবন দেয়া। বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের ১৮ জনকে হারিয়ে আমাকে ৬ বছর রিফিউজি জীবন কাটাতে হয়েছে। শত বাধা সত্তে¡ও দেশের মানুষ ও দলের সাহায্যে ’৮১ সালে দেশে ফিরে আসি। দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং বাবার স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। শত বাঁধার মুখেও ২০১৪ সালে নির্বাচনে ভোট দেয়ার জন্য জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমরা মানুষের দিনবদলের সনদ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি, মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন হয়েছে। বাজেট সাতগুণ বৃদ্ধি করেছি। নিজস্ব অর্থায়নেই আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। উন্নয়ন প্রকল্পও ৯০ ভাগই নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছি, কারও কাছে হাত পাততে হয় না। সেই আত্মমর্যাদা আমাদের গড়ে উঠেছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। সেটি এখন দৃশ্যমান। বঙ্গবন্ধুর উদ্বৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পাওয়া যেমন কষ্টকর, তা রক্ষা করা আরও কষ্টকর। পাওয়া যত কষ্টকর, তা ধরে রাখা আরও কষ্টকর। দেশকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে আনতে সক্ষম হয়েছি। স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে, কঠোর পরিশ্রম ও সৎ পথে দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি। সেই পরিশ্রমের ফসল দেশের জনগণ এখন ভোগ করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণ করাই আমরা একমাত্র কর্তব্য। বিরোধী দলের দাবীর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রাণচাঞ্চল্য ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় সেজন্য ব্যাংক, বীমা, বেসরকারি টেলিভিশনসহ সবকিছু বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্ম তাদের ভবিষ্যত কী হবে, জীবনমান কেমন হবে? কেমন বাংলাদেশ রেখে যেতে চাই, সেটাই একমাত্র চিন্তা। টানা ১০ বছরে আমাদের শাসনমালে তরুণ প্রজন্মের সুন্দর জীবন দিতে প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়েছি। আজকে আমরা নিজস্ব বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১৫ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে। এত সিম ব্যবহার পৃথিবীর কোন দেশে নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা তাদের মর্যাদা রক্ষা করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে সুনির্দিষ্ট টার্গেট করেছি শুধু আইসিটি খাত থেকেই ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করব। ইন্টারনেট ব্যবহারে বিশ্বব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে এখন দ্বিতীয়। ৬ লাখেরও বেশি দেশের তরুণ-তরুণী দেশে ঘরে বসেই আউটসোর্সিয়ের মাধ্যমে বিদেশ থেকে অর্থ উপার্জন করছে। মোবাইল ব্যাংকিংও যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকে প্রতিদিন ১ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে, এটাই হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোরবানির গরুও এখন অনলাইনে বিক্রি হয়। সাড়ে সাত হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলেছি। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আইটি খাতে বিরাজ সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য। ২০২১ সাল নাগাদ ১ হাজার ১৮৭টি ই-সেবা চালু করা হবে। সাইবার ঝুঁকি থেকে দেশকে রক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করেছি। যারা শুধু ক্রাইম করবে তাদের ক্ষেত্রে ব্যবহার হবে, অন্যদের চিন্তা করার কোন কারণ নেই। সংসদ নেতা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রাখতে পারি, তবে বিশ্ব স্বীকৃতি পাবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সরকারের ধারাবাহিকতা একান্তভাবে প্রয়োজন। যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যের সংখ্যা ১৮ ভাগ। আমরা তার থেকেই কমে নিয়ে আসব। জনগণ ভোট দিলে আমরা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, কর্মসংস্থানের কোন অভাব হবে না। রেলপথ, সড়কপথ ও নৌপথ সচল করব যাতে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায়। দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮ ভাগে উন্নীত করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক সুফল গ্রামের তৃণমূলের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। গ্রামীণ জীবন এখন পাল্টে গেছে। প্রত্যেকটা গ্রামকে শহরে পরিণত করব, গ্রামে বসেই যেন নাগরিক সুবিধা পায়। তিনি বলেন, কওমি মাদ্রাসার কোন স্বীকৃতি ছিল না। আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। ১৪-১৫ লাখ শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যত হবে, চাকরি পাবে দেশে-বিদেশে। সেই সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় সরকারী স্কুল করে দিচ্ছি। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে এর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। মাদ্রকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। দুর্নীতি বিরুদ্ধেও অভিযান চালাচ্ছে। আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব। উন্নয়নের ছোঁয়া বাংলাদেশের মানুষের মনে লেগেছে, নিশ্চয় তারা নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহŸান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের কাছে আহŸান, মেগা প্রকল্প নিয়েছি, তরুণ প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে আরও কিছু সময় আমাদের প্রয়োজন। আর এ সময় দিতে পারে দেশের জনগণ। জনগণ ভোট দিলে আমরা লক্ষ্য স্থির করেছি, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, সেটি আমরা অবশ্যই গড়ে তুলব। ২০২০-২১ বর্ষকে মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ে তুলব। আগামী একশ বছরে বাংলাদেশ কেমন হবে, সেজন্যও ডেল্টা প্লান-২১০০ ঘোষণা করেছি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিসয়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে চলতে পারবে, সেটা আমরা করতে পারব সেই দৃঢ় বিশ্বাস আমার আছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ প্রতিটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়Ñ বঙ্গবন্ধুর সেই পথ আমরা রক্ষা করতে পেরেছি। বøু-ইকোনমি আমরা ঘোষণা করেছি। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারলে বুø-ইকোনমি বাস্তবায়ন করবো। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়নের সুফল দেশের সকল মানুষ ভোগ করছে। সকলের সহযোগিতায় আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। বিরোধী দলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আগে সংসদের যে পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে, কত নোংরা কথা শুনতে হয়েছে। টিভি ক্যামেরা, ফাইল, চেয়ার, ফোল্ডার কোনকিছুই রেহাই পায়নি। দশম জাতীয় সংসদে বর্বরতা, অসভ্যতা কাউকে শুনতে হয়নি। সংসদ যে জাতি, দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে, দশম জাতীয় সংসদ তা প্রমাণ করেছে। গণতন্ত্রের প্রতি জনগণের আস্থা-বিশ্বাস বেড়েছে। গণতন্ত্র থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, তাও প্রমাণিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার জীবনে কোন চাওয়া-পাওয়া নেই। আমার ওপর বার বার আঘাত এসেছে। গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা এসেছে। যতক্ষণ দেশে প্রাণ আছে, ততক্ষণ দেশের জন্য, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করে যাব। মানুষকে সুন্দর জীবন দেব, সেজন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ভোট দিয়ে আবার সেবা করার সুযোগ দেন, বাংলাদেশ অদ্যম গতিতে এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বে বাংলাদেশে যে সম্মান বইয়ে এনেছে, তা ধরে রাখতে হবে। লাখো শহীদের রক্ত আমরা বৃথা যেতে দেব না। বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী কবি সুকান্তের কবিতাটি উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, সুকান্তের ভাষায় বলবÑ চলে যাবÑ তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ, প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমিÑ নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার। তাই আবার দেশ সেবার সুযোগ পেলে অবশ্যই দেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করে গড়ে তুলব। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। ২০৪১ সালে হয়তো বেঁচে থাকব না। কিন্তু যে কাজ আমরা শুরু করেছি, যারাই ক্ষমতায় আসবে, তারা ওই সময়ের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ যদি উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের মানুষ কী অপরাধ করেছে? তারা কেন পারবে না। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের মানুষও উন্নত সমৃদ্ধ জীবন পাবে।
×