ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

স্কুল কলেজে শুরু হচ্ছে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

স্কুল কলেজে শুরু হচ্ছে বিজয় ফুল প্রতিযোগিতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ফুল শাপলাকে প্রতীক ধরে সারা দেশের সকল স্কুল-কলেজে শুরু হচ্ছে বিশেষ প্রতিযোগিতা ‘বিজয় ফুল’। ছয় পাপড়ির এই ফুলের মাধ্যমে স্মরণ করা হবে বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে। প্রথমবারের মতো দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘বিজয় ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে হবে। গ্রুপ-ক : শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণী, গ্রুপ-খ : ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী এবং গ্রুপ- গ : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি থেকে পুরস্কার বিতরণ করবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এই বিশেষ আয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা তদারকি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধান করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। ‘বিজয় ফুল’ তৈরি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতার কর্মসূচী তথ্য মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সোমবার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে জানানো হয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হবে এ আয়োজন। এর পর উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে স্ব স্ব দফতরকে এ কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করবে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ সভার সূত্রমতে, ১৭ অক্টোবর থেকে ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আগামী ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়কের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোকপাত করা হয়। বলা হয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামে প্রতিবছর ১১ নবেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত বীর শহীদদের স্মরণে ‘রিমেমব্র্যান্স ডে’র আয়োজন করা হয়। যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে পোশাকে লাল পপি ফুল ধারণ করে সবাই। বাংলাদেশেও আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে ‘বিজয় ফুল’র প্রচলন করতে পারি। পাশাপাশি বিজয়ের মাসে ০১-১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাকে ‘বিজয় ফুল’ প্রতীক ধারণ করতে পারি। বিজয় ফুল শুধু একটি প্রতীক বা একটি স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও বটে। এ ফুলের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা বলতে পারি। সেই সঙ্গে আমরা বিজয় ফুলকে নিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি। সুন্দরভাবে তৈরি করা বিজয় ফুলের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। তৈরি করা বিজয় ফুল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অথবা প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় প্রদান করা হবে। অসাম্প্রদায়িক সমাজের প্রত্যাশায় উদীচীর সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপ্তি ॥ অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠনের প্রত্যাশায় নতুন শপথ নেয়ার মাধ্যমে শেষ হলো উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী আয়োজন। দেশ দেশে ছড়িয়ে থাকা উদীচীর সাড়ে তিন শতাধিক জেলা ও শাখা সংসদে একযোগে উত্তোলন করা হয় জাতীয় পতাকা। গাওয়া হয় জাতীয় ও সংগঠনের সঙ্গীত। সোমবার ছিল উদীচীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন এবং সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে তিন দিনব্যাপী উৎসবের সমাপনী দিন। এদিন বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় ও সংগঠন সঙ্গীত পরিবেশন করেন উদীচীর শিল্পী ও সদস্যরা। ‘শত নারী এক পুরুষ’ নাটকের মঞ্চায়ন ॥ সোমবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হলো ‘শত নারী এক পুরুষ’। সিরাজ হায়দার রচিত রঙ্গনা নাট্যগোষ্ঠী প্রযোজিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন হাসান হাফিজুর রহমান।
×