ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খালেদার সাজার প্রতিবাদে কর্মসূচীতে দু’পক্ষের মারামারি

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

খালেদার সাজার প্রতিবাদে কর্মসূচীতে দু’পক্ষের মারামারি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়ায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সোমবার বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলায় সাজার প্রতিবাদে আয়োজিত দলীয় কর্মসূচীতে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও মারপিট হয়েছে। প্রতিপক্ষ গ্রুপের হাতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাইন মারপিটে আহত হয়। এর আগে রবিবার রাতে জেলা যুবদল কার্যালয়ে যুবদলের সভাপতি গ্রুপের বেদম মারপিটে আহত হয় জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাব্বির হুসাইন বাবলু। সে একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সূত্র জানায়, বিএনপিসহ এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে কয়েকটি গ্রুপে দ্বিধা বিভক্তি রয়েছে। খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের জন্য দলীয় কর্মসূচী পালন করতে এসে এর আগেও একাধিকবার কখনও বিএনপি কখনও বা যুবদল এবং ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে হাতাহাতি ও ধাওয়া হয়েছে। সোমবার দলীয় চেয়ারপার্সনের দুর্নীতি মামলায় সাজার প্রতিবাদে জেলা বিএনপি সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। দুপুরে এই সমাবেশ শুরুর সময় সামনের দিকে দাঁড়ানো নিয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর পরিমল চন্দ্র দাসের সঙ্গে আরেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাইনের সঙ্গে বিরোধ হয়। বিএনপি নেতা নাইনের অভিযোগ, পরিমল তাকে প্রথমে ঘুষি মারেন। তবে পরিমল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এ ঘটনার জের ধরে দলীয় কর্মসূচীর শেষের দিকে নাইনের ওপর এক গ্রুপ হামলা চালায় এবং ধাওয়া করে কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় দলের কয়েক সিনিয়র নেতা তাকে রক্ষা করেন। নাইন অভিযোগ করেছেন, জেলা বিএনপির সভাপতির ইন্ধনে পরিমল লোকজন নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তিনি তাৎক্ষণিক এ ঘটনার জন্য দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট বিচার চেয়েছেন বলে জানান। তবে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল জানিয়েছেন, মারপিটের কোন ঘটনা ঘটেনি। সামনে দাঁড়ানো নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। তিনি আরও জানান, যেখানে মারপিট হয়নি সেখানে ইন্ধন থাকার প্রশ্ন নেই। অপরদিকে রবিবার রাতে জেলা যুবদল কার্যালয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার ও তার লোকজনের বেদম মারপিটে আহত হন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাব্বির হুসাইন বাবলু। তার অভিযোগ রাত ৮টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে বসে থাকার সময় জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার ১৫/২০ জন লোক নিয়ে সেখানে আসে এবং হঠাৎ করে তার ওপর হামলা চালায়। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম তাকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এরপরেও তাকে বেদম মারপিট করা হয়। আঘাতে তার একটি চোখ মারাত্মকভাবে জখম হয়। তিনি জানান, জেলা যুবদলের কমিটিতে কয়েক মাদকসেবী ও বিক্রেতা থাকার বিষয়ে অভিযোগ এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের আগে তিনি একটি কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে ছিলেন। এতে সিপার তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। মারপিটের বিষয়ে জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার জানান, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। কিছু জুনিয়র ছেলের সঙ্গে বাবলুর বচসা ও মারপিট হয়। তিনি পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবলুকে মারপিট থেকে রক্ষা করে চিকিৎসকের কাছে পাঠান। কমিটিতে কিছু ছেলেকে স্থান দেয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে বালুর সঙ্গে ওই ছেলেদের সঙ্গে বিরোধ ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
×