ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট (এতিমখানা) দুর্নীতি মামলায় দ-িত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার খালাস চেয়ে করা আপীল ও সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের আপীলের শুনানি শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে এই মামলায় রায় ঘোষণার জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছে আদালত। সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা এই আপীল আবেদনে তার খালাস চেয়েছেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন চেয়েছেন। আর রাষ্ট্রপক্ষ বিচারিক আদালতের দেয়া ৫ বছরের সাজাই বহাল রাখার পক্ষে যুক্তি দিয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খালেদা জিয়া এই সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপীল করেন। এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আপীল ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নিস্পত্তির নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে বিএনপির আইনজীবীরা আবেদন করলে সোমবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপীল বেঞ্চ এটি খারিজ করে দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী ও জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এর আগে সকালে শুনানিতে খালেদা জিয়ার আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, হাইকোর্টে আমাদের আপীলের আরগুমেন্ট এখনও শেষ হয়নি। ন্যায়বিচারের স্বার্থে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ট্রাস্টের অর্থের উৎস বিষয়ে দেয়া প্রতিবেদনের ওপর হাইকোর্টের কাছে আদেশ প্রার্থনা করেছি। কিন্তু আদেশ পাইনি। আদালত আদেশ না দেয়ায় আমরা আপীল বিভাগে এসেছি। জবাবে আদালত বলেন, আমরা আর কতবার সময় দেব, সময় তো দিলাম। এ সময় এ্যাটর্নি জেনারেল ও দুদক আইনজীবী এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান গত ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়। রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি (সার্টিফায়েড কপি) হাতে পান খালেদার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি তারা আপীল করেন। গত ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদার আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তার অর্থদ- স্থগিত করে হাইকোর্ট। এরপর ৭ মার্চ অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপীলও শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। পরে ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বাড়াতে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র ও খালেদা জিয়ার কাছে ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। তবে আদালত বলে দেয়, রুলের ওপর শুনানি হবে খালেদা জিয়ার আপীলের সঙ্গে। আদালত আদেশে বলে, দুদক আইনে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে এ ধরনের রিভিশন বা আপীল দুর্নীতি দমন কমিশন করতে পারে কিনা- সে বিষয়টি আলোচনা ও ব্যাখ্যার দাবি রাখে। গত ১০ মে আরেক আসামি শরফুদ্দিনের আপীলও শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত। ১২ জুলাই থেকে আপীল ও রুল শুনানি শুরু হয়।
×