ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ৩০ অক্টোবর ২০১৮

প্রতিবাদ

জনকণ্ঠে সোমবার (২৯ অক্টোবর) প্রকাশিত ‘মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন’ শিরোনামে প্রকাশিত টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জনসভা প- হওয়ার সংবাদের কিছু অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান। প্রতিবাদে তিনি বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ঘোষিত রায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকর করা এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমানের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক জনসভা আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডাঃ দীপু মনি এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। তার সম্মতি ও নির্দেশক্রমে জনসভার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সালাম পিন্টুর জন্মস্থান এই গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নে। একারণেই সর্বসম্মতি ক্রমে জনসভাটি হেমনগর ইউনিয়নে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ডাঃ দীপু মনির নির্দেশনায় জনসভাটির আয়োজনের তারিখ ও প্রেক্ষাপট টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী টাঙ্গাইল জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি, গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস রহমান তালুকদার ঠা-ু, খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্মৃতিসহ জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে যথারীতি অবহিত করা হয়। জনসভায় মোজাম্মেল বাবু, মোহাম্মদ এ. আরাফাতসহ সুশীল সমাজের বেশ ক’জন প্রতিনিধির উপস্থিত থাকার কথা ছিল। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব ‘দুর্গাপূজার’ বিজয়া দশমী ১৯শে অক্টোবর থাকায় ডাঃ দীপু মনির সম্মতি ও নির্দেশনায় জনসভার তারিখ একদিন পিছিয়ে ২০ অক্টোবর শনিবার নির্ধারণ করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত: টাঙ্গাইল জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক তানভীর হাসান ছোট মনি এবং গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুস রহমান তালুকদার ঠা-ুর প্রত্যক্ষ মদদে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিপ্রায়ে ‘ওই জনসভায় বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান-এর ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকে একক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে’ মর্মে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে নারকীয় সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সৃষ্টি করা হয়। তাদের অনুসারীগণ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত সকল পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সঙ্গে তাদের লেলিয়ে দেয়া সন্ত্রসীরা ভুয়াপুর ও গোপালপুর থানায় নির্মিত সকল বিলবোর্ড, তোরণ ভেঙ্গে ফেলে এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান এর ছবিসহ পোস্টার ছিঁড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের অনুসারীরা প্রকাশ্যে রামদাসহ লাঠিসোটা নিয়ে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং হুমকি প্রদর্শন করে। সমগ্র ঘটনাবলী তাৎক্ষণিকভাবে ডাঃ দীপু মনিকে অবহিত করে তার নির্দেশে জনসভার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে অচিরেই সভাটি অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন এবং সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। জনসভায় একক ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার যে মিথ্যা ও অন্যায়মূলক প্রচারণা চালানো হয় তা সবই মিথ্যা, বানোয়াট ও দূরভিসন্ধিমূলক। যারা এই সকল নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে রিপোর্ট দেয়ার জন্য জেলা কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
×