ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চলবে মনপুরা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

 নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চলবে মনপুরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শতভাগ নবায়নযোগ্য জ¦ালানিতে চলবে মনপুরা। ভোলার দ্বীপ উপজেলা সোলার মিনি গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলো জ¦লে ছিল। এখন সৌর বিদ্যুতের সঙ্গে যোগ হচ্ছে বায়ু। মনপুরার মানুষকে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুত বিভাগ। এর মাধ্যমে দেশের প্রথম কোন এলাকা শতভাগ নবায়নযোগ্য বিদ্যুতে চলবে। ভবিষ্যতে জীবাশ্মা জ্বালানি শেষ হলে নবায়নযোগ্য জ¦ালানির ওপরই নির্ভর করতে হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন উন্নত দেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকাশে গবেষণা শুরু করেছে। প্রতিবেশী দেশ ভারতও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুত উৎপাদন খরচ কমিয়ে এনেছে। বিদ্যুত বিভাগ সূত্র বলছে, মনপুরা দ্বীপে একটি ১৮০ কিলোওয়াট এর সোলার মিনি গ্রিড রয়েছে। এছাড়া সোলার মিনিগ্রিডের দুটি প্রকল্পে অবকাঠামো উন্নয়ন ব্যাংক (ইডকল) অর্থায়নের অনুমোদন পেয়েছে। এই দুটি মিনি গ্রিড যথাক্রমে ২১৮ কিলোওয়াট এবং ২৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতার। দুটি প্রকল্পের মধ্যে ২৮০ কিলোওয়াট ক্ষমতার মিনি গ্রিডের সঙ্গে ১০০ কিলোওয়াট এর একটি উইন্ড মিল স্থাপন করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সোলারের সঙ্গে বায়ু বিদ্যুতের প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোকে হাইব্রিড প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়। রাতে সৌর বিদ্যুত পাওয়া সম্ভব না। এই সময়ে বিদ্যুত পরিবহনের জন্য নির্মাণ করা গ্রিড পড়ে থাকে। সৌর বিদ্যুতের সঙ্গে বায়ু বিদ্যুত নির্মাণ করা হলে সারাদিন রাতই বিদ্যুত পাওয়া যায়। রাতে যখন সৌর বিদ্যুত পাওয়া যাবে না তখন বায়ু বিদ্যুত পরিবহনে ওই গ্রিড ব্যবহার করা যায়। ভোলার মূল ভূখন্ড থেকে মনপুরার দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। মোহনায় হওয়াতে বায়ুর প্রবাহ বেশি থাকায় মনপুরায় বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হয়। সাধারণত ২ দশমিক ৩ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটার/ সেকেন্ড হলেই বায়ু বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের দাম বেশি পড়ে। কিন্তু ৫ থেকে ৬ মিটার/ সেকেন্ড বাসাতের গতিবেগ হলে বিদ্যুত উৎপাদন অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করা সম্ভব। এখন আধুনিক প্রযুক্তি এসেছে একটি টারবাইন দিয়ে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা সম্ভব। সম্প্রতি আমেরিকার ন্যাশনাল রিনিউয়েবেল এনার্জি ল্যাবরেটরি (এনআরইএল) সম্প্রতি বাংলাদেশের ইউন্ড ম্যাপিং এর যে ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায় উপকূলে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। মনপুরার মতো দ্বীপে যে সুযোগ কাজে লাগানো যেতে পারে। মিনি গ্রিডে প্রথম পর্যায়ে মাত্র ৬৫৫ জন গ্রাহক এ সুবিধার আওতায় এসেছে। পর্যায়ক্রমে গ্রাহকের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ বিদ্যুতের মাধ্যমে শিল্প কারখানা চালানো যাবে। প্রথম পর্যায়ে ২টি স-মিল, ২টি রাইস মিল ও একটি বরফ কলে বিদ্যুত সরবরাহ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটিতে ইটকল ৩০ ভাগ, বিশ্বব্যাংক ৫০ ভাগ অনুদান দিয়েছে এবং উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান সোলার ইলেক্ট্রো বাংলাদেশ লিমিটেড ২০ ভাগ ব্যয়ভার বহন করছে।
×