সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সুরবৈচিত্র্য ও কাব্যমাধুর্যে বাংলা গান বিশিষ্টতা লাভ করেছে রবীন্দ্রনাথের গানে। তাঁর গানের বিশেষ প্রকাশভঙ্গি ও শান্তরসের আবেদন আমাদের মনকে স্পর্শ করে। আগামীকাল মঙ্গলবার ছায়ানট মিলনায়তনে আয়োজিত হতে যাচ্ছে নিয়মিত গানের আসর ‘প্রাণের খেলা’। এ অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনাবেন অদিতি মহসিন এবং অভিক দেব। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
শিল্পী অদিতি মহসিনের জন্ম ঢাকায়। ছোটবেলা থেকেই গান-বাজনায় আগ্রহ। সঙ্গীতে যাত্রা শুরু বুলবুল ললিতকলা একাডেমিতে। ১৯৯২ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং সঙ্গীত বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সেই সময়ে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেন, গোরা সর্বাধিকারী ও স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের কাছে তাঁর গান শেখার সুযোগ হয়। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মোহন সিং ও অরূপরতন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তালিম নেন। ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে শিক্ষকতা করেছেন। একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলে সঙ্গীতবিষয়ক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও গান পরিবেশন করে থাকেন। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ব্যানারে তাঁর ছয়টি এ্যালবামসহ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ১০টি একক ও একাধিক দলীয় এ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে। ২০০৪ সালে অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার পান। সেরা রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে ২০০৬ সালে সিটিসেল-চ্যানেল আই পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৬ সালে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হলে সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অন্যদিকে শিল্পী অভীক দেবের জন্ম: ১৯৮৬ সালে সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে। ছেলেবেলায় মায়ের কাছে গানের চর্চা শুরু। রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রথম গুরু রাশবিহারী চক্রবর্তী। ২০০৫ সাল থেকে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার সুরের ধারা সঙ্গীত বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। ২০০৯ সালে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের প্রতিযোগিতায় প্রথম মান অর্জন। ২০১১-তে চ্যানেল আই ও ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত ‘নব গানে নব প্রাণে’ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। ‘সামনে মিলন স্বর্গ’ এবং ‘এ বাণী প্রেয়সী’ শিরোনামে রবীন্দ্রসঙ্গীতের দুটি এ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে তার। ‘সুরের ধারা’য় সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত আছেন। এছাড়া পেশাগতভাবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন।
