ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জমে উঠছে ‘জোট জোট’ খেলা

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ২৯ অক্টোবর ২০১৮

  জমে উঠছে ‘জোট জোট’ খেলা

বহুদিন পর স্কুল জীবনের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। সে আমায় বলল, ‘দোস্ত, শেখের বেটী’ তার সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সদ্য গঠিত ঐক্যজোট সম্পর্কে একটা মোক্ষম কথাই বলেছেন বটে! তিনি যথার্থই বলেছেন যে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জোট, মহাজোট ঐক্যজোট গঠিত হলে দোষের কিছুই নেই, কিন্তু সদ্য গঠিত এই জোটের মধ্যে রাজনীতিটা কোথায়? এই জোটে তো আগুন-সন্ত্রাসী, খুনী, লুটেরা, অর্থ পাচারকারী, বোমাবাজরা শামিল হয়েছে। বন্ধুর কথাটা মনে ধরল এবং ভেবে দেখলাম আসলেই তো তাই। যারা এই ঐক্যজোটে শামিল হয়েছেন তাদের অতীতটা একটু বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরী। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে ছোট-বড় দলের মধ্যে জোট হবে এটা তো স্বাভাবিক! কিন্তু যে ৭ দফা দাবি তারা পেশ করেছেন তা যে বর্তমান সাংবিধানিক বাধ্য-বাধকতার কারণে কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় এটি তারা জেনেও না জানার ভান করছেন। দেশ এই সরকারের আমলে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যাবার যে সমস্ত গীত এই নেতারা সমস্বরে গেয়ে চলেছেন তা যে কত বড় মিথ্যা সেটাও তারা বিলক্ষণ জানেন, কিন্তু এরপরও এই হীনকর্ম তারা করে যাচ্ছেন নিছক ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির মাধ্যমে নিজেদের মতলবি স্বার্থোদ্ধারের উদ্দেশ্যে! নির্বাচনী জোট গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় একটি ইতিবাচক বিষয়। তবে কথা হলো, ড. কামাল সাহেবরা আদৌ নির্বাচন চান কি-না সেটিও বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ, তার এবং তার সতীর্থদের কথা-বার্তা, হুমকি-ধমকি, জামায়াত বিষয়ে রাখ-ঢাক ইত্যাদি নির্বাচন নিয়ে একটি হট্টগোল বা ঝামেলা বাধাবার পাঁয়তারা বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাদের শর্তগুলোও বিশেষ উদ্দেশ্যে! পা বাড়িয়ে ঝগড়া সৃষ্টির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টাই যে তারা করে চলেছেন সন্দেহ নেই? ড. কামাল, আসম রব, মান্নারা কাদের প্রতিনিধিত্ব করছেন তা জাতির কাছে খোলাসা হওয়া দরকার। লক্ষণীয় যে, অতীতের চক্রান্তবাজরা এবার এক প্ল্যাটফর্মে শামিল হয়েছেন! এরা গণতন্ত্রের নামাবলী গায়ে দিয়ে মাঠে নেমেছেন তাদের যার যার মোক্ষ লাভের উদ্দেশ্যে। কেউ আছেন তাদের বিদেশী প্রভুদের সেবা করার জন্য এক পায়ে দাঁড়িয়ে, কেউ আবার হাওয়া ভবনের রাজত্ব ফিরিয়ে আনার স্বপ্নে বিভোর হয়ে। কেউ কেউ তো জোটের কাঁধে ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে। আবার এমনও আছেন যারা খালেদা-তারেক নেতৃত্ব থেকে হটিয়ে বিএনপিকে নতুন রূপে সাজাবার স্বপ্ন দেখছেন। এমনি ধারার কত রকম কারেন্ট যে এখন ওই জোটের মধ্যে প্রবাহিত হচ্ছে তা নির্ণয় করাও কঠিন! ড. কামালের রাজনৈতিক উত্থান এবং বিকাশ ঘটেছিল আওয়ামী লীগ তথা- বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে সেই ষাটের দশকের শেষ দিকে। তিনি যে সংবিধানটি রচনা করেছিলেন আজ নিজেই তার বিরোধিতা করে ফিরছেন। আ স ম রব এবং মান্নাও তো আওয়ামী লীগের প্রোডাক্ট। তাদের যতটুকু গৌরব তা ওই আওয়ামী লীগের রাজনীতিরই কল্যাণে। শোনা যায় কাদের সিদ্দিকীও প্রথমে এই জোটে যাবেন না এমন আভাস দিয়ে শেষতক ওই ঘাটেই ভিড়েছেন। তিনিও আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের এই এত বড় বড় নেতারা আওয়ামী লীগে থাকতে পারেননি কেন? কোন নীতি-আদর্শের কারণে কি তারা আওয়ামী লীগ ছেড়েছিলেন? যদি নীতি-আদর্শই এদের প্রধান বিবেচ্য বিষয় হতো, তাহলে আওয়ামী লীগকে চিরতরে যারা ধ্বংস করার জন্য বিগত কয়েক যুগ ধরে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এবং নানা মাত্রার ফন্দি-ফিকির করে চলেছেন তাদের সঙ্গে আজ এমনিভাবে গাঁটছড়া বাঁধেন কি করে? বর্তমান আওয়ামী লীগের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু বা সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগের মিল নেই এই অজুহাতে বা সে কারণেই যদি তারা দল ত্যাগ করে থাকেন তবুও তো কথা থেকে যায় যে, বিএনপি-জামায়াতের মতো খুনী, ষড়যন্ত্রকারী ও পাকিস্তানবাদী অগণতান্ত্রিক দলগুলোর সঙ্গে কোন আদর্শের মিলের কারণে এখন এমনিভাবে একীভূত হয়েছেন? তাহলে কি কেবল ক্ষমতার লোভ তাদের এই গাঁটছড়ার কারণ নাকি দলে থাকতে না পারার বেদনায় তারা ঈর্ষাপরায়ণ হয়ে এখন বঙ্গবন্ধুর দলকে ঘায়েলের চেষ্টা করছেন? গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে জোটবদ্ধ হওয়ায় দোষের কিছু নেই, কিন্তু আপাত দৃষ্টিতে এরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ধুয়া তুলে যা করতে চাইছেন তাতে ষড়যন্ত্রের পুঁতিময় দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যেদিন শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা হলো সেদিন এই নেতাদের ভূমিকা কি ছিল সেটা জানা দরকার। এই ধরনের হত্যার রাজনীতির বিরুদ্ধে ড. কামাল গংরা কি সেদিন সোচ্চার হয়েছিলেন নাকি জজ মিয়া নাটকের অলীক দৃশ্যাবলীর মধ্যে আত্মপ্রসাদ লাভ করতে চেয়েছিলেন! এই গ্রেনেড হামলা বেগম জিয়া কিংবা অন্য কোন রাজনীতিককে লক্ষ্য করে করা হলেও তো যে কোন বিবেকবান ও গণতন্ত্র-মনস্ক ব্যক্তির প্রতিবাদে ফেটে পড়ার কথা। মির্জা ফকরুল, ড. মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদরা তো বিএনপির কেনা গোলাম আর তাই সেদিন কোন বিবেক-বোধ করা দূরে থাক, বরং এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে এমন কোন জঘন্য কাজ নেই যা তারা করেনি। অথচ, বিএনপির সমর্থক বা তল্পিবাহকরা এত বড় অন্যায়ের সাফাই গায় নিছক মতলবি স্বার্থ হাসিলের জন্য। একেই ওরা রাজনীতি বলে, ওদের মতে, রাজনীতিতে নাকি শেষ কথা বলে কিছু নেই, অর্থাৎ, রাজনীতির জন্য যা ইচ্ছে তাই করা যায়। খুন, জখম, লুঠ, অবিচার-অত্যাচার যা খুশি তাই। কিন্তু এই মেকিয়াভেলিয়ান রাজনীতি যে রাজনীতি নয় বরং গণবিরোধী ও আত্মপ্রতারণারই নামান্তর সে বোধ ওদের নেই। একাত্তরে যে জামায়াত-ই ইসলামী লাখ লাখ নিরীহ মানুষের বুকের রক্তে হোলি খেলেছে, প্রায় চার লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম গুঁড়িয়ে দিয়েছে, এদেশের সম্পদ-সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের প্রাণের বান্ধব বানিয়ে ড. কামাল-মান্না-রব-ফখরুল-মওদুদ-জেনারেল ইব্রাহীম, কর্নেল অলি-কাদের সিদ্দিকী গংরা ঐক্যজোট করেছেন, আর তাদের এই মানসিকতাই প্রমাণ করে যে, এরা নীতি-আদর্শের জন্য নয় একটা হীন কায়েমি ও মতলবি স্বার্থ আদায়ের জন্য এভাবে একীভূত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যদি স্বৈরাচারী হয় তাহলে বিএনপি-জামায়াত কি ছিল? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে ড. কামাল প্রথম থেকেই কেমন যেন নির্লিপ্ত ভূমিকা পালন করে এসেছেন। এটা আরও দুর্বোধ্য যে, তার জামাতা ডেভিড বার্গম্যান বেশ কিছুকাল আগে বিবিসির চ্যানেল ৪-এ ব্রিটেনে আশ্রয়প্রাপ্ত বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল ৩ জন আলবদর ঘাতকের অপরাধের ব্যাপারে একটি চমৎকার ডকুমেন্টারি তৈরির মাধ্যমে তাদের বিচারের দাবিটিকে যুক্তি সিদ্ধ করে তুলেছিলেন। অথচ, তিনিই আবার কি করে বিচার শুরু“হওয়ার পর নির্লজ্জের মতো যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ অবলম্বন করেন? আসলে অর্থ লোভই সম্ভবত তার এবং তার মতো অনেকের চরিত্র হানি ঘটিয়েছে। ডাঃ জাফরুল্লাহ বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে তার গণস্বাস্থ্যের জন্য জমিটি লাভ করেছিলেন। তারপরও এদের কোন কৃতজ্ঞতাবোধ নেই! আসম রব তো বঙ্গবন্ধুকে ধ্বংস করার জন্য সেই প্রথম দিন থেকেই সচেষ্ট ছিলেন এবং তথাকথিত বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে দেশটির সর্বনাশ সাধন করে এখন তপস্বী সেজেছেন! মান্নার অতীত নিয়েও নানা মুখরোচক আলোচনা শোনা যায় বৈকি! তিনি দীর্ঘদীন ধরে আওয়ামী লীগকে ঘায়েলের জন্য একজন ‘জবরদস্ত’ ফিগার হেডের সন্ধানে ছিলেন বহুকাল ধরে। কখনও ড. ইউনূস, কখনও ড. কামালের মাঝে ঘুরেপাক খাচ্ছিলেন এতকাল এবং অবশেষে ড. কামালের মধ্যে তিনি সমাধান খুঁজে পেয়েছেন। আওয়ামী লীগে তার থাকতে না পারার কারণটি একটু জানা দরকার। আওয়ামী লীগাররা কি এ ব্যাপারে একটু মুখ খুলবেন এই সময়ে? দেশে এরা কেবলি গণতন্ত্রহীনতা, নির্যাতন, গুম, হত্যা, দেখতে পায়। চুয়ান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশে সতেরো কোটি মানুষের আহার, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির যোগান দেয়া কতটা কষ্টসাধ্য বিষয় তা কি তারা ভেবে দেখেন? আজকের বাংলাদেশ মানবসম্পদ উন্নয়ন থেকে শুরু করে সার্বিক আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি লাভ করেছে। এ কথা কোনক্রমেই অস্বীকার করা যাবে না যে, ক্ষমতায় আওয়ামী লীগের ধারাবাহিক (প্রায় দশ বছর) অধিষ্ঠানের কারণে এই উন্নতি-উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। জনগণ যদি সত্যি সত্যি এই উন্নয়নের সুফল তাদের জীবনে লাভ করে থাকে তাহলে তারা আগামীতেও আওয়ামী লীগকেই ক্ষমতায় দেখতে চাইবে নিশ্চয়ই! । সেই জিয়া-এরশাদ, সামরিক তন্ত্র আর খালেদা-জামায়াতের শাসনামলে লুটেরা ও দুর্বৃত্তদের ছিল রমরমা ও পোয়াবারো অবস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় এই আমলেও কিছু দুর্বৃত্ত ক্ষমতার অপব্যবহার যে করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। এই দুর্বৃত্তায়ন রোধ করা গেলে দেশের উন্নতি যে আরও অনেক বেশি হতো সেটা বলাইবাহুল্য! সকলেই জানে যে, ক্ষমতায় স্বাধীনতাবিরোধীদের সুদীর্ঘকাল রমরমা অবস্থানই এই লুটেরা পুঁজি সঞ্চয়ের বা গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। সামগ্রিকভাবে জিয়াউর রহমানের সেনা ও দলীয় শাসন ও এরশাদ-বেগম জিয়াদের শাসনকালে প্রতিক্রিয়াশীল, পাকিস্তানবাদী ও সাম্প্রদায়িক সেই বস্তা-পচা ধারাটিকেই ফিরিয়ে আনার নিরন্তর প্রয়াস চলেছে। তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে মিথ্যা ও বিকৃত ইতিহাস যোজনা, রাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তথাকথিত ইসলামী ভাবধারা সংযোজন, আর অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারত বিদ্বেষ ও উগ্র ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার আমদানি করা হয় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ইনডেমনিটি, সংবিধানের তথা মুক্তিযুদ্ধের মৌল চেতনা অসাম্প্রদায়িকতাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে এর চরিত্র হনন, চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রিত্বে বরণ এবং তাদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উপর অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন ইত্যাদির মাধ্যমে রাষ্ট্রের দর্শনটিকেই বদলে দিতে সর্বক্ষণ তৎপর থেকেছে ওরা! ইমডেমনিটির মতো জঘন্য বিল, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা এবং অসংখ্য আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যার ঘটনা আর তারেক-কোকো-গংয়ের বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার, বিএনপি আমলের লুট, সন্ত্রাস এগুলো কি ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল তা বিএনপি নেতাদের বা তাদের বড় বড় আইনজীবী, ডক্টর, ডাক্তারদের চোখে পড়ে না। কেননা, তারা সবাই মিলে সেদিন এই বর্বরতা ও মিথ্যাচারের সারথি হয়ে আরাম কেদারায় সুখ নিদ্রায় বিভোর থেকেছেন কেবল নিজের ও গোষ্ঠী স্বার্থ চরিতার্থ করার মানসে। এরাই এখন আবার লম্বা লম্বা কথা বলে বেড়াচ্ছে যে, দেশে গণতন্ত্র নেই, এটা নেই সেটা নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। মইনুল-কামালের কিংবা মইনুল-জাফরুল্লাহ চৌধুরীর টেলিফোন আলাপ ফাঁস এ সময়ের গোয়েবলস মির্জা ফখরুল কি সুন্দর বলে দিলেন যে, এগুলো নাকি প্রযুক্তির মাধ্যমে বানানো কথপোকথন! অথচ, ইতিপূর্বে আওয়ামী লীগের কোন এ জাতীয় কথপোকথনের সামান্য যদি কখনও প্রকাশ পেয়েছে তো ওই বিএনপি নেতারা তা নিয়ে অনাসৃষ্টি বাধাবার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আসলেই তো এই জোট আগুনসন্ত্রাসী, বোমাবাজ, লুটেরা, খুনী, অর্থ পাচারকারী, জঙ্গী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশকারীদের এক জোট ছাড়া আর কিছুই নয়! এই জোটের পক্ষে যে সুশীলরা বা সাংবাদিকরা তালিয়া বাজাচ্ছে তারাও যে ওই একই পথের পথিক সে কথা তো বলাইবাহুল্য! আমাদের বুদ্ধিজীবী আর সাংবাদিকদের একটা অংশ তাদের আত্মা বন্ধক রেখেছে মেফিস্টোফেলিসের কাছে! তাই মিথ্যাকে সত্য বানানোর জন্য এরা সদা তৎপর! তাই জনগণকে ওদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক
×