ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যেকের জন্য বাড়ি ॥ কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

প্রত্যেকের জন্য বাড়ি ॥ কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না

মোঃ মোস্তফা কাদের, মোঃ হোসাইন আলী কাজী, নিজস্ব সংবাদদাতা, তালতলী, বরগুনা থেকে, ২৭ অক্টোবর ॥ আমার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি বাংলার মানুষের জন্য। বাংলার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, বাংলার মানুষের উন্নত জীবন দেয়া এটাই আমার কাম্য। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। ২১ আগস্ট খুনী খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক জিয়া গ্রেনেড হামলা করে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আইভি রহমানসহ ২৪ জনকে হত্যা করেছে। আল্লাহর রহমত আমি বেঁচে গেছি। ওরা কি করেছে : বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী দেশ করেছে। বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে। মানি লন্ডারিং করেছে। বিএনপি বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ওরা বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল। দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। তার একটাই কারণ, তারা স্বাধীনতায় বিশ^াস করে না। তারা মানুষের উন্নতিতে বিশ^াস করে না। খালেদা জিয়া এতিমের টাকা চুরি করে, এতিমদের না দিয়ে নিজে আত্মসাত করে। যে কারণে আজ সাজা ভোগ করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। আবারও নৌকায় ভোট চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নৌকা জয়লাভ করলে মানুষ সুখী-সমৃদ্ধশালী হয়ে বিশে^র বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। আমরা দেশের উন্নয়ন করেছি। আমার তো জীবনের চাওয়া-পাওয়া নেই। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান, আমার মা বেগম ফজিলাতুনন্নেছা,আমার ভাই শেখ জামাল, শেখ কামাল ও ছোট্ট শিশু রাসেলকেসহ আমার পরিবারের সকলকে হত্যা করেছে। আমার আত্মীয়স্বজনকে হত্যা করেছে। আমি বিদেশে ছিলাম বিধায় বেঁচে গেছি। সব হারিয়েছি। স্বজন হারিয়ে ছয় বছর দেশের বাইরে ছিলাম। দেশে এসে সারা দেশে ঘুরেছি, দেখেছি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা। বাংলার মানুষের পেটে খাবার ছিল না। পরনে ছিল ছেঁড়া কাপড়। মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না। ঘরের চালা দিয়ে পানি পড়ত। রাস্তার পাশে পড়ে থাকত। আপনাদের মাঝেই খুঁজে পাই আমার হারানো স্বজনদের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখনই আপনারা নৌকায় ভোট দিয়েছেন তখনই দেশ উন্নত হয়েছে। যখনই ক্ষমতায় এসেছি। তখনই বাংলার মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করেছি। আমার বাবা এ দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে কাজ করেছেন। আমার বাবা চেয়েছেন এ দেশের মানুষ সুখে-শান্তিতে থাকুক। আমিও বাবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি। মানুষ সুন্দর থাকবে যেটা ছিল আমার বাবার আকাক্সক্ষা। সেই আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছি। জঙ্গী, সন্ত্রাস ও মাদকের স্থান বাংলাদেশে হবে না। ইতোমধ্যে আমরা জঙ্গী দমনে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন যেন শিক্ষার্থীরা জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকে জড়িত না হয়। প্রতিটি উপজেলায় মিনি-স্টেডিয়াম করা হবে যাতে যুবক ও শিক্ষার্থীরা মাদক ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে না পড়ে। খেলাধুলা করে শিক্ষার্থীরা ও যুব সমাজ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলকে লেখাপড়া শিখতে হবে। লেখাপড়ার বিকল্প নেই। লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বিশে^র দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চল ছিল অবহেলিত। ক্ষমতায় আসার পর দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন করেছি। দেশের দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে এ অঞ্চলেই। আমরা আরেকটি দ্বীপ খুঁজছি। সেখানে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র গড়ে তুলব। সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগানো হবে। প্রথম যখন এসেছি তখন এই তালতলীতে একটি বিল্ডিং ছিল। বরগুনার মানুষের জন্য আমি উপহার নিয়ে এসেছি। প্রত্যেক উপজেলায় বহুতল ভবন করে দেয়া হবে। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে দিয়েছি। বিনা পয়সায় উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত বই দিয়েছি। প্রাইমারী শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি দিয়েছি। সে উপবৃত্তির টাকা ১ কোটি ৪০ লাখ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দিয়েছি। প্রত্যেক ইউনিয়নে ডিজিটাল কেন্দ্র গঠন করে দিয়েছি। মানুষ ওই ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে ২০০ প্রকারের সেবা পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। বিদ্যুত উৎপাদন করেছি। প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের কোন সমস্যা থাকবে না। কৃষকদের উপকরণ দিয়েছি। প্রতি কৃষকের জন্য ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খুলে দিয়েছি। ওই হিসাবে তারা ভর্তুকি টাকা পাচ্ছে। গরিব মানুষকে স্বাবলম্বী করার জন্য একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প করে দিয়েছি। জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করেছি। বর্গা চাষীদের ঋণের ব্যবস্থা করেছি। কোন সরকার বর্গা চাষীদের ঋণের ব্যবস্থা করেনি। কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সকলকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনা পয়সায় ত্রিশ প্রকারের ওষুধ দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। মানুষ বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়। আমরা কওমি মাদরাসার সনদের ব্যবস্থা করেছি। সনদের মাধ্যমে তারা চাকরি পাবে। আমরা ৫৬০ টি মডেল মসজিদ করার উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে শহর বানিয়ে দেব। যাতে গ্রামে বসে শহরের সুবিধা পায়। ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। এই তালতলীতে জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজ ভাঙ্গার শিল্প গড়ে তোলা হবে। জাহাজ নির্মাণ শিল্প হলে হাজার হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। ২০৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ২১০০ সালের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজব-উল কবির জোমাদ্দারের সভাপতিত্বে শনিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী তালতলী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পটুয়াখালী পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্র থেকে শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটায় আকাশপথে বরগুনার তালতলীর জনসভা মঞ্চে আসেন এবং বরগুনার বিভিন্ন উপজেলার ২১ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী জনসভা মঞ্চে উপস্থিত হলে লাখো জনতা করতালির মাধ্যমে তাকে অভিবাদন জানান। এ সময় জনসভা মাঠে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মানুষ প্রধানমন্ত্রীকে সানন্দচিত্রে স্বাগত জানান। উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত তালতলী সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠের বিশাল জনসভায় ভাষণ দেন। দুপুর গড়াতেই জনসভা মাঠ জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জনসভা মাঠসহ উপজেলা শহরের সর্বত্র মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আজকের জনসভা তালতলীর ইতিহাসে ঐতিহাসিক জনসভা। এত লোক তালতলীর ইতিহাসে কোন জনসভায় হয়নি। প্রধানমন্ত্রী জনসভায় ভাষণের পূর্বে বরগুনা সদর হাসপাতাল ৫০ শয্যা থকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, বরগুনা জেলা গ্রন্থাগার, বরগুনা পুলিশ লাইনের মহিলা ব্যারাক, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের হোস্টেল নির্মাণ, ঘূর্ণিঝড়, বরগুনা সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিস,ডৌয়াতলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, হোসনাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিস, সিডর ও আইলায় উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পুনর্বাসন, বরগুনা-বাকেরগঞ্জ-কাঠালতলী- পাদ্রীশিবপুর-সুবিদখালী সড়ক, হাজারবিঘা-কামরাবাদ-পুরাকাটা ফেরিঘাট সড়কের চেইনেজ ও আরসিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, বরগুনা সদরের গৌড়িচন্না ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, বামনা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেতাগী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, বেতাগী উপজেলার বদনাখালী খালের ওপর গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ, তালতলী উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, বামনা উপজেলা পরিষদ ভবন, আমতলী থানা ভবন, আমতলী ইউনুস আলী খান কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমি ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, এম বালিয়াতলী ডিএন কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, সৈয়দ ফজলুল হক ডিগ্রী কলেজের ৪র্থ তলা একাডেমিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার, তালতলী প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র, তালতলী ও বামনা উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ভবনের উদ্বোধন করেছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমতলীকে জেলাকরণ, উপকূলীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ, তালতলীকে পৌরসভায় উন্নীতকরণ ও তালতলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্থাপন, রাখাইনদের কালচারাল একাডেমি স্থাপন, তালতলীতে মৎস্য প্রজনন ও আহরণ কেন্দ্র স্থাপন, সোনাকাটা ইকোপার্ক ও নলবুনিয়া শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীতকরণ,তালতলীতে সোনালী ব্যাংক স্থাপনসহ অর্ধশতাধিক দাবি তুলে ধরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৪ অক্টোবর দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে আয়োজিত টেলি কনফারেন্সে আমতলী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণের সুধী সমাবেশে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর পরিদর্শনে আসবেন বলে ঘোষণা দেন। ওই সময়ে আমতলী-তালতলীতে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পর পরই বরগুনার তালতলী উপজেলায় তার সফর কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বমূহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর তালতলীতে আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসন থেকে জয়লাভ করেন। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার এটা দ্বিতীয়বার তালতলী সফর। এর আগে ২০১৩ সালের ১৯ নবেম্বর তিনি সর্বশেষ তালতলী সফর করেন এবং একই মাঠে লাখো জনতার মাঝে ভাষণ দেন। বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম সরোয়ার টুকুর উপস্থাপনায় সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ এমপি, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি, সাবেক চীপ হুইপ আলহাজ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি, নৌপরিবহনমন্ত্রী মোঃ শাজাহান খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আফম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, এ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি, এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, অধ্যক্ষ শাহ আলম, ইসহাক আলী খান পান্না, বরগুনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বরগুনা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ জাহাঙ্গির কবির, তালতলী উপজেলার আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি মোঃ ফজলুল হক জোমাদ্দার, তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ তৌফিকুজ্জামান তনু। সভা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন চীপ হুইপ আসম ফিরোজ এমপি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, বেসামরিক বিমান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান কামাল, বিদ্যুত ও জালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী আখম জাহাঙ্গীর হোসেন এমপি, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ মাহবুবুর রহমান এমপি, বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাসানুর রহমান রিমন, পঙ্কজ দেবনাথ এমপি, জেবুন্নেছা আফরোজ হিরন এমপি, নাসিমা ফেরদৌস এমপি, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ জিএম দেলওয়ার হোসেন, আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান,কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের দফতর সম্পাদক রোজিনা রোজি, বরগুনা জেলা মহিলা লীগ সভানেত্রী মাধবী দেবনাথ, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন ও জাকিয়া নিজাম।
×