ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিবাসন প্রত্যাশীদের অস্থায়ী আশ্রয় দেবে মেক্সিকো

প্রকাশিত: ০৩:২৯, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

অভিবাসন প্রত্যাশীদের অস্থায়ী আশ্রয় দেবে মেক্সিকো

মেক্সিকো রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করা অভিবাসীদের সাময়িকভাবে কাজের অনুমতি দেবে। লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শরণার্থী এখন মেক্সিকো হয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার পথে রয়েছে। বিবিসি। কারাভান মাইগ্রেন্ট নামে পরিচিতি অভিবাসীদের অস্থায়ী পরিচয়পত্র, চিকিৎসা সেবা ও শিশুদের স্কুলে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে। তবে সুবিধাপ্রাপ্ত এসব অভিবাসীকে মেক্সিকোর চিয়াপাস ও ওয়াক্সাকা রাজ্যে অবস্থান করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই অভিবাসী কারাভান ঠেকানোর জন্য মেক্সিকো সীমান্তের কাছে ৮শ’য়ের মতো সৈন্য পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে আরও আগের দিকে বলেছিলেন, জাতীয় জরুরী অবস্থার জন্য আমি সেনাবাহিনী নিয়োগ করতে চাই। তাদের (অভিবাসী) অনুপ্রবেশ অবশ্যই ঠেকাতে হবে। তিনি গুয়াতেমালা, এলসালভাদর ও হন্ডুরাসে সাহায্য বন্ধেরও হুমকি দেন। কয়েক সপ্তাহ আগে হন্ডুরাস থেকে এই কারাভান যাত্রা শুরু করেছিল। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট পেনা নিয়েতো অভিবাসীদের জন্য যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তার নাম ‘এসতাস এন তু কাসা’ (স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ এটি আপনার ঘর)। মধ্য আমেরিকা থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে যারা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে তাদের এর আওতায় নেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কথা ঘোষণা করে নিয়েতো বলেন, মেক্সিকো আজ আপনাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, যারা শরণার্থী মর্যাদার জন্য আবেদন করেছে তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য এটি প্রথম পদক্ষেপ। মেক্সিকোর আইন মেনে চলা অভিবাসীরাই কেবল এই সুযোগ পাবে। তবে কেউ মেক্সিকোর আইন মানতে ব্যর্থ হলে কি হবে সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। কারাভান বিষয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানোর জন্য মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষ এখন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে প্রচ- চাপের মুখে আছে। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, কারাভানটি এখন চিয়াপাস রাজ্যের আরিয়াগায় অবস্থান করছে। সেখান থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মেক্সিকো এখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষোভ প্রশমিত করা ও অভিবাসীদের সবুজ সঙ্কেত দেয়ার মধ্যে একটি সমম্বয় করার চেষ্টা করছে। অধিকাংশ অভিবাসী জানিয়েছে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যে অটল রয়েছে। হন্ডুরাস থেকে অভিবাসী হোসে সান্তোস বিবিসিকে বলেছেন, অধিকাংশই মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পাড়ি দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, আমিও তাদের সঙ্গে আছি। তিনি জানান যে, একটি উন্নত জীবনের সন্ধান পাওয়াই তাদের লক্ষ্য। আরেক অভিবাসী নিয়েতোর প্রকল্পকে একটি ভাল বিকল্প পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেন।
×