ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বর্তমান প্রজন্মই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

  বর্তমান প্রজন্মই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন পূরণ করবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বর্তমান প্রজন্মই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান দেশের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, ছেলে-মেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। আজকের যারা শিশু আগামী দিনে তারাই তো দেশ চালাবে। এই শিশুদের মধ্যে থেকে কেউ না কেউ আমার মতো প্রধানমন্ত্রী হবে, মন্ত্রী হবে, বড় ব্যবসায়ী হবে, বড় চাকরি করবে, দেশ চালাবে। আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী, জাতির পিতা যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন; আমাদের এই ছেলেমেয়েরাই সেই স্বপ্ন পূরণ করবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার গণভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষা ক্ষেত্রকে সুবিস্তৃত করতে সমগ্র বাংলাদেশে যেখানে স্কুল নাই সেখানে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, যেখানে সরকারী কলেজ ও স্কুল নাই সেখানে সরকারী কলেজ ও স্কুল করে দিচ্ছি। তিন শ’র কাছাকাছি কলেজ ও ২৬ হাজার প্রাইমারী স্কুলকে আমরা সরকারীকরণ করে দিয়েছি। এভাবেই আমরা শিক্ষাকে গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে, ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হবে। আজকের যে শিশু আগামী দিনে তারাই তো দেশ চালাবে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দায়িত্ব পালন করবে, বিভিন্নভাবে নিজেদের জীবনটাকে গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, আমরা চাই শিশু-কিশোরদের উৎসাহিত করতে। আমি মনে করি, খেলাধুলা, চিত্রাঙ্কন, সাংস্কৃতিক চর্চা; এগুলো আমাদের ছেলেমেয়েদের সুন্দর জীবন গড়ার সুযোগ করে দেবে। জীবনকে সুন্দরভাবে দেখার সুযোগ করে দেবে। তিনি বলেন, সকল শিশু আগামী দিনে আমাদের ভবিষ্যত। আমি চাই, জাতির পিতা যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন আমাদের এই ছেলে-মেয়েরাই সেই স্বপ্নপূরণ করবে। সরকার প্রধান বলেন, গত ১০ বছর পরিশ্রম করেছি। এ পরিশ্রম আমি আমার নিজের ভাগ্য গড়ার জন্য করিনি। সন্তানদের বলেছি, শিক্ষাটাই তোমাদের বড় সম্পদ। কোন সম্পদ আমি তোমাদের জন্য রেখে যেতে পারব না। বিদ্যা শিক্ষা দিয়েছি, নিজেদের ভাগ্য গড়বে। আমি দেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে কাজ করব। দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছি। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার সুযোগ করে দিতে সরকার শিক্ষার ক্ষেত্র বিস্তৃত করছে। নতুন প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করাই সরকারের মূল লক্ষ্য। আজকের শিশুরা ভবিষ্যতে যাতে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে এবং বাংলাদেশকে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে সে জন্যই আমরা ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ গ্রহণ করেছি। আজকের শিশুরাই পাবে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবন সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে তাঁর সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি তাতে আজকের শিশুরা বড় হয়ে এদেশের জন্য গর্ববোধ করবে। যেকোন পরিবারের শিশুরা যেন লেখাপড়া করতে পারে সেজন্য সরকার সব প্রকার সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। বিনামূল্যে বই, গরিব ও মেধাবীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের মায়ের নামে এ্যাকাউন্ট করে তাদের বৃত্তির টাকা প্রেরণ করা হচ্ছে। দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেশি রাখা সবই করছে আমাদের সরকার। তিনি বরেন, আমরা দেশের ব্যাপক উন্নয়নের কাজে হাত দিয়েছি। দেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন যখন হয়, জনগণের ভাগ্যেও পরিবর্তন ঘটে। সরকারের উন্নয়নের সুফল দেশের জনগণ আজ ভোগ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। জাতির পিতা যে আকাক্সক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন সেই স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারব। চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান। বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুরা হোসেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৯৬, ৯৭ ও ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে নগদ অর্থ, সনদ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রকাশিত কমিকস (গ্রাফিকস নভেল) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ এবং সামরিক ও বেসামরিক উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×