ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নারী সদস্যদের দিয়ে টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ॥ জঙ্গীগোষ্ঠীর নতুন কৌশল

প্রকাশিত: ০৫:০০, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 নারী সদস্যদের দিয়ে টার্গেট কিলিংয়ের পরিকল্পনা ॥ জঙ্গীগোষ্ঠীর নতুন কৌশল

গাফফার খান চৌধুরী ॥ সম্প্রতি নারী জঙ্গীদের তৎপরতা বেড়েছে। শুধু দেশে নয়, আশপাশের দেশগুলোতেও তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের চেয়ে তারা নেটওয়ার্কও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের পুরুষ ও নারী জঙ্গীদের মধ্যে ত্রিদেশীয় নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। নারী জঙ্গীদের এমন তৎপরতা বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্ক বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে কাজ করে যাচ্ছে পুরুষ জঙ্গীরা। পুরুষ ও নারী জঙ্গীদের নেটওয়ার্ক একসূত্রে গাঁথা। নির্বাচন সামনে রেখে জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের কর্মকান্ড আড়াল করতে পুরুষ সদস্যদের তুলনায় নারী জঙ্গীদের দিয়ে তৎপরতা চালানো বেশি নিরাপদ মনে করছে। নরসিংদী থেকে গ্রেফতার দুই নারী জঙ্গীর সঙ্গে গত বছর কয়েকটি অভিযানে নিহত নারী জঙ্গীদের যোগাযোগ থাকার তথ্য মিলেছে। এদের সঙ্গে ভারতের বর্ধমানের খাগড়াগড়ে জেএমবির আস্তানা থেকে গ্রেফতার দুই নারী জঙ্গী, পাকিস্তানে যাওয়ার সময় গ্রেফতার দুই নারী জঙ্গী দম্পতি এবং পাকিস্তানে থাকা এক নারী জঙ্গীসহ পুরুষ জঙ্গীদের যোগাযোগ থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। নরসিংদী থেকে গ্রেফতার দুই নারী জঙ্গীকে সাত দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গত ১৫ অক্টোবর নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ছোট গদাইরচর গাঙপাড় এলাকার নিলুফা ভিলা ও একই জেলার সদর উপজেলার শেখেরচরের দীঘিরপাড়ের বিল্লালের বাড়িটির জঙ্গী আস্তানা দুইটিতে অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। শেখেরচরের আস্তানায় নিহত হয় আত্মঘাতী জঙ্গী দম্পতি আকলিমা আক্তার মনি ও তার স্বামী আবু আব্দুল্লাহ বাঙালী। আর নিলুফা ভিলার আস্তানা থেকে গ্রেফতার হয় খাদিজা আক্তার মেঘলা ওরফে মেঘনা ও মৌ নামের দুই নারী জঙ্গী। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা না করে আত্মসমর্পণ করে। তাদের সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে দায়িত্বশীল এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেছেন, মূলত পুরুষ ও নারী জঙ্গীদের তৎপরতা এক ও অভিন্ন। টার্গেটও একই রকমের। নেটওয়ার্কও একইসূত্রে গাঁথা। নারী জঙ্গীদের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির পেছনে কাজ করে পুরুষ জঙ্গীরা। নারী জঙ্গীরা নেটওয়ার্ক বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি দিয়ে কোন কাজ করে না। নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পুরুষ জঙ্গীরাই মনিটরিং করে থাকে। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের পুরুষ সদস্যদের চেয়ে নারী সদস্যদের দিয়ে তৎপরতা চালানো বেশি নিরাপদ মনে করছে। এজন্য তারা পুরুষ সদস্যদের চেয়ে নারী সদস্যদের বেশি সক্রিয় করেছে। মূলত এটি জঙ্গী সংগঠনগুলোর একটি কৌশল। সংগঠনের কর্মকান্ড আড়াল করতে এবং তাদের সদস্যদের গ্রেফতারের হাত থেকে রক্ষা করতে এমন কৌশল বেছে নিয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে টার্গেট কিলিংয়ের একটি পরিকল্পনা রয়েছে জঙ্গী সংগঠনগুলোর। সেক্ষেত্রে তারা পুরুষ ও নারী জঙ্গীদের সমন্বয়ে অপারেশনাল স্কোয়াড গঠনের চিন্তা করছে। এটি এদেশীয় জঙ্গী সংগঠনগুলোর মধ্যে নতুন মাত্রা বা কৌশল বা কর্মপরিকল্পনা বলা চলে। ইতোপূর্বে জঙ্গী সংগঠনগুলোর মধ্যে সব সময়ই শুধু পুরুষ সদস্যদের দিয়েই অপারেশনাল স্কোয়াড গঠনের প্রবণতা দেখা গেছে। ব্লগার, লেখক, প্রকাশক হত্যাকা-ে যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ জঙ্গী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে অপারেশনাল স্কোয়াডে কোন নারী সদস্যের জড়িত থাকা বা সরাসরি হত্যাকা-ে বা অপারেশনে অংশ নেয়ার নজির মেলেনি। এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলছেন, এবার নারী সদস্যদের দিয়েই হত্যাকা-ের ঘটনাগুলো ঘটানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে নারী স্কোয়াডের অপারেশন চালানোর সময় তাদের আশপাশে পুরুষ স্কোয়াডকে সাহায্যকারী দল হিসেবে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে জঙ্গী সংগঠনগুলো। কারণ নারীরা অপারেশন চালানোর পর পরই বোরখা বা শরীরের উপরিভাগে থাকা আলগা পোশাক খুলে মানুষের সঙ্গে মিশে যাবে। কোন সময় কেউ সন্দেহ করলেও আশপাশে থাকা পুরুষ জঙ্গীরা নারী জঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে নারীদের প্রতি সহানূভূতিপ্রবণ একটি পরিবেশ তৈরি করবে। এতে করে নারী জঙ্গীদের পালানো বা সেখান থেকে সরে যাওয়া সহজ হবে। কারণ এদেশে এখনও নারীরা খুন, অপহরণের মতো বড় ধরনের অপরাধ করার ক্ষমতা রাখে না বলে অধিকাংশ মানুষের বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসকেই পুঁজি করার চেষ্টা করছে জঙ্গী সংগঠনগুলো। তারই প্রস্তুতি হিসেবে জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের নারী সদস্যদের বিভিন্ন জায়গায় রেখে নানাভাবে প্রশিক্ষিত করছে। তেমনই প্রশিক্ষণ কোর্স সম্পন্ন করার সময় নরসিংদীর দুটি জঙ্গী আস্তানার সন্ধান মেলে। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ২০১৬ সাল থেকে হালনাগাদ গ্রেফতার নারী জঙ্গীদের সবার বয়সই প্রায় সমান। এদের অধিকাংশই ২০১০ সালের পর জঙ্গীবাদে প্রবেশ করে। যাদের শতকরা ৮৫ ভাগ জঙ্গীবাদে অনুপ্রাণিত হয়েছে স্বামীদের দ্বারা। বাকিরা বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সময় জামায়াতে ইসলামের ছাত্রী সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গীবাদে জড়ায়। নারী জঙ্গীদের মধ্যে জঙ্গীবাদের পুরনো বা নতুন ধারা বলতে তেমন কোন কিছুর প্রাধান্য নেই। তারা যারাই নারী জঙ্গী, তাদের সঙ্গেই একমত। তাদের সঙ্গেই কাজ করে। এমনকি ২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড়ে জেএমবির আস্তানায় বিস্ফোরণে দুই জেএমবির পুরনো ধারার জঙ্গী শাকিল আহাম্মদ ওরফে শাকিল গাজী ও সোবাহান মন্ডল ওরফে সোবাহান শেখ নিহত হওয়ার পর নিহত দুই জঙ্গীর স্ত্রী রাজিয়া বিবি ও আলিমা বিবিকে মুক্ত করতেও নতুন ও পুরনো ধারার জঙ্গীবাদে বিশ্বাসীরা যৌথভাবে কাজ করেছে। এই দুই নারী জঙ্গীর সঙ্গেও নরসিংদী থেকে গ্রেফতার দুই নারী জঙ্গী এবং নিহতদের যোগাযোগ ছিল। এখানেই শেষ নয়, ২০১৬ সালে ঢাকার মগবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া নারী জঙ্গী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ইসতিসনা আক্তার ঐশি (২৩) ছিল মেঘলা ও মৌয়ের দলের সদস্য। এদের সঙ্গে চলতি বছর ৪ এপ্রিল গ্রেফতার হওয়া হুমায়রা ওরফে নাবিলার ও তার স্বামী তানভীর ইয়াসির করিমের সর্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। ঢাকার একটি বিলাসবহুল শপিংমলের মালিকের মেয়ে হুমায়রা জঙ্গীবাদে অর্থায়ন করত। হুমায়রা তার স্বামীর হাত ধরে জঙ্গীবাদে জড়ায়। হুমায়রাসহ অন্য নারী জঙ্গীরা এবং পুরুষ জঙ্গীরা তাদের দেয়া চাঁদার টাকা দিয়ে ২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ফার্মগেটের একটি হোটেল থেকে পাকিস্তানে জঙ্গী প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া নব্য জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য মারজিয়া আক্তার ওরফে সুমি (১৯) ও তার স্বামী মোঃ শরিফুল ইসলাম ওরফে সুলতান মাহমুদ তাপস ওরফে মাহমুদ (১৮) এবং মোঃ আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিনুল (৩৪) ও তার স্ত্রী নাহিদ সুলতানাকে (৩০) জামিনে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। শুধু তাই নয়, দেশে গ্রেফতার নারী ও পুরুষ জঙ্গীদের সঙ্গে মধ্যে পাকিস্তানে থাকা জেএমবির কারাবন্দী আমির জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমানের ছোট মেয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ থাকার তথ্য মিলেছে। পাকিস্তান ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশী নারী ও পুরুষ জঙ্গীদের মাধ্যমে এদেশের নারী ও পুরুষ জঙ্গীদের যোগাযোগ আছে। যোগাযোগের কাজটি মূলত করে থাকে পুরুষ জঙ্গীরা। এদেশে বিভিন্ন অভিযানে নিহত নারী জঙ্গীদের সঙ্গে গ্রেফতার নারী জঙ্গীদের যোগাযোগ থাকারও তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বরে পাকিস্তানের পাখতুনখাওয়া প্রদেশের পেশোয়ারের সেনাবাহিনী পরিচালিত আর্মি পাবলিক স্কুলে ৬ জঙ্গী সশস্ত্র বোমা হামলা ও গুলি চালায়। এক শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের সামনে ক্লাসের ভেতরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে হত্যা করে। এ দৃশ্য দেখতে শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে জঙ্গীরা। শিক্ষক মারা যাওয়ার পর ক্লাসে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করা হয়। ব্রাশ ফায়ারে ১৫০ জন নিহত হন। যার মধ্যে ১৪২ ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও ৮ শিক্ষক ছিল। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর এ ঘটনায় জড়িত থাকা চার জঙ্গী আব্দুস সালাম, হজরত আলী, মুজিবুর রেহমান ও সাবিল ওরফে ইয়াহিয়ার ফাঁসি কার্যকর করা হয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের কোহাতে অবস্থিত একটি কারাগারে। হামলার দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)। সংগঠনটির দাবি, উত্তর ওয়াজিরিস্তানে তালেবানের ঘাঁটি জার্ব-ই-আজবে সেনা অভিযানের প্রতিশোধ হিসেবে হামলাটি চালানো হয়েছিল। এমন ঘটনার পর থেকে পাকিস্তানে জঙ্গী ঘাঁটিতে সাঁড়াশি অভিযান চলতে থাকে। ধারাবাহিক সেই অভিযানে ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশের জেএমবির আমির জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় শূরা কমিটির সাবেক সদস্য মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমান জাফরের মেয়ের জামাই ইজাজ ওরফে কারগিলসহ ৪ বাংলাদেশী জঙ্গী মারা যায়। ইজাজের স্ত্রী অর্থাৎ সাইদুর রহমানের ছোট মেয়ে এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে। সে সেদেশের বিভিন্ন জঙ্গী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। নিহত অপর তিন বাংলাদেশী জঙ্গী হচ্ছে, জেএমবির আমির সাইদুর রহমানের আরেক মেয়ের জামাই পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে আসা জঙ্গী সাখাওয়াতুল কবিরের ভাগ্নি জামাই অভি, পাকিস্তানে অবস্থিত বাংলাদেশী নারী জঙ্গী ফাতেমার স্বামী সায়েম ও সায়েমের বোন জামাই শামীম। সাখাওয়াতুল কবিরের ভাগ্নি, নিহত সায়েমের স্ত্রী ফাতেমা ও সায়েমের বোন এখনও পাকিস্তানেই রয়েছে। চার জন মারা যাওয়ার পর তারা আর দেশে ফেরেননি। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন জঙ্গী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অবস্থান করে তারা অপারেশন ও প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে। তারা পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিয়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বিভিন্ন অপারেশনে অংশ নিয়েছে। প্রসঙ্গত, কারাবন্দী জেএমবি আমির সাইদুর রহমান জাফরের মেয়ে নিহত ইজাজ ওরফে কারগিলের প্রত্যক্ষ মদদ আর আর্থিক সহায়তা ও বুদ্ধি পরামর্শে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের জন্ম হয়। দলটির আধ্যাত্মিক নেতা মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী। ইজাজের ছোট ভায়রা অর্থাৎ জেএমবির কারাবন্দী আমির মুফতি মাওলানা সাইদুর রহমান জাফরের আরেক মেয়ের জামাই সাখাওয়াতুল কবির। তিনিও সস্ত্রীক পাকিস্তানের একটি জঙ্গী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ছিলেন। পরে দেশে ফিরলে সাখাওয়াতুল কবিরকে ২০১৪ সালের ১৮ জানুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে পুলিশ সদর দফতরের ইন্টেলিজেন্স এ্যান্ড স্পেশাল এ্যাফেয়ার্স বিভাগের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে জানান, মৌ ও মেঘলার কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। নারী ও পুরুষ জঙ্গীদের নানা নেটওয়ার্ক থাকার তথ্য মিলেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তাদের নানা কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কেও তথ্য জানা গেছে। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
×