ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন

সাইবার ক্রাইম মনিটরে এবার হচ্ছে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৮

 সাইবার ক্রাইম মনিটরে এবার হচ্ছে ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’

ফিরোজ মান্না ॥ সাইবার ক্রাইম মনিটর করার জন্য এবার ‘সাইবার পুলিশ সেন্টার’ হচ্ছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) নতুন একটি ইউনিটের অনুমোদন দিয়েছে। এই ইউনিট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও দেশবিরোধী বিষয়গুলো মনিটর করবে। অন্যদিকে তথ্য মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি আলাদা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করার জন্য সেল গঠন করেছে। এখন থেকে তিনটি সেল সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটর করবে। সাইবার দস্যুতা থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত রাখাই হবে এই সেলগুলোর মূল উদ্দেশ্য। সূত্র জানিয়েছে, দুইজন অতিরিক্ত ডিআইজি, তিনজন পুলিশ সুপার, ছয়জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ১৮, পরিদর্শক ৪৫, উপ-পরিদর্শক (এসআই) ১৪০, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ৩০, কনস্টেবল ৭৫, সিস্টেম এ্যানালিস্ট একজন, প্রোগ্রামার একজন ও মেইনটেন্যান্স জন্য একজন প্রকৌশলী থাকবেন এই ইউনিটে কাজ করবেন। এর বাইরে বিটিআরসি ‘কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের’ একটি সেল গঠন করবে। আগামী নবেম্বর থেকে ওই সেল কাজ শুরু করবে। তথ্যমন্ত্রণালয়ের গঠিত সেলটির নামকরণ করা হয়েছে ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’। এই সেলের প্রধান করা হয়েছে তথ্য অধিদফতরের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার রিফাত জাফরীনকে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ৯ সদস্যের সেলটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। সেল চলতি মাস থেকে কার্যক্রম শুরু করবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তারানা হালিম বলেন, আমরা আশা করছি চলতি মাসেই তথ্য মন্ত্রণালয় কর্মকা- শুরু করতে পারব। যদি মনে করি তথ্য অধিদফতরের এ সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য আরও একটি কমিটি গঠন করা প্রয়োজন-তাহলে আরও একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে। সেলের কাজ হচ্ছে কোনটি গুজব সেটা শনাক্ত করে মিডিয়াকে অবহিত করা। এতে মিডিয়ার বিষয়টি বুঝতে সহজ হবে যে, এটি গুজব। এটাতে আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে গুজব কোনটাকে আমরা ধরছি। গুজব হচ্ছে- এমন মিথ্যা বা অসত্য বা বানোয়াট তথ্য বা অতিরঞ্জন যেটির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি ক্ষুণœœ হয়, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘিœত ও রাষ্ট্র বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে যায়। যে কোন একটি আন্দোলনকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করতে পারে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্য অধিদফতর সিনিয়র তথ্য অফিসারকে প্রধান করে ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। কমিটির অধীনে কাজ করবে আরও কতিপয় কর্মকর্তা। এ সেলটিকে কার্যকর করার জন্য প্রথমে নির্ধারণ করা হবে। এ মুহূর্তে অনলাইনে কোন গুজবগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা নির্ধারণ করা। এগুলো আসলে গুজব কিনা সেটা নির্ধারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গিয়ে নিশ্চিত হবে। গুজব না হলে সেখানে আমাদের কিছু করার থাকবে না। তারানা হালিম বলেন, পরবর্তীতে গুজবগুলোর তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কনটেন ফিল্টার করার জন্য বিটিআরসির কাছে পাঠিয়ে দেব। গুরুত্ব বিবেচনায় আমরা এটি দৈনিক বা সাপ্তাহিকভাবে করব। এ জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়সহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিদের এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। বিটিআরসি জানিয়েছে, সাইবার জগতকে নিরাপদে রাখতে নানা বিষয় মনিটর করা হবে। কেউ যেন দস্যুতা করে পার পেয়ে না যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাইবার নিরাপত্তা ও তথ্যসুরক্ষা করতে এই সেল সার্বক্ষণিক কাজ করবে। ডিজিটাল নাগরিকদের নিরাপদ থাকার এবং প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করাই হবে প্রধান কাজ। সাইবার সুরক্ষায় প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। আর সচেতনতা তৈরি করার বিষয়েও কাজ করা হবে।
×