ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাগল প্রমাণে মিথ্যা সার্টিফিকেট দিলে দন্ড সংসদে দুটি বিল পাস

প্রকাশিত: ০৯:০২, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

পাগল প্রমাণে মিথ্যা সার্টিফিকেট দিলে দন্ড সংসদে দুটি  বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার ॥ মানসিক স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত পেশাজীবী হিসেবে কোন ব্যক্তি মানসিক অসুস্থতা সম্পর্কিত বিষয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা সার্টিফিকেট দিলে অনধিক ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রেখে আনীত একটি বিলসহ মোট দুটি বিল পাস হয়েছে। বিল দুটি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য বিল-১৮ এবং সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল, ২০১৮। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে বিলটি দুটি কণ্ঠভোটে পাস হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বিলটি দুটি পাসের প্রস্তাব করেন। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে তিনটি সংশোধনী গ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিল প্রসঙ্গে সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শত বছরের পুরনো এই আইনের প্রাসঙ্গিকতা ও সময়োপযোগিতা বহু আগেই হ্রাস পেয়েছে। এ কারণে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত নাগরিকদের মর্যাদা সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা প্রদান, সম্পত্তির অধিকার, পুনর্বাসন ও সার্বিক কল্যাণে নিশ্চিত করতেই আইনটি যুগোপযোগী করে বিলটি আনা হয়েছে। তিনি বলেন, মানসিক রোগীরা পারিবারিক ও সামাজিকভাবে নির্যাতিন, নিগৃহীত ও অবহেলার শিকার। তাদের সুরক্ষার নিশ্চিত করার জন্যই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিলটি আনা হয়েছে। ইদানীং রাজনৈতিক অঙ্গনেও মানসিক রোগ দেখা দিয়েছে। দেশের জনগণই আগামী নির্বাচনে এসব রাজনৈতিক রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেবে। পাসকৃত মানসিক স্বাস্থ্য বিলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, মর্যাদা সুরক্ষা, সম্পত্তির অধিকার ও পুনর্বাসন এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় বিধান রাখা হয়েছে। বিলে মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা বা অভিভাবক বা ব্যবস্থাপক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া মানসিক অসুস্থতায় আক্রান্ত ব্যক্তির সম্পত্তির তালিকা প্রণয়ন বা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে অবহেলা বা আদালতের কোন নির্দেশ অমান্য করলে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা তিন বছরের কারাদন্ড বা উভয় দন্ড দন্ডিত হওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। সংক্রামক রোগ বিল পাস॥ জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরী অবস্থা মোকাবেলা এবং স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি হ্রাসের লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলের উদ্দেশ্যে আনীত সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) বিল, ১৮ বৃহস্পতিবার সংসদে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা পাস হয়। তবে বিলের ওপর বিরোধী দলের আনীত জনমত যাচাই-বাছাই ও সংশোধনী প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। সংসদে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বিল পাস ॥ পাঠ্য পুস্তক মুদ্রণকারী ভুল প্রতিবেদনে দিলে তিন বছরের কারাদন্ড বা অর্থদন্ডের বিধান রেখে সংসদে পাস হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আইন ১৮ বিল । এছাড়া বোর্ড অনুমোদিত বই ছাড়া কোন বিদ্যালয়ে অন্য বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবে না মর্মে বিলে বিধান রাখা হয়েছে। ডেপুটি স্পীকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
×