ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল দাবিতে ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল দাবিতে ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে মহাসমাবেশ করেছে মুক্তিযোদ্ধা ও প্রজন্মদের সমন্বিত সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’। সমাবেশ শেষে সংগঠনটির নেতারা ১১ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সেসঙ্গে ৩০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেবে সংগঠনটি। বৃহস্পতিবার শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘মুক্তিযুদ্ধ চত্বরে’ এক মহাসমাবেশে এই ঘোষণা দেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা। দিনব্যাপী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররা। সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিকেলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যারা মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল, শহীদ মিনার ভেঙ্গেছিল, তারা কোনদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হতে পারে না। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের পক্ষ নিয়েছেন কে? ড. কামাল এবং তার সঙ্গের গুটিকয়েক লোক, যারা জনবিচ্ছিন্ন। ড. কামাল একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ। তিনি নাকি তারেক রহমান এবং বিএনপির সঙ্গে কথা বলেননি। তিনি তাদের জন্য নাকি আন্দোলন করেননি। অথচ আমরা দেখলাম তার পেছনে তারেকের ছবি। বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার মুক্তি চান। আপনি একজন আইনজ্ঞ, আপনাকে যদি জিজ্ঞেস করি এই দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সঠিক বিচার হয়েছে কী? যদি না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি কেন তাদের পক্ষে কথা বলেননি। আপনি কেন কোর্টে দাঁড়ালেন না? আমি মনে করি কামাল হোসেন, আ স ম রব এবং মান্না খুনীদের পক্ষে যোগ দিয়েছেন। সুতরাং পরিষ্কার বুঝতে হবে, ড. কামাল কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধ করেননি। তিনি ছিলেন পাকিস্তানে, শ্বশুর বাড়িতে। তখন বঙ্গবন্ধু তাকে নিয়ে এসেছিলেন এবং একজন ব্যারিস্টারকে বঙ্গবন্ধু আইনমন্ত্রী করেছিলেন। সমাবেশে এগারো দফা দাবি পেশ করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহŸায়ক ও ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন। তিনি বলেন, সবার পরামর্শ নিয়ে সারাদেশে আনুষ্ঠানিক আন্দোলনের পদযাত্রা শুরু হলো। যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) হেলাল মোর্শেদ খান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মঞ্চের সদস্য সচিব ওসমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন মতিন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাবি শাখার আহŸায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও সদস্য সচিব আল মামুন প্রমুখ।
×