ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আফ্রিকার মাইন-সন্ধানী ইঁদুর

প্রকাশিত: ০৭:৩৯, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

আফ্রিকার মাইন-সন্ধানী ইঁদুর

কুকুরের চেয়ে ইঁদুরের নাকটা ভূমির বেশি কাছাকাছি থাকে? এছাড়া তাদের গন্ধের উৎস শনাক্ত করার প্রচণ্ড ক্ষমতাও রয়েছে। তাই স্থলমাইন খুঁজে বের করতে ইঁদুরকে কাজে লাগানো হচ্ছে। জীবন বাঁচায় ইঁদুর : কুকুরের চেয়ে ইঁদুরের নাকটা ভূমির বেশি কাছাকাছি থাকে। এছাড়া তাদের গন্ধের উৎস শনাক্ত করার প্রচণ্ড ক্ষমতাও রয়েছে। তাই স্থলমাইন খুঁজে বের করতে ইঁদুরকে কাজে লাগানো হচ্ছে। বেলজিয়ামের সংস্থা ‘আপোপো’ ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। ইঁদুরের পরীক্ষা : তাঞ্জানিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ সালে ইঁদুরের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এরপর ২০০৬ সালে তাদেরকে স্থলমাইন খুঁজতে মোজাম্বিকে পাঠানো হয়। এর আগে ইঁদুরকে পরীক্ষায় পাস করতে হয়েছে। নিয়ম মেনে খোঁজা : ইঁদুরের প্রশিক্ষণ চলছে। লোহার একটি দণ্ডের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দু’জন। আর ইঁদুরটি এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যাচ্ছে। এভাবেই সে স্থলমাইন শনাক্ত করবে। বাস্তব অভিজ্ঞতা : এই ইঁদুরটি যেখানে মাইন খুঁজছে সেখানে সত্যিই সত্যিই মাইন রাখা আছে। তবে নিষ্ক্রিয় অবস্থায়। মাইন শনাক্ত করতে পারলে ইঁদুর মাটিতে আঁচড় কাটা শুরু করে। একটি ইঁদুরকে প্রশিক্ষণ দিতে সময় লাগে এক বছর। আর খরচ হয় ছয় হাজার ডলার। সাফল্যের স্বীকৃতি : মাইন শনাক্তে সফল হলে স্বীকৃতি হিসেবে ইঁদুরকে কলা দেয়া হয়। একটি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইঁদুর দিনে গড়ে ৪০০ বর্গমিটার পর্যন্ত এলাকা চড়ে বেড়াতে পারে। যেটা করতে একজন মানুষের লাগত দুই সপ্তাহ। যে কারও সঙ্গে কাজ করতে পারে : কুকুর যেমন কাজ করার সময় তার প্রভুর সঙ্গ পছন্দ করে ইঁদুরের ক্ষেত্রে সেটা না হলেও চলে। ফলে শনাক্তকরণ কাজের সময় প্রভু না থাকলেও চলে। এতে যে সুবিধাটা হয় তা হলো, তাঞ্জানিয়ায় প্রশিক্ষণ পাওয়া ইঁদুর দিয়ে অন্য দেশে অন্য মানুষ দিয়েও কাজ চালানো সম্ভব। মিশন মোজাম্বিক : সাতটি ইউনিটে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ৫৪টি ইঁদুর মোজাম্বিকের প্রায় সড়কে ছয় মিলিয়ন বর্গমিটার এলাকায় খোঁজ চালিয়ে ২০০০ স্থলমাইন ও এক হাজারটি অবিস্ফোরিত বোমার সন্ধান পেয়েছে। সূত্র : ডয়েচে ভেলে
×