ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কন্যা দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তাদের অভিমত

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে নারীর বিকাশে সহায়তা দিতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করে নারীর বিকাশে সহায়তা দিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কন্যাশিশুর বিকাশে সবচেয়ে বড় বাধা বাল্যবিয়ে। পাশাপাশি ধর্মীয় বিশ্বাস ও কুসংস্কারের প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার মেয়েরা। শুধু তাই নয় কন্যাশিশুর বিকাশের নড়বড়ে সামাজিক নিরাপত্তাও। কন্যাশিশুর যথাযথ বিকাশে এজন্যই বাল্যবিয়ে রোধের পাশাপাশি কুসংস্কারের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে সামাজিক নিরাপত্তা। মেয়েশিশুদের বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে তাদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অংশীজনের অবদান চলমান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞজনেরা। তারা মনে করেন, ‘কন্যাশিশুকে দক্ষ কন্যাশক্তিতে পরিণত করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে অভিজ্ঞতা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনরা। ‘কন্যাশিশুকে প্রাণ না: দক্ষ কন্যাশক্তি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে রুম টু রিড বাংলাদেশ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর, বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন অধিদফতর মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার। প্রধান আলোচক ছিলেন রুম টু রিড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাখী সরকার, সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (রুটিন দায়িত্ব) মহাপরিচালক অধ্যাপক শামছুল হুদা। মেয়েশিশুদের শিক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়ে ৬ শিক্ষার্থী সরাসরি অতিথিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। এছাড়াও ঢাকার ১৩ বিদ্যালয়ের ৬৫০ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকসহ নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলার মেয়েশিশুদের প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। অনুষ্ঠানে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার’ ৪ ও ৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত ‘গুণগত শিক্ষা’ এবং ‘জেন্ডার সমতা’ অর্জনে সরকারের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ আলোচনায় উঠে আসে। খেলাধুলায় মেয়েদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে সচিব নাছিমা বেগম জানান, প্রধানমন্ত্রী খেলোয়াড়দের ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন এবং আরও অনেক উদ্যোগ নিয়েছেন। মেয়েদের আত্মরক্ষার্থে আমরা কারাতে শেখার ব্যবস্থা করেছি এবং বিভিন্ন ধরনের এ্যাপস্ তৈরি করেছি, যাতে মেয়েরা কোন সমস্যায় পড়লে বাটনে চাপ দিয়েই তার নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারবেন এবং তাকে সুরক্ষা দিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কন্যাশিশুর শিক্ষাদানের বিষয়ে পরিবারকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ধর্মীয় গোড়ামি ও কুসংস্কারের জন্য যাতে কন্যাশিশুর বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। কাজী রওশন আক্তার বলেন, অধিদফতর নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে এবং নারীদের বাল্যবিয়ে রোধে এই ধরনের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
×