ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ১২শ’ কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

সরকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে ১২শ’ কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিদ্যুত বিল পরিশোধে পিছিয়ে রয়েছে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোই। চলতি অর্থবছরের গত জুন পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ হাজার ১৯১ কোটি টাকার বিদ্যুত বিল বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। প্রতিমন্ত্রী জানান, বিল খেলাপী গ্রাহকদের তালিকা প্রণয়নপূর্বক তা আদায়ের পদেক্ষপ গ্রহণ এবং প্রয়োজনে বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এছাড়া বিল আদায়ে গঠিত টাস্কফোর্স ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করে থাকে। পৌরসভা, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, জুট মিলের মতো বড় বড় গ্রাহকদের বকেয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আদায়ের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। মাহফুজুর রহমানের অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় ১১০০ হতে ১১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট। চাহিদার চাইতে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা বেশি। বর্তমানে মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২০ হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বর্তমানে দেশে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা বেশি থাকায় কোন বিদ্যুত ঘাটতি নেই। তবে গ্রীষ্মকালে সঞ্চালন ও বিতরণ নেটওয়ার্কের সীমাবদ্ধতা, গ্যাস সরবরাহের অপ্রতুলতা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য মাঝে মধ্যে বিদ্যুত বিভ্রাট ঘটে। এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, বর্তমানে সরকারী খাতে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৯৮৬ মেগাওয়াট এবং বেসরকারী খাতে উৎপাদন ক্ষমতা ৬ হাজার ৮৯৭ মেগাওয়াট। প্রতিদিন চাহিদার ওপর ভিত্তি করে মেরিট অর্ডার ডেসপাচ অনুযায়ী বিদ্যুত কেন্দ্রসমূহ হতে উৎপাদন করা হয়। এছাড়া ভারত হতে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারের ভিশন ২০২১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে আরও নতুন নতুন বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে মোট ১৩ হাজার ৬৫৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৫টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো হতে ২০১৮ হতে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এছাড়া ৭ হাজার ৪৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৩টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো ২০১৮ হতে ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এর বাইরে ২০ হাজার ১৫৬ মেগাওয়াট ক্ষমতা ১৯টি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের ২টি স্থান হতে ১ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুত আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২০ হতে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে।
×