ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ আজ জিতলেই হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

বাংলাদেশ আজ জিতলেই হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুইয়ে

মিথুন আশরাফ ॥ বাংলাদেশ ও জিম্বাবুইয়ের মধ্যকার আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে। দুপুর আড়াইটায় ম্যাচটি শুরু হবে। এ ম্যাচটি জিতলেই জিম্বাবুইয়েকে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় করে নিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নিয়েছে। আজ জিতলে সিরিজে ব্যবধান হবে ৩-০। জিম্বাবুইয়ে হোয়াইটওয়াশ হবে। আর যদি কোনভাবে জিম্বাবুইয়ে ম্যাচটি জিতে যায়, তাহলে স্বস্তির জয় পাবে। সেক্ষেত্রে সিরিজে ব্যবধান হবে ২-১। জিম্বাবুইয়ে দলটি যে কতটা দুর্বল, তা প্রথম দুই ওয়ানডেতেই বোঝা গেছে। দলটি কোনভাবেই নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারছে না। দলটিকে গুছিয়ে উঠতে দিচ্ছেন না আসলে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান ও বোলাররা। জিম্বাবুইয়ের ব্যাটসম্যানদের আশা জাগানোর মতো পরিস্থিতি হলেই মাশরাফি, মুস্তাফিজ, সাইফউদ্দিন, মিরাজ, অপুরা আঘাত হানছেন। আর বল হাতে আশা জাগানোর মতো তৈরি যখনই করছেন জিম্বাবুইয়ে বোলাররা, তখনই ইমরুল, সাইফউদ্দিন, লিটন, মুশফিক, মিঠুনরা নিজেদের মেলে ধরছেন। তাতে করে কোনভাবেই জয় তুলে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না জিম্বাবুইয়ের। দুই ওয়ানডে হেরে তো এখন হোয়াইটওয়াশ হওয়ার মুখেই জিম্বাবুইয়েকে ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ। দুই দল ২০০১ সাল থেকে ওয়ানডে সিরিজ খেলে। ১৫টি দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ দুই দলের মধ্যকার খেলাও হয়ে গেছে। প্রথম দুই সিরিজে তো জিম্বাবুইয়ে এককভাবে দাপট দেখায়। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে। এরপর আর কোন সিরিজে বাংলাদেশকে এমন বিপদে ফেলতে পারেনি জিম্বাবুইয়ে। ২০০৬ সাল থেকে তো দাপট দেখিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ সিরিজের আগে ১৫টি সিরিজে বাংলাদেশ ৯টি সিরিজ জিতেছিল। এবার নিয়ে হলো ১০টি সিরিজ জয়। ২০০৬ সাল থেকে তো টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশই। মাঝপথে ২০১১ ও ২০১৩ সালে জিম্বাবুইয়ে সিরিজ জিতেছিল। ২০০৬ সালে প্রথমবার জিম্বাবুইয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার পর ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ করে জিম্বাবুইয়েকে। হোয়াইটওয়াশ করার দিক দিয়ে জিম্বাবুইয়ে ২, বাংলাদেশ ৩-এ আছে। এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশই। আজ যদি জিম্বাবুইয়েকে হারানো যায়, তাহলে চতুর্থবারের মতো জিম্বাবুইয়েকে হোয়াইটওয়াশ করবে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে ২০১৪, ২০১৫ সালের সঙ্গে টানা তৃতীয় সিরিজে জিম্বাবুইয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব গড়বে বাংলাদেশ দল। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল নেই। স্বাভাবিকভাবেই সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জিম্বাবুইয়েকে উড়িয়ে দিল যেন বাংলাদেশ। পাত্তাই পেল না জিম্বাবুইয়ে। আজ জিম্বাবুইয়েকে আবার হোয়াইটওয়াশ করার জন্যই নামবে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এ ম্যাচটি নিয়ে বলেছেন, ‘ওরা যে অভিজ্ঞ ব্যাটিং লাইন আপ নিয়ে এসেছে এবার, আমাদের সাকিব-তামিম ছাড়া অবশ্যই একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজ হওয়ার কথা ছিল। আমাদেরও তো দুইজন সেরা খেলোয়াড় নেই। হয়তো এশিয়া কাপে দারুণ খেলা ও টুর্নামেন্টের পর খুব দ্রুতই মাঠে নামার কারণে রেশটা থেকে গিয়েছে। সবাই নামছে এবং খেলছে স্বাভাবিকভাবে। বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের আত্মবিশ্বাসও এখন অনেক বেশি। এটার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আত্মবিশ্বাসটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কে খেলছে, কে খেলছে না সেটির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এটাই হয়তো জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন হয়ে গিয়েছে।’ আজও জিম্বাবুইয়ের কাছে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা কঠিন হয়ে থাকলেই হলো। তাহলেই যে জিম্বাবুইয়েকে হোয়াইটওয়াশ করাও সহজ হয়ে যাবে।
×