ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহে খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ ॥ বাধাগ্রস্ত পানি প্রবাহ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৬ অক্টোবর ২০১৮

ময়মনসিংহে খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ ॥ বাধাগ্রস্ত পানি প্রবাহ

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ সদর উপজেলার চুরখাই বাজার সংলগ্ন একটি খাল ভরাট ও জবরদখল করে রাইস মিল ও বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছে স্থানীয় কয়েকটি প্রভাবশালী মহল। এতে করে খালের পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় খালপারের মানুষ জলাবদ্ধতার কারণেন চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রভাবশালীদের ভয়ে ভুক্তভোগীদের কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না। স্থানীয় প্রশাসন থেকেও খাল দখলমুক্ত করতে নেয়া হয়নি কোন উদ্যোগ। যদিও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ হাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন, খাল দখলমুক্ত করতে অচিরেই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাসহ জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার সুতিয়া নদী থেকে পাগারিয়া নদীর প্রায় ছয় কিলোমিটার সংযোগ খালের প্রবাহ ছিল ময়মনসিংহের পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে। এক সময় ১২০ ফুট প্রশস্তের এই খাল হয়ে যাতায়াত ছিল নৌকার। কিন্তু খালপারের একশ্রেণীর মানুষের দখলের প্রতিযোগিতায় ভরাটের কারণে গভীরতার সঙ্গে কমেছে এর প্রশস্থতাও। ফলে এক সময়কার খরস্রোতা খাল এখন নালায় পরিণত হয়েছে। চুরখাই বাজার সংলগ্ন খালের প্রায় এক কিলোমিটার ভরাট ও দখলের কারণে পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। স্থানীদের অভিযোগ, বাজারের দক্ষিণপাশে প্রভাবশালী মজিবুর রহমান খাল ভরাট করে নির্মাণ করেছেন ‘হৃদয় অটো রাইস মিল’। খালের উত্তর-পশ্চিম পাশে মিলের বর্জ্য ফেলে আরও কিছু অংশ ভরাট করা হচ্ছে। বাজারের উত্তর পাশে স্থানীয় প্রভাবশালী জহিরুল ও নয়ন মেম্বর খাল ভরাট করে নির্মাণ করেছেন বাসাবাড়ি। আসগর, ইদ্রিস, মন্তু মেম্বার ও সুলতান ডাঃ সহ অনেকে খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে মিল ও বাসাবাড়ি নির্মাণসহ বিভিন্ন অংশে বাঁধ দেয়ার কারণেন বর্তমানে খালে কোন পানির প্রবাহ নেই। মিল মালিক মজিবুর রহমান খাল ভরাট করে মিল নির্মাণের কথা অকপটে স্বীকার করে জানান, খালের উজানে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলে তিনিও ভরাট করা অংশ থেকে মাটি সরিয়ে নেবেন। ভুক্তভোগী খালপারের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ফাতেমা ও গোলাম মজনু জানান, খাল ভরাট ও দখলের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্্ত হচ্ছে। এসময় খালপারের মানুষের বাসাবাড়িতে ঢুকছে ময়লাযুক্ত পানি। নষ্ট হচ্ছে উঠতি ফসল। খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য স্থানীয় প্রশানের কাছে দাবি জানান তারা। এদিকে খাল খননের নামে প্রকল্পের টাকা হরিলুট করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত মহল খনন না করেই প্রকল্পের টাকায় পকেট ভারি করেছে।
×