ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানে জিতেছে পাকিস্তান

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

 প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানে জিতেছে পাকিস্তান

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬৬ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৮৯ রানে থমকে যায় অস্ট্রেলিয়া। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বুধবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফখর জামানকে হারায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটিতে দলকে টানেন আজম। দুটি করে ছক্কা-চারে ৩০ বলে ৩৯ রান করা হাফিজকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভাঙেন ডার্চি শার্ট। দৃঢ় ভিতের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি মিকি আর্থারের শিষ্যরা। মিডল আর লোয়ার মিডল আর্ডার মিলিয়ে ছয় ব্যাটসম্যান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। নিয়মিত উইকেট পতনের মধ্যে দলকে দেড়শ রানে নিয়ে যান বাবর। এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ৫৫ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষ দিকে ৮ বলে অপরাজিত ১৭ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন হাসান। অস্ট্রেলিয়ার বিলি স্ট্যানলেক ৩ উইকেট নেন ২১ রানে। অ্যান্ড্রু টাই ২৪ রানে নেন তিন উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় ইমাদের বাঁহাতি স্পিন ও আশরাফের পেসে দিশেহারা হয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ষষ্ঠ ওভারে মাত্র ২২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ফিঞ্চের দল। অধিনায়ক ফিরেন শূন্য রানে। দলকে পথ দেখাতে পারেননি অন্য কেউ। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ৭৯ তখনও অনেক দূরের পথ। সেটা ছাড়িয়ে দলকে শতরানের কাছে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্ব ন্যাথান কোল্টার-নাইল ও অ্যাশটন অ্যাগারের। দশম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ২৯ বলে ৬ চারে ৩৪ রান করেন কোল্টার-নাইল। ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া ইমাদ জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। আশরাফ ২ উইকেট নেন ১০ রানে। আগামী শুক্রবার দুবাইয়ে হবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৫৫/৮ (ফখর ১৪, বাবর ৬৮, হাফিজ ৩৯, আসিফ ২, তালাত ৯, আশরাফ ০, সরফরাজ ০, শাদাব ১, ইমাদ ০, হাসান ১৭*; কোল্টার-নাইল ০/৪২, স্ট্যানলেক ৩/২১, টাই ৩/২৪, অ্যাগার ০/১৯, জ্যাম্পা ১/৩২, শর্ট ১/১৩) অস্ট্রেলিয়া: ১৬.৫ ওভারে ৮৯ (ফিঞ্চ ০, শর্ট ৪, লিন ১৪, ম্যাক্সওয়েল ২, ম্যাকডারমট ০, ক্যারি ১, অ্যাগার ১৯, কোল্টার-নাইল ৩৪, জ্যাম্পা ৩, টাই ৬, স্ট্যানলেক ২*; ইমাদ ৩/২০, আশরাফ ২/১০, হাসান ১/১৬, আফ্রিদি ২/২৩, শাদাব ১/১৬)
×