ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে অর্থমন্ত্রী

বৈদেশিক ঋণ ও সুদ শোধ করা হয়েছে ৮২২৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

বৈদেশিক ঋণ ও সুদ শোধ করা হয়েছে ৮২২৪ কোটি টাকা

সংসদ রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ এবং ঋণের সুদ বাবদ মোট ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ৮ হাজার ২২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তন্মধ্যে ঋণের আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ৮৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি এবং ঋণের সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ২০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ ১ হাজার ৫৮১ কোটি টাকা। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সংসদ সদস্য আলী আজমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালের ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের লক্ষ্য হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের জনগণকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও সুখী বাংলাদেশ উপহার দেয়া। এ লক্ষ্যে বাস্তবায়নের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১ প্রণয়নের কাজ চলছে। অর্থমন্ত্রী জানান, ইতোমধ্যে দেশের অমূল্য পানি-সম্পদের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপসহ সকল খাতের সমন্বয়ে প্রণয়ণ করা হয়েছে সমন্বিত দীর্ঘমেয়াদী বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০। যা ইতোমধ্যে অনুমোদন করা হয়েছে। সরকারের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস-দেশের জনগণের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে চলমান উন্নয়ন কর্মকা-ের ধারাবাহিকতা সামনের দিনগুলোতে বজায় থাকবে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ। সরকারী দলের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে জিডিপি’র প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরে জিডিপি’র প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৪ শতাংশের বিপরীতে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
×