ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা নির্বাচন বানচালের ৭ চক্রান্ত ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা নির্বাচন বানচালের ৭ চক্রান্ত ॥ কাদের

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ২৪ অক্টোবর ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা হচ্ছে আগামী নির্বাচন বানচালের ৭ চক্রান্ত। অশুভ উদ্দেশ্য নিয়ে শুধু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই দেশবিরোধী নেতৃত্ব নিয়ে এই ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এবং বাংলার জনগণ তাদের এই অশুভ উদ্দেশ্যকে অচিরেই নস্যাত করে দিবে। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোন বিকল্প নেই। ১/১১ এর কুশীলবরা দেশবিরোধী চক্রান্তকারীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। দুর্নীতিবাজদের নেতৃত্ব জনগণ মেনে নেবে না। বিএনপির নদীর জোয়ার শেষ হয়ে গেছে, ঐক্য ফ্রন্টেরও জোয়ারও আসবে না, ঢেউ ও আসবে না। আর আন্দোলনও করতে পারবে না। বিএনপি এখন একটি ভুয়া দলে পরিণত হয়েছে। ওবায়দুল কাদের বুধবার দুপুরে টঙ্গীর সরকারী কলেজ মাঠে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান। সঞ্চালনায় ছিলেন গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী গণসংযোগ ও প্রচারণা কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ড. কামাল হোসেন নষ্ট রাজনীতির হাতে হাত মিলিয়েছেন সঙ্গে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন গংরাও যোগ দিয়েছেন তাদের সঙ্গে। তারা যতই ঐক্য করুক না কেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা করে এগিয়ে আছে। বিএনপির নেতানেত্রীরা ঘুম থেকে উঠেন সকাল ১১টায় আর আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনাসহ নেতাকর্মীরা উঠেন সেই ভোর ৫টায়। তারা সবাই ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফজর নামাজ পড়ে কোরান তেলোয়াত করে দিনের কর্মসূচী শুরু করেন। যেহেতু বিএনপিসহ সবাই ৬ ঘণ্টা পিছিয়ে আছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের রেজাল্টেও বিএনপি ৬ ঘণ্টা পিছিয়ে থাকবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার নৌকা জয়ী হবে। তিনি নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন সব নেতাকর্মীরাই চাইতে পারবেন। কিন্তু প্রতি আসনে মনোনয়ন পাবেন মাত্র একজনই। শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই মেনে নিতে হবে। বিদ্রোহ করলে এবার আর কারো ক্ষমা নেই। বিদ্রোহ করলেই সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কার। বহিষ্কারের জন্য এবার অপেক্ষা করা হবে না। বিদ্রোহ যে করবে সেই বহিষ্কার। সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিপু মনি, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর-২ আসনের এমপি জাহিদ আহসান রাসেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মুহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, একে এম এনামুল হক শামীম, মতিউর রহমান মতি, ইকবাল হোসেন সবুজ, সেলিনা ইউনুস, ওয়াজউদ্দিন মিয়া, আফজাল হোসেন সরকার রিপন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উসমান আলী, আসাদুর রহমান কিরন, আশরাফ, শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, কাজী ইলিয়াস আহমেদ, হেলাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন মোল্লা, সাদেক আলী, নূরুল ইসলাম নূরু, ফারুক আহমেদ, আমজাদ হোসেন, মেহেদী হাসান কানন মোল্লা, মশিউর রহমান সরকার বাবু, হুমায়ুন কবির বাপ্পি, রেজাউল কবির, কাজী মঞ্জুর প্রমুখ। তিনি আরো বলেন, আজ ১/১১ এর কুশীলবরা জাতীয় নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ২১ আগস্ট, ১৫ আগস্টের খুনী আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী মানিলন্ডারিং ২১ আগস্ট যাবজ্জীবন কারাদ- সাজাপ্রাপ্ত তারেক রহমানের সঙ্গে এরা হাত মিলিয়েছে। এদের নেতা হচ্ছেন ড. কামাল হোসেন। যিনি নষ্ট রাজনীতির ধারক ও বাহক বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মঈনুল ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারী মাইনাস-টু-ফরমুলার সঙ্গে ছিলেন। নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে হটাতে হবে এই ষড়যন্ত্রই তার মূল উদ্দেশ্য। তাকে ঐক্য ফ্রন্টের নেতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে অশোভন বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য।
×