ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যরাতে সিএনজিতে তরুণী হেনস্থা, এক এএসআই সাসপেন্ড

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

মধ্যরাতে সিএনজিতে তরুণী হেনস্থা, এক এএসআই সাসপেন্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত সোমবার মধ্যরাতে সিএনজিতে থাকা এক তরুণীকে হেনস্থা করার ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর রামপুরা থানার এক এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও চার পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সোমবার মধ্যরাতে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার আরোহী এক তরুণীকে হেনস্থা করে কয়েক পুলিশ সদস্য। তরুণীর সঙ্গে পুলিশের বাগবিত-ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ে। এমন ঘটনার পর পুলিশের কর্মকা- ও দায়িত্ব পালন নিয়ে রীতিমতো সমালোচনা শুরু হয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে তাদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে জানানো হয়, পুলিশ চেকপোস্টে সিএনজি আরোহী এক নারীর সঙ্গে কয়েক পুলিশ সদস্যের বাদানুবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এ্যান্ড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম এক ফেসবুক পোস্টে জানান, ভিডিও ধারণকারী পুলিশ সদস্যদের শনাক্ত করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনারের অনুমতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। মামলার মাধ্যমেই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হবে। মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতরের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ভিডিওটি যাচাই-বাছাই করে এ ঘটনায় দোষী হিসেবে তিন পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা হয়েছে। ডিএমপি কমিশনারের অনুমতিক্রমে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জানা গেছে, ডিএমপির খিলগাঁও জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার নাদিয়া জুঁইকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে ডিএমপি। নাদিয়া জুঁই বলছেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সোহেল রানা বুধবার সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সত্যতা মিলেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট পাঁচ পুলিশকে শনাক্ত হয়েছে। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে দোষীদের আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র বলছে, তরুণীকে হেনস্তার করার জায়গাটি ছিল রামপুরা টিভি সেন্টার এলাকায়। হেনস্তার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ইতোমধ্যেই রামপুরা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইকবালকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃত এই পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার রাতে চেকপোস্টের দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ দলের প্রধান হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। শনাক্ত হওয়া অপর চার জন পুলিশ কনস্টেবল। এরা মিরপুরের দাঙ্গা দমন বিভাগে (পিওএম-পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) কর্মরত। তারা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। তাদের চলাফেরা ও যাতায়াত এবং যোগাযোগের ওপর বিশেষ নজরদারি চলছে। এই চার জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে মহানগর পুলিশ।
×