ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে প্রধানমন্ত্রী;###;জনগণের কাছে দোয়া চাইলেন, নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান;###;জোটকে স্বাগত জানাই, তবে জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে

সাজা পেতেই হবে ॥ তারেককে ফিরিয়ে আনা হবে

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

সাজা পেতেই হবে ॥ তারেককে ফিরিয়ে আনা হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, শাস্তি যখন পেয়েছে যেখানেই লুকিয়ে থাকুক আল্লাহর ওপর আমার আস্থা আছে, একদিন না একদিন তাকে সাজা পেতেই হবে এবং সাজাও ভোগ করতে হবে। আর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করতে আমরা পিছপা হই না, রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করি। তবে কেউ যদি জঙ্গী-সন্ত্রাস বা মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকে অথবা কেউ অশালীন উক্তি করে, আর মানুষ যদি বিচার চায় সেই বিচার করাটাও রাষ্ট্রের কর্তব্য। রাষ্ট্র সে বিচার করবে এবং করে যাচ্ছে। সেটা দেশবাসী দেখতে পাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, ভোটও চাই; যাতে পুনরায় ক্ষমতায় এসে যেন এই অন্যায়- অবিচারের বিচার করতে পারি। সাজাটা আমরা কার্যকর করতে পারি তার জন্য দোয়া চাই। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন, যাতে ২১ আগস্টের মতো সকল অন্যায়-অবিচার, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত করে দেশের মানুষের শান্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করব। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ও জাতীয় পার্টির বেগম রওশন আরা মান্নানের পৃথক সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা ও মানুষের ওপর অত্যাচার করা এটা তাদের (বিএনপি) স্বভাব। জিয়াউর রহমান যেমন ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তার স্ত্রী (খালেদা জিয়া) ও পুত্র (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, এতে কোন সন্দেহ নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শাস্তি যখন পেয়েছে, যেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, আল্লাহর ওপর আমার ভরসা আছে, মানুষের ওপর আমার বিশ্বাস আছে- নিশ্চয়ই একটা দিন আসবে। যারা (তারেক রহমান) এতবড় জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রকাশ্যে দিবালোকে গ্রেনেড যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত গ্রেনেড রাজপথে ব্যবহার করে যারা ২২ মানুষকে হত্যা করেছে, সেই মামলার বিচার ও রায় যখন হয়েছে, একদিন না একদিন সাজা তারেক রহমানকে পেতেই হবে এবং সাজাও ভোগ করতে হবে। সংসদ নেতা বলেন, তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ যদি চায়, আগামী নির্বাচনে আবার আমরা ফিরে আসতে পারি, অবশ্যই আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব, শাস্তি দিতে পারব। এই বিশ্বাস আমার আছে। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, ভোটও চাই-যেন আমরা পুনরায় দেশ সেবার কাজে ফিরে এসে এই অন্যায়-অবিচারের বিচার করতে পারি। সাজাটা আমরা যেন কার্যকর করতে পারি তার জন্যও দেশবাসীর দোয়া চাই। এ হামলা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ আমার পরিবারের ১৮ জনকে হত্যা করা হয়। তখন খুনীদের বিচার না করে ইনডেমনিটি দিয়ে রক্ষা করা হয়, বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। আমরা দু’বোন বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। ১৯৮১ সালে যখন দেশে ফিরে আসি তখন বঙ্গবন্ধুর খুনী, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায়। তখন অনেক ঘাত-প্রতিঘাত মোকাবেলা করে আমাদের রাজনীতি করতে হয়েছে। এরপর বারবার আমার ওপর গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সবশেষ আমাকে রাজনৈতিক ও শারীরিকভাবে শেষ করে দিতেই এই হামলা চালানো হয়। নেতাকর্মীরা মানবপ্রাচীর তৈরি করে আমাকে রক্ষা করে। কিন্তু সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা যায় না। মামলার রায়ে সত্য ঘটনা বেরিয়ে এসেছে। এই জঘন্য হত্যাকা-ের বিচার করতে পেরেছি এটাই বড় কথা। জাতীয় পার্টির বেগম রওশন আরা মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতায় আসতে জনগণের ভোট-সমর্থন যেমন প্রয়োজন তেমনি আল্লাহর ইচ্ছাটাও বড়। ১৫ আগস্ট আমার ১০ বছরের ছোট ভাইকেও কিন্তু রেহাই দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর কোন রক্ত যাতে বেঁচে থাকতে না পারে সেজন্য এমন ভয়াল হত্যাকা- ঘটানো হয়। মাত্র ১৫ দিন আগে বিদেশে যাওয়ায় আমরা দু’বোন প্রাণে বেঁচে যাই। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে দেশ গড়ার কাজে হাত দেই। আমর জীবনের একটাই লক্ষ্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা। জীবনে নিজে কি পেলাম বা পেলাম না সেটা বড় কথা নয়, দেশের মানুষকে কি দিতে পারলাম, তাদের ভাগ্যের কতটুকু পরিবর্তন করলাম সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। তিনি বলেন, গত ১০ বছর একটানা ক্ষমতায় রয়েছি বলেই দেশের উন্নয়ন কর্মকা-গুলো এখন দৃশ্যমান হচ্ছে, যার সুফল দেশের জনগণ পাচ্ছে। সরকারের ধারাবাহিকতা রয়েছে বলেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী ট্যানেল, মেট্টোরেলসহ বড় বড় মেগা প্রকল্পের কাজ চলছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারব কিনা জানি না, কেননা বয়স হয়েছে। তবে আমি চাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। আমরা দেশকে অবশ্যই দারিদ্র্যমুক্ত করব। জঙ্গী-সন্ত্রাস-মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে আমরা গড়ে তুলবই। সত্যিই এখন দেশে দিন বদল ঘটেছে। দেশকে আমরা আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। ড. কামালের জোটকে স্বাগত জানাই তবে...॥ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রসঙ্গে সরকারী দলের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমীন এমিলির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীর বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। তবে রাজনৈতিকভাবে যারা জোট করেছে তাদেরকে আমি স্বাগতই জানাই। কারণ, আমি মনে করি সকলেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে। আজকে যারা রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দল জোট করে নির্বাচনে আসবে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে; এতে গণতন্ত্রের ভিত্তিটা আরও মজবুত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, এখানে (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) যারা যুক্ত হয়েছেন তাদের যে কথাবার্তা, যা কিছু এখন মানুষ জানতে পারছে বা শুনতে পারছে, তাদের কেউ কেউ মানুষকে সম্মান রেখে কথা বলতে পারছে না। বিশেষ করে একটা নারীবিদ্বেষী মনোভাব, মেয়েদের প্রতি অশালীন কথা বলা থেকে শুরু করে জোটের নেতাদের মুখে অনেক কিছুই শুনতে পাচ্ছি। তবে আমি আশা করি, তারা সংযত হবে। কেননা, জনগণের জন্য কাজ করতে হলে যে সহনশীল হতে হয়, যে ত্যাগ দরকার সে ত্যাগ বা সহনশীলতা তাদের মধ্যে নেই। আমি আশা করি, তারা যদি সত্যিই রাজনীতির জন্য জোট করে এগিয়ে যেতে চান, তবে অবশ্যই তাদের সেভাবে চলতে হবে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, যে কোনভাবেই হোক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলা করতে আমি পিছপা হই না, রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেলা করি, এটাই বাস্তবতা। তবে যেউ যদি জঙ্গী-সন্ত্রাস বা মাদক অথবা কেউ অশালীন উক্তি করে, মানুষ যদি বিচার চায়, সেই বিচার করাটাও রাষ্ট্রের কর্তব্য। রাষ্ট্র সে বিচার করবে এবং করে যাচ্ছে। সেটা দেশবাসী দেখতে পাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ ॥ অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বর্তমান সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে মশাল বঙ্গবন্ধু জ্বালিয়ে রেখে গিয়েছিলেন ৪২ বছর আগে, তার উত্তরসূরি হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে তা বহন করে চলেছি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিনে বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার প্রাথমিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দেশের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক উন্নয়নেরই প্রতিফলন ও স্বীকৃতি এটি। জাতি হিসেবে এটি আমাদের জন্য অবশ্যই একটি বড় অর্জন। বাংলাদেশ নি¤œ আয়ের দেশ থেকে বেরিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং দারিদ্র্যের হার ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা, জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলারে উন্নীত করা এবং একই সময়ে বাণিজ্য অনুপাত (আমদানি-রফতানি) জিডিপির ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারপ্রধান বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আমরা রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা রূপকল্প-২০৪১ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন করব। এ পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেয়েছে ৭ গুণেরও বেশি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে সাড়ে ৯ গুণ। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্যের সুফল দেশের জনগণ পেয়েছে, যার ফলে দরিদ্র জনগণের সংখ্যা দ্রুত কমছে। শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় লাল সবুজের নিশান নিয়ে, আওয়ামী লীগ ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি’ বেয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণকে সরকারের কাজে সম্পৃক্ত করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতায় আওয়ামী লীগ সরকার বদ্ধপরিকর। আর এই এগিয়ে যাওয়া হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার কাক্সিক্ষত উন্নত সোনার বাংলাদেশ। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ ও উন্নত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দুঃখী ও অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য। আর এ লক্ষ্য পূরণে নিরলসভাবে কাজ করতে আমি বেশি আনন্দ ও শান্তি পাই। টেকসই সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণে ১৬ কোটি মানুষের উন্নয়নে কাজ করাই আমার আনন্দ ও প্রশান্তি। অর্জিত দুটি সম্মাননা জনগণকে উৎসর্গ ॥ অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবতাবাদী, সাহসী, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের জন্য এ বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আমাকে দুটি সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রদত্ত এই সম্মাননা দুটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। সম্মাননা প্রাপ্তির পর আমি দুটি সম্মাননাই বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করি। আমার দেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিয়ে, আহার ভাগাভাগি করে আমার সিদ্ধান্তকে সমর্থন দিয়েছেন এবং আমাকে সর্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছেন। আমি বিশেষ করে কক্সবাজারের মানুষকে তাদের অব্যাহত ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা জানান, মিয়ানমার থেকে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ছবিযুক্ত আইডি কার্ড করে দেয়া হয়েছে। তারা যেন নির্ধারিত ক্যাম্পের মধ্যেই থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে যাতে কোন ধরনের সন্ত্রাসীমূলক কর্মকা-ে জড়িত হতে না পারে সেজন্য সরকার ও আইনশৃৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
×