ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে তারা ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

দেশ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে তারা ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৪ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছেন। গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে আগের মতো জ্বালাও-পোড়াও করে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। নির্বাচন সামনে রেখে তারা আবারও নৈরাজ্য সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। বুধবার শেখ হাসিনা বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন করে গণমানুষের মন জয় করেছে। জনগণ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সুফল পেয়ে শেখ হাসিনাকে ভালবেসে আগামীতে আবারও ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করার যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশের একজন নেত্রী নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিরপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। অপরদিকে শেখ হাসিনা মায়ের মমতা ও বোনের স্নেহ নিয়ে পোড়া মানুষকে বাঁচাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, জনগণ এই দুই নেত্রীর মধ্যে গুণগত পার্থক্য দেখেছে বলেই বারবার শেখ হাসিনাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়। মাত্র দুবছরের মধ্যে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল’ নির্মাণে সহায়তা করায় সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে দেশের গরিব ও দুঃখী সাধারণ মানুষ যখন এই হাসপাতালে এসে চিকিৎসা পাবে তখন তারা অনুধাবন করবে শেখ হাসিনা ছিলেন বলেই বিশে^র সর্ববৃহৎ বার্ন হাসপাতাল বাংলাদেশে নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি স্বপ্ন পূরণ করল। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সসহ সকলকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে অগ্নিদগ্ধ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন তিনি। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই একর জমির ওপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক এ বার্ন হাসপাতালটি উদ্বোধনের ফলে হাজার হাজার পোড়া রোগীর সুচিকিৎসার নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো। শুধু রোগীরা নন, তাদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এ প্রতিষ্ঠান। ২০১৫ সালের ২৪ নবেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ ইনস্টিটিউট নির্মাণের অনুমোদন পায়। ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁনখারপুলে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর নির্মাণ কাজ শুরু করে। ১৮তলা বিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটটির মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট। সেখানে গাড়ি পার্কিং ও রেডিওলজিসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হচ্ছে। ইনস্টিটিউটটিতে ৫০০টি শয্যা, ৫০টি ইনসেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থাকবে।
×