ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মানিকগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

মানিকগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, মানিকগঞ্জ, ২৪ অক্টোবর ॥ ঘিওরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হালিম মিয়া (৪৫) নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের ভাক- গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত হালিম ওই গ্রামের আনছের শেখের ছেলে। জানা গেছে, ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় রশিদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে হালিমের বিরোধ চলছিল। বুধবার সকালে হালিম তার নিজ জমিতে গেলে রশিদ ও কয়েকজন হালিমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হালিমের চিৎকারে স্বজনরা এগিয়ে এলে রশিদরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হালিমের ওপর হামলা করে হামলাকারীরা থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ তাদের আটক করে। ফরিদপুরে গৃহবধূ নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর, থেকে জানান, নগরকান্দায় স্ত্রী বিউটি বেগমকে (১৯) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী মিজানুর রহমান (২৬) পালিয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে নগরকান্দা পৌরসভার মিনারগ্রাম এলাকায়। বিউটি বেগম নগরকান্দার তালমা ইউনিয়নের কোনাগ্রামের চাঁন মিয়ার মেয়ে। মিজানুর ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের কেশবনগর গ্রামের সেকেন্দার মিয়ার ছেলে। মিজানুর রহমান ফরিদপুর সদরের বাখু-ায় অবস্থিত জোবায়দা-করিম জুটমিলে ট্রলিচালক হিসেবে কাজ করতেন। ওই মিলে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন বিউটি। মন দেয়া নেয়ার এক পর্যায়ে এক বছর আগে মিজান ও বিউটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর মিজান নগরকান্দা পৌর এলাকার মিনার গ্রামে রিনা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মিজান মাদকাসক্ত ছিল। সে তার বন্ধুদের নিয়ে প্রায়শই ওই ভাড়া বাসায় আড্ডা দিত। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। দিনাজপুরে এক ব্যক্তি স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানান, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার রাক্ষুসী নদীর ধার থেকে আনিস (৪৩)-এর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বোচাগঞ্জ উপজেলার মহব্বতপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই ঘটনায় পুলিশ নিহতের চাচা রমজান আলী, চাচাত ভাই আব্দুর রহমান, কাদের গনি ও সাগর নামে চারজনকে আটক করেছে। সাতক্ষীরায় প্রেমিকার রহস্যজনক মৃত্যু স্টাফ রিপোর্টার সাতক্ষীরা থেকে জানান, বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের কাছে আসা এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে শহরের এক চিকিৎসকের কর্মচারীর ঘর থেকে ওই যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চিকিৎসক পরিবারের ঢাকায় থাকার সুযোগে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেমিক আবু সাইদের ঘরে এসে উঠে। রাতেই মেয়েটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রেমিক দাবি করলেও তাকে গলাটিপে হত্যা করা হতে পারে বলে অনেকে সন্দেহ করছেন। পুলিশ প্রেমিক আবু সাঈদকে আটক করেছে। নিহতের নাম তামান্না খাতুন (২১) । সে কালিগঞ্জ উপজেলার কলিযোগা গ্রামের সেলিম গাজীর মেয়ে। এদিকে, আটক আবু সাইদ সদর উপজেলার মাছখোলা গ্রামের আশরাফ হোসেনের ছেলে। জানা গেছে, সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট ডাঃ কাজী আরিফ আহমেদ নাহার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট চেম্বার ও একই স্থানে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। মঙ্গলবার তিনি সপরিবারে ঢাকায় যান। আবু সাইদ রোগীদের সিরিয়াল দেয়ার কাজ করত। ডাক্তার ঢাকায় গেলে আবু সাইদকে ওই বাসায় দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়। আবু সাইদের সঙ্গে তামান্নার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এরই জের ধরে তামান্না মঙ্গলবার দুপুরে বিয়ের দাবিতে সাইদের বাসায় আসে। এ সময় আবু সাইদ বিয়ে করতে টালবাহানা করলে রাতেই সে বাড়ির তিনতলায় অবস্থিত সাইদের ঘরে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
×