ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় আজ ‘রাজা সীতারাম রায়’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

শিল্পকলায় আজ ‘রাজা সীতারাম রায়’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরার কলমের সৈনিক নাট্য সংসদের ২৩তম প্রযোজনা ‘রাজা সীতারাম রায়’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। ‘রাজা সীতারাম রায়’ নাটকটি রচনার পাশাপাশি নির্দেশনা দিয়েছেন সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন সালাহউদদীন আহমেদ মিলটন, জলি, আশরাফুল, রইস, রাসেল, ইমরান, ইউনুছ, আরিফ, আনিস, সীমান্ত, মুরাদ, ইকবল, মাসুদ রানা, বাদল, মতিউর, সোহেল প্রমুখ। মুঘল আমলের ইতিহাস আশ্রিত ‘রাজা সীতারাম রায়’ নাটকের কাহিনীতে পূর্ব বঙ্গের ভূষণা রাজ্যের স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য এক বাঙালী বীরযোদ্ধা রাজা সীতারাম রায়ের দেশপ্রেম, মহানুভবতা ও নির্ভীকচিত্তে জীবন আত্মদানের বলিষ্ঠ চেতনা বিধৃত হয়েছে। বারো ভূঁইয়ারা ষোড়শ শতাব্দীর শেষার্ধে বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করে মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। ঠিক তেমনিভাবে অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলার আরেক পরাক্রমশালী বাঙালী বীরযোদ্ধা রাজা সীতারাম রায় মুঘলদের বিরুদ্ধে পূর্ব বঙ্গের ভূষণা রাজ্যের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। মুঘলদের অন্যায়-অত্যাচারের কালো থাবা থেকে তিনি সমগ্র বাংলাকে মুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তাই তো তিনি ভূষণার ফৌজদার মুঘল সেনাপতি মীর আবু তোরাপকে যুদ্ধে পরাজিত করে অসংখ্য মুঘল সৈন্যসহ তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। ফলে মুঘল সম্রাট ক্ষীপ্ত হয়ে রাজা সীতারাম রায়ের রাজ্য দখল ও তাকে হত্যা করার জন্য মুর্শিদাবাদের নবাব মুর্শিদকুলী খাঁকে নির্দেশ প্রদান করেন। অতঃপর নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ রাজা সীতারাম রায়কে হত্যা করার জন্য মুঘল সেনাপতি বক্স আলী খাঁর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক সৈন্যসহ ভূষণায় প্রেরণ করেন। ১৭১৪ খ্রিস্টাব্দের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজা সীতারাম রায়ের সঙ্গে মুঘল সেনাপতি বক্স আলী খাঁর এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধে রাজা সীতারাম রায় পরাজিত হন। মুঘল সেনাপতি বক্স আলী খাঁ রাজা সীতারাম রায়ের দেশপ্রেম ও মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে হত্যা না করে বরং বন্দী করে মুর্শিদাবাদ নবাব মুর্শিদকুলী খাঁর নিকট প্রেরণ করেন। নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ রাজা সীতারাম রায়কে মুঘলদের বশ্যতা স্বীকার করে পুনরায় ভূষণা রাজ্যের রাজসিংহাসন গ্রহণ করার অনুরোধ করলেও রাজা সীতারাম রায় তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন। ফলে নবাব মুর্শিদকুলী খাঁ ক্ষীপ্ত হয়ে রাজা সীতারাম রায়কে শূলে চড়িয়ে হত্যা করে মুর্শিদাবাদ নগরীর প্রধান ফটকে টাঙিয়ে রাখার নির্দেশ দেন।
×