ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়া-৪ আসনের হিসাব-নিকাশ জটিল

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

বগুড়া-৪ আসনের হিসাব-নিকাশ জটিল

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনটি অনেকটাই জটিল। অন্যতম কারণ এলাকাটি জামায়াত অধ্যুষিত। সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে সারাদেশের প্রতিটি আসনে পাকিস্তানের বিপক্ষে জনমত গড়ে ওঠে এবং সকল ভোটার আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়। বগুড়া-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও খুলনার একটি আসনে মুসলিম লীগের প্রার্থী বিজয়ী হয়। দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭৩ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী। তখন বৃহত্তর বগুড়ায় (বগুড়া-জয়পুরহাট) ৯টি আসন ছিল। এরপর ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সাধারণ নির্বাচন থেকে ২০০৮ সালের দশম সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত কখনও জাতীয় পার্টি, কখনও বিএনপি ও সবশেষে জাসদ বিজয়ী হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রতিবার অংশগ্রহণ করে। ২০১৪ সালের নবম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। ১৪ দলীয় জোটের স্বার্থে তাকে সরে আসতে হয়। অর্ধ শতাব্দী ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত মমতাজ উদ্দিন একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে মাঠে আছেন। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় গিয়ে জনসংযোগ, উঠান বৈঠক ও সমাবেশ করছেন। মনোনয়নপ্রাপ্তি সাপেক্ষে তিনি এই আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এই আসনে আওয়ামী লীগের আরও দুইজন প্রার্থী মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়েছেন। তারা হলেন : হেলাল উদ্দিন কবিরাজ ও কামাল উদ্দিন কবিরাজ। তারা সহোদর। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীর তালিকায় আছেন দুইজন সাবেক এমপি ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লা ও মোস্তফা আলী মুকুল। জাতীয় পার্টির নড়াচড়া তেমন নেই। তারপরও হাজী নুরুল আলম বাচ্চু ও ফারুক আহমেদ মাঠে ঘোরাঘুরি করছেন। বর্তমান এমপি জাসদের জেলা সভাপতি রেজাউল করিম তানসেন এবারও মনোনয়নের আশা করে আছেন। নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতে ইসলামী দলের অন্যতম নেতা কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা তায়েব আলী অনেকটা কৌশলী হয়ে মাঠে আছেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রচার করছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছেন। কাহালু ও নন্দীগ্রাম এলাকায় একটা সময় জামায়াতের যে প্রভাব ছিল বর্তমানে তা কমে গিয়েছে। এলাকার লোকজনের মধ্যে পুরাতন ধারণা পাল্টে যাচ্ছে।
×