পৃথিবীতে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণের ক্ষেত্রে নারী জাতির ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু ইতিহাসে নারীদের এ অবদান পুরুষের পাশাপাশি স্থান পায়নি। অথচ যে কোন জাতির সামাজিক উন্নতি, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনে নারীরা সমান ভূমিকা পালন করে আসছে। এখন নিজেদের ক্যারিশমায় সে সব স্বীকৃতি আদায় করে নিচ্ছে। নারী জাতিকে অতীতের মতো অবহেলা করার সুযোগ এখন আর নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে শতগুণ এগিয়ে নারীরা। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রের পাশাপাশি ক্রীড়া জগতেও আমাদের মেয়েরা আজ উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে জ্বাজল্যমান। ফুটবলের মতো অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলায় আমাদের মেয়েরা আজ দেশের মুখ উজ্জ্বল করছে।
সম্প্রতি ভুটানে অনুষ্ঠিত সাফ অনুর্ধ-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ ফুটবলে আমাদের মেয়েরা চ্যাম্পিয়ন হয়। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কঠোর পরিশ্রমের ফসল মৌসুমী-মারিয়ারা প্রতিটা দেশকে গোলের বন্যায় (পাকিস্তানকে ১৭ গোল) ভাসিয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিটা বয়সভিত্তিক নারী ফুটবলে যেমন- অনুর্ধ-১৫, অনুর্ধ-১৬তে আমাদের মেয়েরা দক্ষিণ এশিয়ায় আধিপত্য বজায় রেখেছে এবং তাদের হাত দিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রফি এসেছে দেশে। এর মধ্যে গত ১১.১০.১৮ তারিখে এএফসি অনুর্ধ-১৬ বাছাই ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়া মেয়েদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংবর্ধনা দিয়ে প্রতি ফুটবলারকে ১০ লাখ টাকা করে দিয়েছেন। এতে খেলোয়াড়দের উৎসাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং বলা যায়, সঠিক প্রশিক্ষণ, সরকারী-বেসরকারী উৎসাহ ও পরিচর্যা পেলে আমাদের মেয়েরা একদিন বিশ্বকাপও ঘরে আনতে পারবে।
-দোহাজারী, চট্টগ্রাম থেকে
শীর্ষ সংবাদ: