বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বা ফু ফে) এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মেয়েরা ফুটবলে আসে। ২০০৫ সালে তারা আন্তর্জাতিক ম্যাচে অংশগ্রহণ করে জাপানের বিপক্ষে। ‘বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা’ নামের একটি নারী স্কুল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তুলে আনা হয়েছে এসব মেয়েদেরকে। ২০০৮-০৯ এর দিকে তারা ভাল খেলতে শুরু করে; বলা যায়- বয়সভিত্তিক দল তৈরি করে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দলগুলোর সঙ্গে খেলতে থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালে নেপালে অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম শিরোপা জিতেছিল। এরপর ঢাকায় এএফসি অনুর্ধ-১৬ বাছাইপর্বে, গত বছর ঢাকায় সাফ অনুর্ধ-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপে এবং গত এপ্রিলে হংকংয়ে চার জাতি জকি কাপে শিরোপা জিতেছিল।
সবচেয়ে আনন্দের বিষয় এটাই যে, ২০১৭ সালে ভারতকে হারিয়ে সাফ অনুর্ধ-১৫ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছিল। ২০১৮ তে তারা ভারতের কাছে ০-১ গোলে হারলেও বড় অর্জন ছিল। এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানকে ১৪-০, নেপালকে ৩-০ এবং ভুটানকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল। মাসখানেক পর অনুর্ধ-১৮ সাফে বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তান হজম করেছিল ১৭ গোল। মেয়েদের ফুটবলের ইতিহাসে এটাই ছিল বড় জয়।
অনুর্ধ-১৮ সাফে স্ট্রাইকার স্বপ্নার সাত গোলে বিধ্বস্ত হয় পাকিস্তান, সেরা গোলদাতার আখ্যান পায় স্বপ্না। স্বপ্নার মতো মেয়েরা বাংলাদেশের ফুটবলে থাকলে একদিন বাংলাদেশ বিশ্বজয় করবে। এজন্য প্রয়োজন অভিভাবকের আগ্রহ, সামাজিক মর্যাদা, সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপসহ অন্যান্য কার্যকলাপ। হ্যাঁ, বাংলাদেশ বিশ্বজয়ের আশা দেখে।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট থেকে