ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তারেককে নিয়ে মইনুলের ফোনালাপ ফাঁসে তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

তারেককে নিয়ে মইনুলের ফোনালাপ ফাঁসে তোলপাড়

বিভাষ বাড়ৈ ॥ ‘তারেক রহমানের নেতৃত্ব ধ্বংস করার জন্যই ড. কামালকে জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্বে এনেছি’Ñ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এমন টেলিফোন আলাপ ফাঁসের পর তোলপাড় শুরু হয়েছে সরকারবিরোধী রাজনীতিতে। খোদ বিএনপির আশীর্বাদপুষ্ট ঐক্যফ্রন্ট নেতার এমন গোপন আলাপের তথ্য বেরিয়ে পড়ার ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। তৃণমূলের ব্যাপক আপত্তির পরও ড. কামালের কাছে ধর্না দেয়া বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাই দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ার আশঙ্কায় নতুন কৌশল খুঁজছেন। কৌশল হিসেবে টেলিফোন আলাপকে সরকারের কারসাজি বলে প্রচার করে সারাদেশের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ সামলাতে চান দলের ঐক্যফ্রন্টপন্থীরা। জানা গেছে, বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতারা প্রথম থেকেই জাতীয় ঐক্যে যোগ না দেয়ার বিষয়ে অনড় থাকলেও শেষ পর্যন্ত খোদ মির্জা ফখরুল ও মওদুদের সমঝোতায় ড. কামালের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছিলেন। আর এর নেপথ্য কারিগর ছিলেন ব্যারিস্টার মঈনুল। এমনকি ড. কামালের নেতৃত্বে ফ্রন্ট পরিচালনা, জামায়াতকে কৌশলে সঙ্গে রাখা ও সর্বশেষ ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে মাইনাস করে ফ্রন্টের ঘোষণার নেপথ্যেও ছিলেন এ ব্যারিস্টার। তবে জাতীয় ঐক্যে ষড়যন্ত্র টের পাচ্ছিল তৃণমূল বিএনপি। জাতীয় ঐক্যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। তারা বলছেন, জাতীয় ঐক্যের নামে একটি নীলনক্সা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যে আসা দলগুলোকে সর্বোচ্চ সুবিধা দেয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছে বিএনপির প্রভাবশালী নেতারা। মূলত জিয়া পরিবারের রাজনীতির অধ্যায় বিলীন করতেই জাতীয় ঐক্যের নামে যড়ষন্ত্র করছে শীর্ষ নেতারা বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূল বিএনপির নেতারা দলটির শীর্ষ পর্যায়ে বলেছে, এর মাধ্যমে জিয়া পরিবারের দুই সদস্য এবং বিএনপির প্রধান তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া ক্ষতির সম্মুখীন হবে। কেননা, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্বে বিএনপিকে চালাবে ড. কামাল হোসেনরা। ফলে সরকারও চলবে তাদের ইশারায়। বিএনপির তৃণমূলের ব্যাপক আপত্তির কারণে স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ কয়েক নেতার সন্দেহ ছিল জাতীয় ঐক্যের শুরু থেকেই। তবে ঐক্যের পক্ষে থাকা নেতারা শেষ পর্যন্ত নামসর্বস্ব দলের নেতা ড. কামালের সঙ্গে থাকার বিষয়ে কারাগারে থাকা চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকেও রাজি করাতে সম্মত হন। এজন্য তারা ড. কামালের নেতৃত্বে নির্বাচনে আসার পর কিছু কৌশলের কথাও জানান খালেদা জিয়াকে। যে কৌশলে নেতারা খোদ তারেক রহমানকেও রাজি করাতে সম্মত হয়। শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের নির্দেশেই বিএনপি নেতারা ড. কামালের সঙ্গে থেকে হালে পানি পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন। নতুন প্রক্রিয়ায় ‘বিএনপির পায়ের তলায় মাটি পেতে পারে’ বলে আশা করছেন বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবীরাও। ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে বিএনপির একটি গোপন চুক্তি হয়েছে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য মিলছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে এক সঙ্গে নির্বাচন করবে বিএনপি। জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের মধ্যস্থতায় এই চুক্তি হয়। এই চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার পর বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্ব মেনে নেয়ার ঘোষণা দেয়। প্রথমে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ অন্য কারও নেতৃত্বে যাওয়ার বিরোধী ছিলেন। বরং তাদের অবস্থান ছিল যে, কোন ঐক্য করতে গেলে তার নেতৃত্ব বিএনপির হাতেই থাকতে হবে। এ নিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়েছিল। তবে তারেকের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপির যোগদান নিশ্চিত হয়। সূত্রগুলো বলছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো এই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে। যেহেতু জামায়াত নিবন্ধিত নয়, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াত নেই। তবে জামায়াত জাতীয় ঐক্যের সব কর্মসূচীতে অংশ নেবে। ড. কামাল হোসেন এবং তারেক জিয়া দু’জনই একমত হয়েছেন, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করলে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যাবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৭ দফা সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি ড. কামাল হোসেন ঐক্য হয়েছে। এই ৭ দফা চুক্তির মূল বিষয়গুলো হলো এরকম: ১. ড: কামাল হোসেন হবেন ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রধান নেতা। ২. ঐক্য প্রক্রিয়ার স্বার্থে নির্বাচন পর্যন্ত সময়ে তারেক জিয়া নেপথ্যে থাকবেন। বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অথবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৩. নির্বাচনে ১০০ থেকে ১২৫টি আসন বিএনপি তার শরিকদের ছেড়ে দেবে। এই ছেড়ে দেয়া আসনে অন্তত ১৫টি সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের দেয়া হবে। ৪. নির্বাচনে জয়ী হলে ড. কামাল হোসেন হবেন প্রধানমন্ত্রী। ৫. ড. কামাল হোসেনের সরকার স্বল্পতম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার ব্যবস্থা করবে, তার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করবে, তারেক জিয়াকেও মুক্তভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে। বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ৬. নির্বাচনে জয়ী হলে বর্তমান সংবিধান সংশোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ৭. দুই বছর পর ড. কামাল বিএনপির কাউকে প্রধানমন্ত্রিত্ব দিয়ে পদত্যাগ করবেন। জানা গেছে, এই গোপন চুক্তি আপাতত প্রকাশ করা হবে না। নির্বাচনে জয়ের পরই এই চুক্তি প্রকাশিত হতে পারে। এমন সব মহাপরিকল্পনা নিয়েই আগাচ্ছিল বিএনপি। ইতোমধ্যেই বি চৌধুরীকে বাদ দিয়ে ব্যারিস্টার মইনুল, ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ কয়েক নেতার চেষ্টায় বিএনপিকে নিয়েই যাত্রা শুরু করেছে ডাঃ কামালের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঢাকায় বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই বৈঠক করে নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন এমনটি প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও আলোচনায় এনেছেন তারা। তবে বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরীর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার টেফিফোন আলাপে ড. কামালসহ ফ্রন্টের কর্মকা- ফাঁসের পর এবার রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন ব্যারিস্টার মইনুল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে সক্রিয় মইনুল হোসেনের একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুকে। যাতে বিএনপিতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব ‘ধ্বংস’ করার কথা বলতে শোনা গেছে তাকে। তাহলে কি বিএনপির সাধারণ নেতাকর্মীদের আশঙ্কাই সত্য হতে চলেছে? বিএনপির নেতা তারেক রহমানের রাজনীতি ধ্বংস করতেই কি তাহলে ড. কামালকে সামনে নিয়ে আসা হয়েছে? তাহলে কি আর একটি ১/১১ এএ পুনারাবৃত্তি চাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের একটি অংশ? এমন সব প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে মইনুলের টেলিফোন আলাপের মধ্য দিয়ে। তাহলে কি আছে মইনুলের টেলিফোন আলাপে? সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তি করার পর সমালোচনার মুখে থাকা মইনুলের এই অডিও ক্লিপটি সোমবার বিকেল থেকে ফেসবুকে দেখা যায়। এই অডিও ক্লিপে কথোপকথনে এক প্রান্ত থেকে জানতে চাওয়া হয়, ‘রিউমার উঠেছে আপনি আর কামাল হোসেন লন্ডন যাচ্ছেন তারেকের সঙ্গে দেখা করার জন্যে? তখন মইনুলের উত্তর আসে, ‘তারেকের সঙ্গে আমরা মিটিংয়ে যাব? এটা কোথাকার ছাগল?... গোট না কাউ? ড. কামালসহ তারেকের সঙ্গে দেখা করতে যাব? আমরা তারেকের নেতৃত্ব ধ্বংস করার জন্য ড. কামালকে আনছি।’ অডিওতে মইনুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলা ব্যক্তিটি ছিলেন সাংবাদিক আবদুর রব মজুমদার। যাকে ‘মজুমদার সাহেব’ নামে সম্বোধন করছিলেন মইনুল। ইংরেজী দৈনিক নিউ নেশনের সাবেক বিশেষ প্রতিনিধি রব মজুমদার ইতোমধ্যেই কথোপকথনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুই মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের এই কথোপকথনে মইনুল হোসেন ঐক্যফ্রন্ট গঠন, নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে ঘিরে বিতর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন। আলাপে ফোন ধরে প্রথমেই মইনুল হোসেন বলেন, ‘কী বলেন মজুমদার সাহেব’। মজুমদার: স্লামালাইকুম স্যার। মইনুল : জ্বি বলেন। মজুমদার: কেমন আছেন আপনি। মইনুল: ‘আছি, জেলের ভাত কয়েকদিন খেতে হবে আমাকে। সে জন্য রেডি হইতেছি। মজুমদার: আচ্ছা আচ্ছা। মইনুল: আজকে তো বেইল নিয়ে আসছি। কেস করছে দুইটা। ...মামলা টামলা দিয়েই তো, এদের কাছে মামলা টামলার নামই হলো রাজনীতি। করুক দেহি। মজুমদার: হে, হে, হে। মইনুল: সবচেয়ে বড় কথাটা হচ্ছে এই মেয়েটার পক্ষে ফাইভ পারসেন্ট লোক। নাইনটি ফাইভ পারসেন্ট আমার লোক, আমার পক্ষে। আমার লোক। প্রথম আলো একটা সার্ভে উঠাইছে, সেখানে নাইনটি ফাইভ পার্সেন্ট এ্যাপ্রোচড মি। আর ফাইভ পারসেন্ট তার পক্ষে। একটা মেয়ে লোক যে এত বাজে হইতে পারে আমি জানতাম না। মজুমদার: হে হে হে। মইনুল: আচ্ছা ঠিক আছে, আইসেন এক সময় চেম্বারে থাকলে আরকি। মজুমদার: জ্বি আসব। স্যার, আরেকটা বিষয়, আপনি বুলে, লন্ডন যাচ্ছেন বলে? মইনুল: (প্রশ্নটি বুঝতে না পেরে মইনুল আবারও মাসুদা ভাট্টির বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন) আমি জানতাম নাকি, এখন শুনতেছি। ঘটনাটা আমি খারাপ বলছি। রাগ হয়েও বলছি যদিও। একটা মেয়েকে এটা বলা ঠিক না। সে জন্য তাকে ফোন করে বলছি, দুঃখ প্রকাশ করেছি, এমনকি ক্ষমাও চেয়েছি। ‘একটা মেয়ের ব্যাপারে আমার.. ফলে অসুবিধা নাই। ফলে আমি মাফও চাইছি। এর পরেও সে, তার তো এই কাজ। এটা তো আমি তো জানতাম না। একটা ভদ্রমহিলাকে যদি বলি, আপনি আমাকে প্রভোক করেছেন, আমি তাতে রাগ হয়ে গেছি, রাগ হয়ে একটা স্লিপ হয়ে গেছে আমার। তারপরে আমি প্রেসে স্টেটমেন্ট দিয়ে বলছি। তারপরেও সে এটা করেছে। এখন দেখেন নাইনটি ফাইভ পারসেন্ট লোকের কাছে সে বাজে বলে পরিচিত। মজুমদার: স্যার, আরেকটা বিষয়, এটা একটা রিউমার উঠছে, আপনি লন্ডন যাচ্ছেন আপনি ও কামাল হোসেন সাহেব তারেকের সঙ্গে মিটিংয়ের জন্য? মইনুল: আমাদের মিটিং হবে, তারেকের সঙ্গে আমরা মিটিংয়ে যাব আমরা? এটা কোথাকার কোন ছাগল? জিজ্ঞেস করো। ‘গোট না কাউ না মুরগি। ‘ড. কামাল তারেকের সঙ্গে দেখা করবে? আমরা তারেকের নেতৃত্ব ধ্বংস করার জন্যই তো ড. কামালকে আনছি।’ এমন টেফিফোন আলাপের পর রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে বিএনপি। টেলিফোন আলাপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ঐক্যফ্রন্টের কোন নেতাই কথা বলতে রাজি হচ্ছেন না। বিএনপি নেতারা আছেন তৃণমূলের প্রতিবাদের আশঙ্কার মধ্যে। সূত্রগুলো বলছে, পরিস্থিতি আচ করতে পেরে ইতোমধ্যেই কৌশলী অবস্থা নিয়েছেন দলটির নেতাদের একটি অংশ। কৌশল হিসেবে টেলিফোন আলাপকে সরকারের কারসাজি বলে প্রচার করে সারাদেশের নেতাকর্মীদের অসন্তোষ সামলাতে চান দলের ঐক্যফ্রন্টপন্থীরা। সাংবাদিককে কটূক্তির মামলায় গ্রেফতার মইনুল হোসেনের মুক্তি চেয়ে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে ব্যাহত করতেই তাকে আটক করা হয়েছে। রিজভী বলেন, ‘মানহানি মামলায় মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা নজিরবিহীন ঘটনা। ...মইনুল হোসেন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন ব্যক্তি। অপশাসনের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের পক্ষে তার কথা বলাটাকেই অপরাধ হিসেবে গণ্য করছে সরকার। অন্যদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপকে সরকারের ইঞ্জিনিয়ারিং উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু জনকণ্ঠকে বলেন, যারা জাতীয় ঐক্য পছন্দ করে না, তাদের ঘর থেকেই এই অডিও ক্লিপ বের হয়েছে। এই অডিও ক্লিপ দিয়ে সরকার যদি আন্দোলন থামাতে চায় তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। টিভিতে একটি অডিও ক্লিপ দেখেছি প্রধানমন্ত্রীকে বলব এই অডিও ক্লিপ এর জন্য আপনার পদত্যাগ করা উচিত। তথ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। টেলিফোনের আড়ালে কান পাতা এটা বেআইনী। এটা সংবিধান ও আইনবিরোধী। আপনারা যদি অডিও ক্লিপ টেলিভিশনে প্রচার বা তৈরি করেন তাহলে বলব আপনাদের নির্বুদ্ধিতা আছে। টেলিফোন আলাপ সঠিক মনে করেন কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আসল কথা হচ্ছে এভাবে ব্যক্তিগত আলাপ ফাঁস হয় কিভাবে? এটা বেআইনী।
×