ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বকেয়া বেতন দাবি

পোশাক শ্রমিক অসন্তোষ ॥ অবরোধে যাত্রী ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

পোশাক শ্রমিক অসন্তোষ ॥ অবরোধে যাত্রী ভোগান্তি

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ২৩ অক্টোবর ॥ বকেয়া বেতনভাতার দাবিতে নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জে একটি রফতানিমুখী পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টাব্যপী অবরোধ করে রাখেন। এতে করে শত শত যানবাহন আটক পড়ে যায়। প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের কারণে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীসাধারণ। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বরপা এলাকার অন্তিম নিটিং ডাইং এ্যান্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানার সামনে ঘটে এ ঘটনা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, বরপা এলাকার অন্তিম নিটিং ডাইং এ্যান্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নিট কম্পোজিট নামে পোশাক কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করে। এ কারখানায় গার্মেন্টস সেকশন, নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশন রয়েছে। এর মধ্যে নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশনে প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক কাজ করে। প্রতি মাসের ৮ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে সকল সেকশনের বেতন-ভাতা পরিশোধ করার কথা থাকলেও গার্মেন্টস সেকশনে বেতন-ভাতা পরিশোধ করেছেন মালিকপক্ষ। এছাড়া নিটিং সেকশন, ডাইং সেকশন ও প্রিন্টিং সেকশনের বেতন-ভাতা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই শ্রমিকরা মালিকপক্ষের কাছে তাদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। মালিকপক্ষ দেই দিচ্ছি করে ঘুরাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, বেতন-ভাতা পরিশোধ না করে গত শনিবার ও রবিবার ওই ৩ সেকশনের শ্রমিকদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। সোমবার বেতন-ভাতা পরিশোধ করার আশ^াস দেয়া হয়। কিন্তু শ্রমিকরা পূর্বের কথা অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাননি। মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে কারখানার সামনে অবস্থান করেন বেতন-ভাতা থেকে সুবিধা বঞ্চিত শ্রমিকরা। এ সময় গার্মেন্টস সেকশনের শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করা বন্ধ করে দেয়া হয়। সাড়ে ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধের ফলে সড়কের উভয় দিকে শত শত ছোট বড় যানবাহন আটকা পড়ে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে এম্বুলেন্সও আটক পড়ে যায়। ভোগান্তির শিকার হয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছায়। খবর পেয়ে জেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি জাহিদুল ইসলাম, এএসপি জিনিয়ার নেতৃত্বে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের একদল মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে কারখানার ডাইরেক্টর দেলোয়ার হোসেনসহ মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ^াস দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে অবরোধ তুলে নেয়। জেলা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আপাতত শ্রমিকরা শান্ত রয়েছে। মালিকপক্ষ কথা দিয়েছেন আজকের (মঙ্গলবার) মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন।
×