ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সারাদেশে অবকাঠামো নির্মাণ, পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ দিয়ে বর্তমান সরকার রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ গড়ে তুলতে চাইছে

বিচার বিভাগে এসেছে আমূল পরিবর্তন

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ২২ অক্টোবর ২০১৮

  বিচার বিভাগে  এসেছে আমূল পরিবর্তন

তপন বিশ্বাস ॥ বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে বিচার বিভাগে আমূল পরিবর্তন এনেছে। সারাদেশে আদালত ভবন নির্মাণ, পর্যাপ্ত বিচারক নিয়োগ, বিচার কার্যে ক্ষেত্রবিশেষে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত, বেতন ভাতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত গাড়ির সুবিধা প্রদানসহ বিভিন্ন সুবিধা দেয়া হয়েছে। বিচার বিভাগকে করা হয়েছে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপমুক্ত। তবে মামলা জটে এখনও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জনগণ। উচ্চ আদালতের একটি রায় অনুযায়ী দেশের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা হয়ে বিচার বিভাগের পৃথক পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালের ১ নবেম্বর। চলার শুরুতেই আদালতসমূহে বিশেষ করে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসমূহে এজলাসের অপ্রতুলতা দেখা দেয়। বিচারকরা এজলাস ভাগাভাগি করে বিচারিক কাজ চালাতে থাকেন। এতে বিচারক, আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা যেমন ভোগান্তির শিকার হতে থাকেন, তেমনি মামলার জট দিনের পর দিন বাড়তে থাকে। এমনি অবস্থায় ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠন করেন এবং বিচার বিভাগকে স্বাধীনভাবে চলার ব্যবস্থা করে দিতে উদ্যোগী হন। তিনি বিচার বিভাগের মানোন্নয়নে নেন নানা পদক্ষেপ। প্রথমেই আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসির স্থান সংকুলানের জন্য ২০০৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় একটি করে সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এর প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪২ জেলায় ১২ তলা ভিত বিশিষ্ট ৮/১০ তলা সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ চলছে। বর্তমানে এ প্রকল্পের কাজ দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ইতোমধ্যে ২০ জেলায় আদালত ভবন নির্মাণ শেষ হয়েছে এবং এগুলোতে বিচারিক কাজ চলছে। দশ জেলায় নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। দশটির নির্মাণ কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা এবং মামলার কারণে দুটি জেলায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। এই ৪২ জেলা ছাড়া অবশিষ্ট ২২ জেলায় আদালত ভবন নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এবং এতে ভবন নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার শুধু সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে থেমে থাকেনি। সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণের পাশাপাশি ২০১৪ সালে ১৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৮ জেলায় আগের দোতলা জেলা জজ আদালত ভবনগুলো ৩/৪ তলা পর্যন্ত উর্ধমুখী সম্প্রসারণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ৯৯ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এখন অবশিষ্ট জেলাগুলোয় নতুন জেলা জজ আদালত ভবন নির্মাণ/পূর্বের জেলা জজ আদালত ভবনগুলো ৩/৪ তলা পর্যন্ত উর্ধমুখী সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। বিচারকার্য মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ৯ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১৫ চৌকি আদালত স্থাপন করা হয়েছে। অনেক চৌকি আদালতে এজলাস সংকুলান দূর করার জন্য জরুরী ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জরাজীর্ণ চৌকি আদালতগুলোর অবকাঠামো নির্মাণের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের বিনোদনের সুবিধা প্রদানের বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে। এ জন্য সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতির বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৮ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে সর্বোচ্চ আদালত থেকে অধস্তন আদালত পর্যন্ত সব বিজ্ঞ বিচারকের বেতন ও সুবিধাদি বাড়ানো হয়েছে। অধস্তন আদালতের বিচারকদের ইতোপূর্বের বিচারিক ভাতাও বহাল রাখা হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে অধস্তন আদালতে কর্মরত বিজ্ঞ বিচারকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১৫৬ সিডান কার ও ৫৮ মাইক্রো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একটি সুদক্ষ বিচার কর্ম বিভাগের জন্য প্রয়োজন সুদক্ষ মানবসম্পদ। এই মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ’১৯ সালের জুনের মধ্যে ৫৪০ বিচারককে অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা দেয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আটটি ব্যাচে ২২৩ বিজ্ঞ বিচারক এই প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এসেছেন এবং অনেকেই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের সরকারী আদেশ পেয়েছেন। এছাড়া দেশের অধস্তন আদালতের ১৫শ’ বিচারককে প্রচলিত আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতে পাঠানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে পৃথক দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় করা হয়েছে। এমওইউ অনুযায়ী, দেড় হাজার বিচারককে আগামী ৫ বছরে ভারতের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিসিয়াল একাডেমিতে ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং দুটি প্রশিক্ষণার্থীদল প্রেরণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে এই প্রশিক্ষণের যাত্রা শুরু হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে মামলাজট কমানোর ক্ষেত্রে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন, সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত বিশেষায়িত মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং মামলা ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল পদ্ধতির প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জনে অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থায় অত্যন্ত সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া বিজ্ঞ বিচারকদের নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণের জন্য নেদারল্যান্ডস সরকারের একটি প্রস্তাব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। বর্তমান সরকার বিশ্বাস করে, এসব প্রশিক্ষণ বিচার বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধিতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। একটি সুখী-সমৃদ্ধ, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালী জাতিকে উপহার দিয়ে গেছেন একটি অনন্য সংবিধান। এই সংবিধানে স্পষ্টভাবে বিধৃত হয়েছে সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে রাষ্ট্র সচেষ্ট হবে। প্রজাতন্ত্রের সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয়লাভের অধিকারী। জনগণের এসব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছায় আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদান কল্পে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণীত হয়। এই আইনের সফল বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি উদ্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে অবহিতকরণসহ জনসচেতনতা গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারী আইনী সেবা প্রদানের বিষয়ে ব্যাপকভাবে জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৩ সালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৮ এপ্রিলকে ‘জাতীয় আইগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে। আইনী সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করার লক্ষ্যে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার আওতায় প্রত্যেক জেলায় জেলা লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনসহ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, চৌকি আদালত এবং শ্রম আদালতে লিগ্যাল এইডের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে একজন করে সিনিয়র সহকারী জজ/সহকারী জজ পদমর্যাদার অফিসারকে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসগুলোকে এখন শুধু আইনী সহায়তা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখা হয়নি। মামলাজট কমানোর লক্ষ্যে এ অফিসগুলোকে ‘এডিআর কর্ণার’ বা ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকারী আইনী সেবা প্রদান আরও বিস্তৃত ও সহজ করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্পলাইন ১৬৪৩০ চালু করা হয়েছে। এই হেল্প লাইনের মাধ্যমে দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ বিনামূল্যে আইনী পরামর্শ ও সহায়তা নিতে পারছেন। বর্তমান সরকারের কার্যকর ও সময়োপযোগী এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এখন দেশের অসহায় ও দরিদ্র বিচারপ্রার্থীদের জন্য এক আলোকবর্তিকায় রূপ নিয়েছে। সরকার আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তি সেবার সঙ্গে বিচারক ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের সমান তালে এগিয়ে নিতে চায় এবং সরকারী আইনী সেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চায় যেখানে সব মানুষ তার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় সেবাসমূহ সহজেই গ্রহণ করতে পারবেন। তাই জনগণকে অল্প সময়ে, অল্প খরচে ও সহজে বিচারিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিচার বিভাগে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। বিচারিক প্রক্রিয়ায় কাক্সিক্ষত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সাক্ষ্যগ্রহণে দীর্ঘসূত্রতা থেকে বিচারক ও বিচারপ্রার্থীদের নিষ্কৃতি দেয়ার লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সিলেটে সাক্ষ্যগ্রহণের কম্পিউটারাইজড পদ্ধতি ব্যবহারের কাজ শুরু হয়েছে। জাস্টিস সেক্টর রিফর্ম এবং দুর্নীতি দমনে কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এওত- এর সহায়তায় জাস্টিস রিফর্ম এ্যান্ড করাপশন প্রিভেনশন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিচার কার্যক্রমকে সঠিকভাবে ও দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য ইউএনডিপি এবং যুক্তরাজ্য সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ডিএফআইডির সহায়তায় ‘জাস্টিস সেক্টর ফেসিলিটিস’ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মামলাজট নিরসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এজন্য বিচারকের নতুনপদ সৃষ্টিসহ আদালত সংখ্যা বৃদ্ধি করা হচ্ছে এবং শূন্যপদে বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাতটি সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হচ্ছে। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বিদ্যমান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাশাপাশি আরও ৪১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতসহ সাতটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল এবং আটটি মানিলন্ডারিং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল স্থাপনসহ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। জনবল সঙ্কট উত্তরণের লক্ষ্যে মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩৪৬ পদ, ঢাকায় দশটি বিশেষ জজ আদালতের সাঁটলিপিকারসহ ২৯ পদ এবং ১৮ বিশেষ জজ আদালতের ১৮ স্টেনোগ্রাফারের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরনো আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন, আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অব্যাহত প্রশিক্ষণ, বিচারকদের পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কাক্সিক্ষত সংস্কার কার্যক্রম সরকার আরও এগিয়ে নিতে চায়। বর্তমান সরকার বিচার বিভাগের মানোন্নয়নের পাশাপাশি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কালচার অব ইমপিউনিটি (Culture of Impunity) বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকান্ড ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড মামলার বিচার করেছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের বিচার করছে।
×