ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপিতে যোগ্য লোক নেই বলেই ড. কামালকে বেছে নিয়েছে ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২১ অক্টোবর ২০১৮

বিএনপিতে যোগ্য লোক নেই বলেই ড. কামালকে বেছে নিয়েছে ॥ তোফায়েল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২০ অক্টোবর ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, একটা দৈন্যতা ভোগা দল যোগ্য কোন লোক নাই বলেই কামাল হোসেনের মতো একজন দল ত্যাগকারী নেতাকে বেছে নিয়েছে। যিনি কখনও সরাসরি নির্বাচনে নির্বাচিত হতে পারেননি। মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচাল করার ক্ষমতা কারোর নাই। তাদের যে ঐক্যজোট সাত দফা দিয়েছে তার সব কয়টি সংবিধান পরিপন্থী। কোনটাই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু একটা দফা দেয়া বাকি ছিল, আমাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেন। শনিবার বেলা ১১টায় ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের অডিটরিয়ামে ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেয়া আসন থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচিত হয়ে ছিলেন। দুই বার নির্বাচিত হয়েছিলেন, বঙ্গবন্ধুর আসন থেকে। আমরা তাকে ৮৬ সালে মনোনয়ন দিয়েছিলাম। তিনি হেরে গেছেন কিন্তু আমরা জিতেছি। ৯১ সালে মনোনয়ন দিয়েছিলাম আবার তিনি হেরে গেছেন কিন্তু আমরা দুটি আসনে জিতেছি। এখন তিনি জোট করেছেন তাদের সঙ্গে যারা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। জোট করেছে তাদের সঙ্গে যারা ২১ আগস্ট ২৪ জনকে হত্যা করেছে। জোট করেছে তাদের সঙ্গে যাদের বিচারে যাবজ্জীবন কারাদ- হয়েছে। ফাঁসির হুকুম হয়েছে তাদের সঙ্গে। জোট করেছে তাদের সঙ্গে যারা ’৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে। তাদের কোন লক্ষ্য নাই, উদ্দেশ্য নাই। তিনি আরও বলেন, হয়ত ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তারিখ দিবে নির্বাচন কমিশন অথবা যে কোন সময়। অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচন হবে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে। যার প্রধানমন্ত্রী থাকবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘোষিত তারিখ অনুসারে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেই মন্ত্রী আশা করেন। বিএনপি যদি নির্বাচনে না আসে সেই ভাসানীর দলের মতো অস্তিত্বহীন দলে বিএনপি পরিণত হবে। তিনি বলেন, জালাও পোড়াও করে বিএনপি ১৩ সালে চেষ্টা করেছে। ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছিল। ১৫ সালে ৯৩ দিন হরতাল অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মায়ের কোল খালি করে সফল হয়নি। মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, এই ভোলা নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। ভোলা-বরিশাল ব্রিজের সম্ভাবতা যাচাই হয়ে গেছে। খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যাবে। এখানে গ্যাসভিত্তিক অনেক কলকারখানা গড়ে উঠবে। আমরা ভোলাতে একটাও কাঁচা রাস্তা রাখব না। ভোলাকে আমরা নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। তিনি আরও বলেন, এই ভোলাতে ইতিপূর্বে অনেকে মন্ত্রী ছিল। কিন্তু কেউ কিছু করেনি। এখানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী ছিল কিন্তু তারা নদী ভাঙ্গন বন্ধ করতে পারেনি। কিন্তু আমরা সেই নদী ভাঙ্গন বন্ধ করেছি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন লুটপাট ছিল। ২০০১ সালের পর মা-বোনের ইজ্জত লুট করে নিয়েছিল। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী যদি আর পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকে তাহলে পৃথিবীর মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্যতম শ্রেষ্ঠ দেশ। এই ভোলা হবে সিঙ্গাপুরের মতো। ভোলা জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খাদিজা আক্তার স্বপ্নার সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম, ভোলা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মমিন টুলু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও নারী জাগরণের অগ্রপথিক মিসেস আনোয়ারা আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মোশারেফ হোসেন, ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দোস্ত মাহামুদ, যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ককিব, এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল ইসলাম বিপ্লব, সফিকুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পরে খাদিজা আক্তার স্বপ্নাকে আহ্বায়ক ও নাজনিন আক্তার রুমাকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে কাজ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
×