ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধন বুধবার

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২১ অক্টোবর ২০১৮

শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট উদ্বোধন বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণ করা বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট আগামী বুধবার উদ্বোধন করা হবে। এই ইনস্টিটিউটের চীফ কো-অর্ডিনেটর ডাঃ সামন্ত লাল সেন বাসসকে বলেন, ‘আগুনে পোড়ার চিকিৎসার লক্ষ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচনকারী শেখ হাসিনা ন্যাশনাল বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেয়া হবে।’ এই ইনস্টিটিউটে আরও অধিক পোড়ার রোগীকে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ হবে এবং এখানকার প্লাস্টিক সার্জনরা দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় অবস্থিত এই হাসপাতালটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বাসসর। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়কারী ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের পাশে অবস্থিত ১২তলা এই ইনস্টিটিউটে পোড়ার রোগীরা যেমন উন্নততর সেবা পাবেন, তেমনি ডাক্তার ও নার্সরা তাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আশা প্রকাশ করেছেন, এই বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে পোড়ার রোগীরা উন্নততর চিকিৎসা সেবা পাবেন। বাসসর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সম্বলিত এই ইনস্টিটিউটটি চিকিৎসা, গবেষণা ও অধ্যয়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন, পাঁচ শ’ শয্যা, ৫০টি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের বৃহত্তম বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পরিণত হবে। বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসা সেবার উন্নয়নের প্রতি আন্তরিকতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ইনস্টিটিউটের নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করেছে।’ এই ইনস্টিটিউটটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে আনুমানিক ৫২২ কোটি টাকা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল এই ইনস্টিটিউটটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মূলভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল।
×